মালদহ: হঠাৎ বিকট শব্দ, তারপর বার কয়েক ঝাঁকুনি। তখন ট্রেনের যাত্রীদের অনেকেই ঘুমিয়ে রয়েছে, আবার কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হচ্ছেন। তার মাঝে এমন ঘটনা। যাত্রীরা একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছেন। অনেকেই তাতে জখম হয়েছেন।
সেই সময় ঘুম থেকে উঠে বেসিনের কাছে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করছিলেন সুমন সোম। তিনি ওই ট্রেনের এস-৫ কামরার যাত্রী ছিলেন। তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। ক্ষণিকের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল ট্রেন জুড়ে। কামরায় মধ্যেই শুরু যাত্রীদের মধ্যে ছোটাছুটি। ট্রেন থেকে নীচে নেমে আসার হুড়োহুড়ি।
সেই ভিড় সামলে কোন রকমে নিজের ব্যাগ নিয়ে নীচে নেমে আসেন সুমন সোম। নীচে নেমে দেখেন ট্রেনের পেছনের অংশ দুমড়ে মুছড়ে রয়েছে। চারিদিকে যাত্রীদের হা- হা কার। এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আগরতলার বাসিন্দা ওই ট্রেন যাত্রী সুমন সোম। ভিড়ের মধ্যে নিজের মোবাইল হারিয়ে ফেলেন। মোবাইল না খুঁজেই সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। ট্রেনের এমন দৃশ্য দেখে থাকতে পারছিলেন না। দূর্ঘটনাস্থল থেকে টোটো করে ঘোষপুকুরে পৌঁছান।
সেখান থেকে বাস ধরে মালদহের উদ্দেশ্য রওয়না দেন। ত্রিপুরার আগরতলার বাসিন্দা সুমন সোম। তিনি পেশায় গাড়ি চালক। কলকাতায় আসছিলেন গাড়ি নিতে। পথেই ট্রেন দূর্ঘটনার কবলে পড়েন। সুমন সোম বলেন, ট্রেনটি ভাল চলছিল। এদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনটি ধীর গতিতে ছিল। তখন বাইরে মুষুলধারে বৃষ্টি পড়ছে। সবে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হচ্ছিলেন সুমন বাবু। ঠিক সেই সময় পেছন থেকে মালগাড়ি ধাক্কা মারে।
এদিন সন্ধ্যায় বাসে করে মালদহে এসে পৌঁছান তিনি। শুধুমাত্র সুমন সোম নয়, এদিন দূর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটিতে থাকা বহু যাত্রী আতঙ্কে বাসে করে মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছায়। মালদহে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস পৌঁছালে, আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই ওই ট্রেনে ওঠেন যাত্রীরা।
হরষিত সিংহ