Tag Archives: Kargil Vijay Diwas

Kargil Vijay Diwas: কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্রের টাটকা অভিজ্ঞতা শোনালেন প্রাক্তন জ‌ওয়ান!

পূর্ব বর্ধমান: কার্গিল যুদ্ধের কথা কমবেশি সকলেরই মনে আছে। ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই কারগিল যুদ্ধে জয়লাভ করেছিল ভারতবর্ষ। সেই থেকে আজও প্রতিবছর ২৬ জুলাই দিনটি কার্গিল দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত কার্গিল যুদ্ধে ভারত জয়লাভ করলেও, দেশের জন্য শহিদ হয়েছিলেন বহু জওয়ান। কারগিল যুদ্ধের ভয়াবহ সেই সব দৃশ্য আজও মনে আছে বর্ধমানের আধা সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন জওয়ান পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায়ের। ২৬ জুলাই এলে আজও তিনি গর্ব অনুভব করেন। প্রত্যেকবছর ২৬ জুলাই তিনি স্যালুট দিয়ে সম্মান জানান নিজের স্মৃতি বিজড়িত সেই পোশাককে। নিজের বাড়িতেই গর্বের সঙ্গে পালন করেন কার্গিল বিজয় দিবস।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের বাসিন্দা প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ান পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮৮ সালে মধ্যপ্রদেশে সিআরপিএফ জওয়ান পদে যোগদান করেন। প্রত্যন্ত গ্রাম মোস্তফাপুরের বাসিন্দা পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে কাটোয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা তিনি। কারগিল যুদ্ধ চলাকালীন পল্লব’বাবুদের টিম দ্রাস এলাকায় পোস্টিং ছিল৷ তাঁর কাজ ছিল যুদ্ধে জখমদের সেবা করা। জখমদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতিকরা। শহিদ জওয়ানদের কফিনবন্দি করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরত পাঠানো৷ যুদ্ধের প্রতিটা দৃশ্য, প্রতিটা মুহূর্ত তিনি চোখের সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। ২০০৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন পল্লববাবু। তবে আজ‌ওৎকারগিল বিজয় দিবসে তিনি পুরানো স্মৃতি মনে করে গর্ব অনুভব করেন। কার্গিল যুদ্ধের সেইসব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আজও স্পষ্ট মনে রয়েছে পল্লব চট্টোপাধ্যায়ের।

আর‌ও পড়ুন: গণপিটুনি ঠেকাতে পুলিশের প্রচার

তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের দ্রাসে চলে যেতে হয়েছিল। দ্রাস থেকে মাত্র ৫ কিমি দুরেই কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত গুলি, গোলা বর্ষনের আওয়াজে কানের পর্দা ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। শত্রুপক্ষ মুর্হুমুর্হু মর্টার ছুঁড়ছে। তখন বাড়ির চিন্তা মাথাতেই নেই। এক্কেবারে নিজের মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই প্রাণপনে লোড ছিলেন সবাই। একের পর এক সহযোদ্ধা জখম হচ্ছিল। তাঁদের রক্তে নিজের জামা ভিজেছে। তবুও তাঁদের সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন। তবে শহিদদের কথা ভেবে মনের ভেতরটা হু হু করে সেদিন কেঁদেছে।

বর্তমানে পল্লববাবু অবসর নিলেও কার্গিল যুদ্ধ তাঁর কাছে যেন একটা স্মরণীয় মুহুর্ত হিসাবে রয়ে গিয়েছে। প্রতিবছর বিজয় দিবসে বাড়িতে কার্গিলের গল্প শোনানোটা এখন তাঁর রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অবসর নিলেও আজও দেশের জন্য, শহিদ জওয়ানদের জন্য তিনি গর্ব অনুভব করেন। পুরানো সেই সমস্ত দৃশ্য আজও মনে গেঁথে রয়েছে তাঁর। যুদ্ধের ২৫ বছর পরেও তিনি এখনও ২৬ জুলাই স্যালুট জানান তাঁর সেই পোশাককে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Kargil Vijay Diwas: শিশুদের সঙ্গে কারগিল দিবস পালন জ‌ওয়ানদের

