কার্গিল বিজয় দিবস (ফাইল ছবি)

Kargil Vijay Diwas 2024: ‘ট্রিগার টানলাম, উড়ে গেল বাঙ্কার’, কার্গিল বিজয় দিবসে এক ‘দুঃসাহসিক’ মুহূর্ত জানালেন ক্যাপ্টেন সিং

নয়াদিল্লি: শুক্রবার বিজয় দিবস। কারগিল যুদ্ধের ২৫ বছর উদযাপন করছে দেশ। শহিদ বীর সেনানিদের উদ্দেশ্যে নতজানু হয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে আপামর দেশবাসী। চলছে চর্চা, আলোচনা। উঠে আসছে যুদ্ধের অকথিত নানা গল্প।

ক্যাপ্টেন বিপি সিং। অনারারি আর্মি এয়ার ডিফেন্স অফিসার। যুদ্ধের সময় ব্যাটারি হাবিলদার মেজর জেনারেল হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। কারগিল যুদ্ধে তিনিই প্রথম রাশিয়ার তৈরি ইগলা মিসাইল ব্যবহার করেন।

সিএনএন-নিউজ18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাপ্টেন বিপি সিং বলেন, ‘‘যুদ্ধের সময়। সিনিয়রদের নির্দেশ মতো পাকিস্তানিদের দখল করা বাঙ্কার উদ্ধারে যাই আমরা। তখনই এই ঘটনা ঘটে।’’ ৯কে৩৮ ইগলা হল রাশিয়ার তৈরি ম্যান পোর্টেবল সারফেস-টু-এয়ারমিসাইল সিস্টেম। শত্রুর বিমান, ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন নামানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। থার্মাল লকিং পদ্ধতিতে কাজ করে। ফলে সাফল্য নিশ্চিত।

আরও পড়ুন: ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে প্রয়োজন অর্থও, এডুকেশন লোন কীভাবে পাওয়া যায় জানেন? কারা পেতে পারেন? জেনে নিন

সেই দিনের যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে ক্যাপ্টেন বিপি সিং বলেন, ‘‘আমরা সারাদিন পিছিয়ে ছিলাম। শত্রু সেনা ক্রমাগত আগুন উগড়ে যাচ্ছে। এনএইচ১-এ আমাদের একটা ট্রাকে ওরা হামলা চালায়। মৃত্যু হয় এক সেনা অফিসারের।’’ সেই সময়ই নির্দেশ আসে। বিপি সিংয়ের কথায়, ‘‘ঠিক তারপরই আমার কাছে নির্দেশ আসে। সেদিন ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে ছিলেন। অভূতপূর্ব কিছু করার জন্য আমার কাছে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল। নাগালের মধ্যে তিনটি পাকিস্তানি পোস্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। তখনই আমার মাথায় আসে।’’

আরও পড়ুন: দেশের সেরা MBA কলেজ কোনটি? কলকাতার কোন কলেজ তালিকায়? ভর্তির আগে IIRF-এর তালিকা দেখুন

ইগলা মিসাইলে থার্মাল লকিং সিস্টেম রয়েছে। সেটাই বিদ্যুৎ ঝলকের মতো মনে পড়ে বিপি সিংয়ের। ভাবেন, এটাই ব্যবহার করব। তিনি বলেন, ‘‘ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে। ওরা আর কী করতে পারে। পোস্ট থেকে যখনই পাকিস্তানি সেনা গুলি চালাতে শুরু করল, থার্মাল সিগন্যাল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্যবস্তু আমার লঞ্চারে লক হয়ে গেল। ব্যস, আমি ট্রিগার টানলাম। চোখের সামনে উড়ে গেল বাঙ্কার।’’

কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে অনারারি ক্যাপ্টেন বিপি সিংকে দ্রাসে বিশেষ অথিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানে উপস্থিত সেনা ও কর্তাব্যক্তিদের নিজের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মাত্র কয়েক সেকেন্ড। আমার সাফল্য আর বেঁচে থাকা ঝুলছিল ওই কয়েক সেকেন্ডের সুতোয়।’’