সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: কালীপুজো উপলক্ষে গা ছমছমে এই প্রাচীন মন্দিরের পুরোহিত নিজের হাতে সাজান মা কালীর বিগ্রহকে। মূর্তি রং করা থেকে শুরু করে গয়নাগাটি পরানো-সবকিছুই হয় তাঁরই হাত দিয়ে। সাড়ে ৩০০ বছরের বেশি পুরনো জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালীর এই মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি ও নিয়ম মানা হয় আজও।
বহু অজানা গায়ে কাঁটা দেওয়া ইতিহাস বিজড়িত জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের সঙ্গে। মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলেই এখনও যেন গা ছমছমে পরিবেশ বিরাজ করে। জলপাইগুড়ি গোশালা মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত এই মন্দিরে সারা বছর ভক্তদের আনাগোনা চোখে পড়লেও কালী পুজোর রাতে ভক্তদের ঢল নামে মন্দির জুড়ে। কালী পুজোর হাতে গোনা আর ক’দিন বাকি।
আরও পড়ুন : সাবধান! কালীপুজোর রাতে এই রকম পোশাক পরলেই সর্বনাশ! অভাব অনটনে ছারখার হবে জীবন
কোন সময় এই মন্দিরে পুজো হবে? তা হয়তো জানেন না অনেকেই। পুরোহিতের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর দিন রাত ৯ টা থেকে তিথির সময় অনুযায়ী চলবে মা কালীর পুজো। এই মন্দিরে মা শ্মশানকালী রূপে বিরাজমান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও বার্ষিক পুজোর জন্য প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কষ্টিপাথরের মূর্তিতে পুজোর দিন ১৫১ টি মালসায় ভোগ দেওয়া হয়। এই মন্দিরের চারদিকে ছায়াবৃক্ষ করে রেখেছে বিশাল বটগাছ। মন্দিরের চারপাশে রুদ্রাক্ষ গাছও একই ভাবে রয়েছে প্রায় আড়াইশো বছর ধরে।