নদিয়ার সীমান্তবর্তী বিএসএফ জওয়ানরা সারাদিন বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে কারগিল বিজয় দিবস পালন করেন।
নদিয়ার সীমান্তবর্তী বিএসএফ জওয়ানরা সারাদিন বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে কারগিল বিজয় দিবস পালন করেন।
বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে পক্ষ থেকে কারগিল দিবস পালন করা হল সেক্টর হেডকোয়ার্টারে অফিস প্রাঙ্গনে। এদিন কৃষ্ণনগরের বাচ্চাদের দুটো স্কুল বিএসএফ সেক্টর হেডকোয়ার্টারের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে
বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে পক্ষ থেকে কারগিল দিবস পালন করা হল সেক্টর হেডকোয়ার্টারে অফিস প্রাঙ্গনে। এদিন কৃষ্ণনগরের বাচ্চাদের দুটো স্কুল বিএসএফ সেক্টর হেডকোয়ার্টারের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে
বিএসএফের ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে অস্ত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এই অস্ত্র প্রদর্শনী দেখে ছাত্রছাত্রীরা খুবই আনন্দিত হয়। মোট ১০০ জন ছাত্রছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং বিএসএফের ৫০ জন আধিকারিক সহ সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসএফের ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে অস্ত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এই অস্ত্র প্রদর্শনী দেখে ছাত্রছাত্রীরা খুবই আনন্দিত হয়। মোট ১০০ জন ছাত্রছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং বিএসএফের ৫০ জন আধিকারিক সহ সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠান সকাল দশটা থেকে শুরু হয় এবং দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে। কারগিল যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সমরাস্ত্র এই দিন প্রদর্শনীতে রাখা ছিল।
এই অনুষ্ঠান সকাল দশটা থেকে শুরু হয় এবং দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে। কারগিল যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সমরাস্ত্র এই দিন প্রদর্শনীতে রাখা ছিল।
কারগিল যুদ্ধে যে যে সকল জ‌ওয়ান শহিদ হয়েছিলেন তাদেরকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে কারগিল বিজয় দিবস পালন করা হল।
কারগিল যুদ্ধে যে যে সকল জ‌ওয়ান শহিদ হয়েছিলেন তাদেরকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে কারগিল বিজয় দিবস পালন করা হল।
কৃষ্ণনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে এই কারগিল বিজয় দিবস পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের বিভিন্ন আধিকারিক সহ সৈনিকরা
কৃষ্ণনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে এই কারগিল বিজয় দিবস পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের বিভিন্ন আধিকারিক সহ সৈনিকরা

Kargil Vijay Diwas: ২৫ বছর আগের শহিদের স্মরণ! চন্দননগরের স্কুলেই পালন কারগিল বিজয় দিবস

হুগলি: ২৬ শে জুলাই দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর বলিদানে কারগিল যুদ্ধ জয় করেছিল ভারত। সেই কারগিল যুদ্ধের ২৫ বছর অতিক্রম করেছে। সেই যুদ্ধে যে সমস্ত সেনারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের শ্রদ্ধার্ঘ্যে চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক ও ছাত্ররা একত্রিতভাবে পালন করলেন কারগিল দিবস। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন শহীদ ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশে।

আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতেই ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত বাড়ির একাংশ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

শুক্রবার ২৬ শে জুলাই কারগিল দিবস উপলক্ষে কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের এনসিসি বিভাগ ও স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে উদযাপন করা হয় কারগিল দিবসের। প্রভাত ফেরী, বৃক্ষরোপণ এর মধ্যে দিয়ে স্মরণ করা হয় কারগিল যুদ্ধের শহীদ হওয়া সেনাদের। শহীদদের স্মরণে স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগানো হয়। ছাত্র-ও শিক্ষকরা দেশাত্মবোধক গান কবিতা আবৃতির মধ্যে দিয়ে পালন করেন এই দিনটিকে।

আরও পড়ুন:  আরোহীরা পাড়ে, চালক ছাড়াই চলতে শুরু করল গাড়ি! একেবারে ঝাঁপ দিল গঙ্গায়, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

একদিকে দেশের রাজধানী দিল্লিতে কারগিল বিজয় দিবস উদযাপন চলছে। যেখানে কারগিল যুদ্ধে মৃত শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্যে জওয়ান জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়েছে। অন্যদিকে গোটা দেশর পাশাপাশি চন্দননগরের স্কুলেও পালন হচ্ছে কারগিল বিজয় দিবস। এই বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক বিকাশ সাউ বলেন, চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের ছাত্র ও এনসিসির ব্যাটেলিয়ান সকলে মিলে এই দিন টি পালন করেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মূলত ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে ও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দেশাত্মবোধক মনোভাব তৈরি করার জন্য কারগিল বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে স্কুলে।

রাহী হালদার

Modi on Kargil vijay diwas: ‘শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান…’, কার্গিল বিজয় দিবসে ‘প্রতিবেশীকে’ কড়া বার্তা মোদির!

কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তি আজ শুক্রবার। এই উপলক্ষে এদিন লাদাখে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপরই ক্ষোভ উগরে দিলেন পাকিস্তানকে। মোদি বলেন, “অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান। সব সন্ত্রাসবাদী হামলা ব্যর্থ করে দেব আমরা।”

২৫ বছর আগে, কার্গিল যুদ্ধে শহিদ বীর সেনা সদস্যদের উদ্দ্যেশ্যে শ্রদ্ধা জানান মোদি। বলেন, “কার্গিল যুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন যাঁরা, সেই সকল সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।” মোদি এরপরেই পাকিস্তানকে নিশানা করে বলেন, “আমি সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের বলব, ওদের অপচেষ্টা কখনই সফল হবে না। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেব। লাদাখ বা ​​জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে হারাবে ভারত।”

Shinku La tunnel in Ladakh: বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল তৈরি হচ্ছে দেশেই! কোথায় শুরু কোথায় শেষ, জেনে নিন বিশদে

