দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ছবি

Kanchanjunga Express Accident: ৩০ ঘণ্টা পার, কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় কান্নার রোল থামছে না! হাসপাতালে ভিড় প্রিয়জনদের

শিলিগুড়ি: গতকাল শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার কাছে নিজবাড়িতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৫০ জন আহত। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের চোট গুরুতর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুর্ঘটনার পর ৩৭ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজন। একজনের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনঃ পড়ে রইল কেক, খিচুড়ি-মাছ ভাজা! মেয়ের জন্মদিনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় চিরঘুমে বাবা

অন্যদিকে, সকালবেলা মৃত্যু হয়েছে ৭ বছরের ছোট্ট মেয়ে স্নেহার। তাঁর শরীরের গুরুতর চোট থাকায় সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে লড়াই শুরু করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। তারপরও অবস্থার অবনতি থাকে শিশুটির। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যকর্তা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত চারজনের অপারেশন হয়েছে। তিনজন ট্রমা কেয়ারে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে নজরদারিতে থাকবে তারা। গতকাল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মেডিকেলে ডিসিপ্লিনারি বোর্ড গঠন হয়েছে। মেডিক‍‍্যালের সমস্ত ডাক্তাররা মিলে ভালভাবে কাজ করেছে।’

অন্যদিকে, শিলচরে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অর্জুন রাম। আর দুটো স্টেশন পরেই তাঁর বাড়ি ছিল কিন্তু তার আগেই এই দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। গতকাল তাঁর মৃতদেহ চিহ্নিতকরণ করা যাচ্ছিল না। আজ তাঁর পরিবারের লোকেরা সকালবেলা এসে তাঁর দেহ চিহ্নিত করেছেন। অর্জুন রামের ভাই সুজন রাম বলেন, ‘আসার আগেই সকালে আমাকে ফোন করেছিল। শিলচর থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সবাই ভেঙে পড়েছে। সোমবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্রুতগতিতে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অবধ-আসাম এক্সপ্রেস মেন লাইন দিয়ে চলাচল করেছে। এদিন সকালে রাঙাপানি এলাকা দিয়ে ডাউন লাইনে কামাখ্যা-গান্ধিধাম এক্সপ্রেস সফলভাবেই গিয়েছে। ডিআরএম-সহ ট্রেনের পদস্থকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।


একই লাইনে দুটি ট্রেন কীভাবে চলে এল, তার তদন্তের যেমন দাবি উঠেছে, পাশাপাশি কবচ সিস্টেম ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে এলএইচবি কোচের দাবিও উঠেছে।

অনির্বাণ রায়