কানপুরের গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর

Kanpur News: কানপুরের গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর, জীবন বাঁচাতে ১০ হাজার টাকা দাবি ডুবুরিদের

কানপুর: কানপুরের গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর আদিত্য বর্ধন। দুই বন্ধুর সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে এসেছিলেন তিনি। মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। আচমকাই ঢেউয়ে তলিয়ে যান। সেই সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন ডুবুরিরা। তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও আদিত্য বর্ধনের কোনও সন্ধান পায়নি।

আদিত্য তলিয়ে যেতেই হইচই পড়ে যায়। তাঁর বন্ধুরা ডুবুরিদের সাহায্য চান। আদিত্যকে খোঁজার জন্য ঘাটে উপস্থিত ডুবুরিরা ১০ হাজার টাকা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছে নগদ না থাকায় স্থানীয় দোকানদারের মোবাইলে অনলাইনে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তাঁর বন্ধুরা।

আরও পড়ুন– মাঝ আকাশে হাঁটু মুড়ে বসে ফিল্মি কায়দায় প্রেম নিবেদন করলেন তরুণী, তারপর যা হল…চোখ ভিজল নেটিজেনদেরও

অভিযোগ টাকা হাতে পাওয়ার পরই গঙ্গায় নামেন ডুবুরিরা। তবে আদিত্য বর্ধনের কোনও হদিশ মেলেনি। এখনও গঙ্গায় তল্লাশি চলছে। পুলিশের একটা দলও তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

আদিত্য বর্ধন সিং ওরফে গৌরব বারাণসীর স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর। তাঁর স্ত্রী শ্রেয়া মিশ্র মহারাষ্ট্রের পুণেতে জেকা জজ হিসাবে কর্মরত। আদিত্যর খুড়তুতো ভাই অনুপম সিং বিহার ক্যাডারের সিনিয়র আইএএস এবং নীতীশ কুমারের সচিব হিসাবে কাজ করেন।

আরও পড়ুন– বিদায়ের মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নববধূ, এদিকে হাসির রোল স্বজনদের মধ্যে; আচমকাই প্রকাশ্যে এল কনের আসল রূপ

আদিত্য বাঙ্গারমাউ এলাকার কবীরপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ১৬/১৪৩৫ ইন্দিরানগর, লখনউতে থাকতেন। শনিবার এলাকার দুই বন্ধু প্রদীপ তিওয়ারি এবং যোগেশ্বর মিশ্রের সঙ্গে গাড়িতে করে গঙ্গাস্নান করতে যান বাঙ্গারমাউয়ের নানামাউ এলাকার গঙ্গার ঘাটে। তিন বন্ধুই স্নান করতে নামেন গঙ্গায়। স্থানীয়দের বারণ সত্ত্বেও বেশ গভীরে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা।

আদিত্য সাঁতার জানতেন। সাঁতার কাটার ভিডিও তুলে দিতে বলেছিলেন বন্ধুদের। কিন্তু আচমকাই বড় ঢেউ আসে। তলিয়ে যান আদিত্য। বর্তমানে আদিত্যর বাবা রমেশ চন্দ এবং মা শশী প্রভা মেয়ে গুডিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

আদিত্যকে তলিয়ে যেতে দেখে ঘাটে উপস্থিত ডুবুরিদের কাছে সাহায্য চান আদিত্যর বন্ধুরা। কিন্তু তাঁরা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। পরে এক দোকানদারের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পর তারা গঙ্গায় নামে। কিন্তু অনেক খোঁজার পরেও আদিত্যর হদিশ মেলেনি।