কার্গিল বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশেষ উপহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছে মোদি জানান, শিংকুন লা টানেল প্রকল্পের কাজ শুক্রবার থেকেই শুরু হবে। বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ার সময় লেহ-র সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে, এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ।কার্গিল বিজয় দিবস (ফাইল ছবি)
কার্গিল বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশেষ উপহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছে মোদি জানান, শিংকুন লা টানেল প্রকল্পের কাজ শুক্রবার থেকেই শুরু হবে। বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ার সময় লেহ-র সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে, এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। কার্গিল বিজয় দিবস (ফাইল ছবি)
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকরী হতে চলেছে এই টানেল। এই টানেল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমস্ত মরসুমে যাতায়াত করার সুবিধা দেবে। সারা বছর লাদাখে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করবে শিংকুন লা টানেল। সেনাবাহিনীর যাবতীয় চাহিদা যেমন অস্ত্র সরবরাহ, খাদ্য সামগ্রী এবং জ্বালানি সব মৌসুমেই পাওয়া যাবে এই পথে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকরী হতে চলেছে এই টানেল। এই টানেল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমস্ত মরসুমে যাতায়াত করার সুবিধা দেবে। সারা বছর লাদাখে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করবে শিংকুন লা টানেল। সেনাবাহিনীর যাবতীয় চাহিদা যেমন অস্ত্র সরবরাহ, খাদ্য সামগ্রী এবং জ্বালানি সব মৌসুমেই পাওয়া যাবে এই পথে।
শিংকুন লা টানেলটি ১৫ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। এর দৈর্ঘ্য ৪.১ কিলোমিটার। এটি একটি টুইন-টিউব টানেল, অর্থাৎ দুটি পথ বিশিষ্ট একটি টানেল। নিম্মু-পদুম-দরচা সড়কের উপর টানেলের নির্মাণ কাজ চলছে।
শিংকুন লা টানেলটি ১৫ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। এর দৈর্ঘ্য ৪.১ কিলোমিটার। এটি একটি টুইন-টিউব টানেল, অর্থাৎ দুটি পথ বিশিষ্ট একটি টানেল। নিম্মু-পদুম-দরচা সড়কের উপর টানেলের নির্মাণ কাজ চলছে।
কৌশলগতভাবেও, ভারত-চীন সীমান্তের দিকে মনোনিবেশ করছে দেশ। কয়েকদিন আগে, অরুণাচল প্রদেশের বালিপাড়া-চরিদ্বার-তাওয়াং রোডে ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেলা টানেল তৈরি করা হয়েছিল। এই টানেলটি ১৩ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছিল।
কৌশলগতভাবেও, ভারত-চীন সীমান্তের দিকে মনোনিবেশ করছে দেশ। কয়েকদিন আগে, অরুণাচল প্রদেশের বালিপাড়া-চরিদ্বার-তাওয়াং রোডে ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেলা টানেল তৈরি করা হয়েছিল। এই টানেলটি ১৩ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছিল।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গটি কেবল চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে না বরং যুদ্ধের সময় অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং জ্বালানীর ভূগর্ভস্থ স্টোরেজের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গটি কেবল চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে না বরং যুদ্ধের সময় অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং জ্বালানীর ভূগর্ভস্থ স্টোরেজের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারত সরকার গত ৫ বছর ধরে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে যাতে শত্রুদের সহজেই মোকাবিলা করা যায়। ২০১৯ সালে গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পরে টানেল নির্মাণে জোর দেওয়া হয়।
ভারত সরকার গত ৫ বছর ধরে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে যাতে শত্রুদের সহজেই মোকাবিলা করা যায়। ২০১৯ সালে গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পরে টানেল নির্মাণে জোর দেওয়া হয়।

Kargil Vijay Diwas 2024: ‘ট্রিগার টানলাম, উড়ে গেল বাঙ্কার’, কার্গিল বিজয় দিবসে এক ‘দুঃসাহসিক’ মুহূর্ত জানালেন ক্যাপ্টেন সিং

নয়াদিল্লি: শুক্রবার বিজয় দিবস। কারগিল যুদ্ধের ২৫ বছর উদযাপন করছে দেশ। শহিদ বীর সেনানিদের উদ্দেশ্যে নতজানু হয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে আপামর দেশবাসী। চলছে চর্চা, আলোচনা। উঠে আসছে যুদ্ধের অকথিত নানা গল্প।

ক্যাপ্টেন বিপি সিং। অনারারি আর্মি এয়ার ডিফেন্স অফিসার। যুদ্ধের সময় ব্যাটারি হাবিলদার মেজর জেনারেল হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। কারগিল যুদ্ধে তিনিই প্রথম রাশিয়ার তৈরি ইগলা মিসাইল ব্যবহার করেন।

সিএনএন-নিউজ18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাপ্টেন বিপি সিং বলেন, ‘‘যুদ্ধের সময়। সিনিয়রদের নির্দেশ মতো পাকিস্তানিদের দখল করা বাঙ্কার উদ্ধারে যাই আমরা। তখনই এই ঘটনা ঘটে।’’ ৯কে৩৮ ইগলা হল রাশিয়ার তৈরি ম্যান পোর্টেবল সারফেস-টু-এয়ারমিসাইল সিস্টেম। শত্রুর বিমান, ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন নামানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। থার্মাল লকিং পদ্ধতিতে কাজ করে। ফলে সাফল্য নিশ্চিত।

আরও পড়ুন: ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে প্রয়োজন অর্থও, এডুকেশন লোন কীভাবে পাওয়া যায় জানেন? কারা পেতে পারেন? জেনে নিন

