ছোট শিশুদের তৈরি রাখি

Bankura News: ‘ওরাও’ পারে ! শুশুনিয়ার খুদেরা বানাচ্ছে রাখি

বাঁকুড়া: বাচ্চাদের হাতে তৈরি হচ্ছে রাখি। তৈরি করছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার খুদে শিশুরা। যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয় না সেই জিনিসগুলি দিয়ে তারা তৈরি করছে রাখি। স্বল্পতার মধ্যেও তারা ফুটিয়ে তুলছে সৃজনশীলতা চিত্র। রাখি তৈরি করা হচ্ছে মূলত পেন্সিলের ছাল, কাগজ, আঠা,কাঁচি, পিচবোর্ড এবং অভ্র। বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের প্রায় ২২ টি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুরা তৈরি করছেন এই রাখি গুলি।

ভাই এর হাতে রাখি বাঁধে বোনেরা, রাখি পূর্ণিমা উৎসব এই জনপ্রিয় উৎসব। তবে দিন দিন বাড়ছে রাখির দাম। রাখির মধ্যে ফুটে উঠছে নতুনত্ব এবং আধুনিকতার ছোঁয়া। তা বলে কি রাখি খেলবে না শুশুনিয়ার শিশুরা? নিজেদের রাখির যোগান নিজেরাই তৈরি করছেন তারা। দেখলে বিশ্বাস করবেন না খুদেরা একসঙ্গেবসে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ছবি এঁকে,কাগজ কেটে,সুতো লাগিয়ে তৈরি করছে একের পর এক রাখি।শুশুনিয়া মোড়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি পাঠশালা। যে পাঠশালায় সার্বিক ভাবে তাদের উন্নয়নের কথা ভাবা হয়। একটি শিশুর প্রসারের ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেগুলি ভালোভাবে দেখা হয় এখানে।

আরও পড়ুন : পূজিত প্রাচীন নিমকাঠের প্রতিমা! সাবেকিয়ানার স্বাদ অনুভব করতে আসুন কয়েকশো বছরের এই শারদো‍ৎসবে

এই পাঠশালার ছাত্রছাত্রীরাই তৈরি করলেন সুন্দর সুন্দর রাখি। যদি ওই রাখিগুলিকে বাজারজাত করার কোনও সিদ্ধান্ত নেননি সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা। তবে ইতিমধ্যেই শুশুনিয়ার খুদেরা প্রশংসা কুড়িয়েছে সাধারণ মানুষের। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং এই ২২টি বাচ্চার শিক্ষার দায়িত্বে থাকা তন্ময় দত্ত জানান, “আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের সার্বিক বিকাশে আমরা সহায়তা করার চেষ্টা করি। ২২টি বাচ্চা রয়েছে এই পাঠশালায়। যারা অব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন পণ্য দিয়ে তৈরি করছে রাখি। যদিও সেটার বাজারজাত করার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।”

আরও পড়ুন : শুশুনিয়ার ঝর্ণার জল নিয়ে পথ পাড়ি, শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ব্যাপক উন্মাদনা

১৯আগষ্ট রাখি পূর্ণিমা। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ভাইদের বেঁধে রাখবে বোনেরা। শুশুনিয়ার সেই খুদেরাও সেই আনন্দের খোঁজে নিজেরাই তৈরিকরছে রাখি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

যে রাখিতে নেই আধুনিকতার প্রভাব কিন্তু রয়েছে একরাশ ভালোবাসা এবং নিষ্পাপ হাতের ছোঁয়া।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী