কঙ্কালীতলা মন্দির

Birbhum Satipeeth: ঘরের কাছেই সতীপীঠ, অল্প খরচে দর্শন করুন বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির

সৌভিক রায়, বীরভূম: বিশ্বকবির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন।বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির। সতীপীঠের অন্যতম এই স্থান। ৫১ পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা। এখানে একটি কুণ্ড রয়েছে। মায়ের স্নানজল হিসেবে ব্যবহার হয় এই কুণ্ডের জল। এখানে মহাকালী রূপে পূজিতা হন মা।এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে মা কালীকে পুজো করা হয়। দুপুরের অন্নভোগে মাকে দেওয়া হয় ৫ রকমের ভাজা, ডাল, ফ্রায়েড রাইস, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি ও পায়েস।

দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে প্রত্যেক বছর কঙ্কালীতলায় ভক্তদের ভিড় থাকে চোখ এ পরার মতো।বহু দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটকরা ভিড় জমান এই কঙ্কালীতলায়। বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম সতিপীঠ এই কঙ্কালীতলা মন্দির।প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন আগে এই মন্দির প্রাঙ্গণে সন্ধ্যা আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।এই সন্ধ্যা আরতি আপনি বীরভূম ঘুরতে এলে হতে পারে আপনার কাছে সেরা উপহার।তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে পৌঁছবেন এই মন্দির।

আপনি কলকাতা,হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন থেকে সোজাসুজি পৌঁছে যাবেন বোলপুর স্টেশন। বোলপুর স্টেশনে নেমে আপনি চাইলে সেখান থেকে কবিগুরুর বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পর সেখান থেকে টোটো অথবা অটো করে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বেই পেয়ে যাবেন কঙ্কালীতলা মন্দির।

আরও পড়ুন : নাটোরের রানি ভবানীর তৈরি প্রাচীন মন্দির, সতীপীঠ নলাটেশ্বরীতে অগণিত ভক্ত সমাগম

টোটো অথবা অটোতে গেলে আপনার মাথাপিছু খরচ পড়তে পারে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর এই ৩০ থেকে ৪০ টাকার বিনিময়ে আপনি দর্শন করতে পারবেন মায়ের এই মন্দির। সুন্দর প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশ তার সঙ্গে পাখিদের কোলাহল এবং এই মন্দির এ পুজো দেওয়া আপনার ভ্রমণের হয়ে উঠতে পারে সেরা ডেস্টিনেশন। এই মন্দিরের পাশেই একটি কুন্ডু রয়েছে সেই কুন্ডুর জল থেকেই প্রত্যেকদিন মায়ের পুজো হয়ে থাকে।কথিত আছে প্রবল গরমেও এই কুন্ডুর জল এক বিন্দু শুকিয়ে যায় না।

শিবমন্দিরের পাশেই রয়েছে মহাশ্মশান ও পঞ্চবটী বন। কিছুদিন আগেও এখানে খোলা বেদিতেই দেবীর পুজো হত। এখন মন্দির তৈরি হলেও দেবীর কোনও মূর্তি নেই। রয়েছে শ্মশানকালীর বড় বাঁধানো ছবি। যাঁকে দেবী রূপে পুজো করা হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে এখানে তিন দিন ধরে মন্দিরে উৎসব চলে।বড় মেলার আকারে আয়োজন করা হয় পুজোর।