সেই দিনের যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে ক্যাপ্টেন বিপি সিং বলেন, ‘‘আমরা সারাদিন পিছিয়ে ছিলাম। শত্রু সেনা ক্রমাগত আগুন উগড়ে যাচ্ছে। এনএইচ১-এ আমাদের একটা ট্রাকে ওরা হামলা চালায়। মৃত্যু হয় এক সেনা অফিসারের।’’ সেই সময়ই নির্দেশ আসে। বিপি সিংয়ের কথায়, ‘‘ঠিক তারপরই আমার কাছে নির্দেশ আসে। সেদিন ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে ছিলেন। অভূতপূর্ব কিছু করার জন্য আমার কাছে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল। নাগালের মধ্যে তিনটি পাকিস্তানি পোস্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। তখনই আমার মাথায় আসে।’’

আরও পড়ুন: দেশের সেরা MBA কলেজ কোনটি? কলকাতার কোন কলেজ তালিকায়? ভর্তির আগে IIRF-এর তালিকা দেখুন

ইগলা মিসাইলে থার্মাল লকিং সিস্টেম রয়েছে। সেটাই বিদ্যুৎ ঝলকের মতো মনে পড়ে বিপি সিংয়ের। ভাবেন, এটাই ব্যবহার করব। তিনি বলেন, ‘‘ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে। ওরা আর কী করতে পারে। পোস্ট থেকে যখনই পাকিস্তানি সেনা গুলি চালাতে শুরু করল, থার্মাল সিগন্যাল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্যবস্তু আমার লঞ্চারে লক হয়ে গেল। ব্যস, আমি ট্রিগার টানলাম। চোখের সামনে উড়ে গেল বাঙ্কার।’’

কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে অনারারি ক্যাপ্টেন বিপি সিংকে দ্রাসে বিশেষ অথিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানে উপস্থিত সেনা ও কর্তাব্যক্তিদের নিজের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মাত্র কয়েক সেকেন্ড। আমার সাফল্য আর বেঁচে থাকা ঝুলছিল ওই কয়েক সেকেন্ডের সুতোয়।’’

Kargil Vijay Diwas: ‘শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান…’, কার্গিল বিজয় দিবসে ‘প্রতিবেশীকে’ কড়া বার্তা মোদির! শিংকুন লা টানেলের কাজের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তি আজ শুক্রবার। এই উপলক্ষে এদিন লাদাখে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপরই ক্ষোভ উগরে দিলেন পাকিস্তানকে। মোদি বলেন, “অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান। সব সন্ত্রাসবাদী হামলা ব্যর্থ করে দেব আমরা।”

২৫ বছর আগে, কার্গিল যুদ্ধে শহিদ বীর সেনা সদস্যদের উদ্দ্যেশ্যে শ্রদ্ধা জানান মোদি। বলেন, “কার্গিল যুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন যাঁরা, সেই সকল সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।” মোদি এরপরেই পাকিস্তানকে নিশানা করে বলেন, “আমি সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের বলব, ওদের অপচেষ্টা কখনই সফল হবে না। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেব। লাদাখ বা ​​জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে হারাবে ভারত।”

“পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তারা সন্ত্রাসবাদ এবং ছায়া যুদ্ধ ব্যবহার করে। আমি আজ এমন একটি জায়গা থেকে কথা বলছি, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা সরাসরি আমার কথা শুনবে। আমি তাদের বলতে চাই, তাদের পরিকল্পনা কখনই সফল হবে না। লাদাখ হোক বা ​​জম্মু ও কাশ্মীর, আমরা উন্নয়ন চালিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্ত! আগামী ৪৮ ঘণ্টা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে! আবহাওয়ার ‘নতুন’ সতর্কতা আলিপুরের

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, কার্গিল বিজয় দিবস প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য এক বিশেষ দিন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশকে যাঁরা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সকলকে আজ শ্রদ্ধা জানানোর দিন। শিংকুন লা টানেল প্রকল্পের কাজও আজ শুরু হবে। বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ার সময় লেহ-র সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে, এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ।”