মাথা থেকে পা পর্যন্ত মানব শরীরে কত পেশী আছে জানেন? কোন পেশীকে শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশী বলা হয়? এটি এতটাই শক্তিশালী যে এই পেশীর মাধ্যমে প্রচন্ড শক্তিতে ওজন তোলা যায়! কিন্তু কোন এমন পেশী জানেন?বেশিরভাগ সূত্র বলে, মানবদেহে ৬৫০ টিরও বেশি পেশী রয়েছে। যদিও কিছু পরিসংখ্যান ৮৪০ পর্যন্ত পেশী থাকার কথা বলে। সাধারণত আমাদের পেশী একই রকম হয় তবে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে, এই তারতম্য বিশেষে আমাদের ক্ষমতা, দক্ষতা এবং শক্তিও আলাদা হয়ে থাকে। তবে যদি আমরা সেলুলার পেশী সম্পর্কে বলি, তাদের সংখ্যা শরীরে কোটি কোটি।এতো সব পেশীর মধ্যে শরীরের কোন পেশী তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়? চোখের পেশীগুলি এতে প্রথম সারিতে আসে, কারণ তারা সামনের দৃষ্টি ব্যালান্স করার জন্য দিনভর কাজ করে যাতে আমরা সবকিছু স্বাভাবিকভাবে দেখতে পারি।তবে চোখের বাহ্যিক পেশী ক্লান্তিতে ভোগে। যদি আমরা একটি বই পড়ি, আমাদের চোখ এক ঘণ্টায় ১০,০০০ বার সমন্বয় আন্দোলন করে।এরপরে, ‘গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস’ দুই নম্বর স্থানে আসে। এটি মানবদেহের সবচেয়ে বড় পেশী। এটি শুধু বড়ই নয় খুব শক্তিশালীও। এর কাজ হল শরীরের উর্ধাংশ অর্থাৎ ধড়কে সোজা অবস্থানে রাখা। এটি প্রধান ‘অ্যান্টি-গ্র্যাভিটি’ পেশী যা সিঁড়ি বেয়ে উঠতেও সাহায্য করে।হৃদপিন্ডের পেশীও অন্যতম সবচেয়ে কঠিন কাজ করা পেশী। প্রতিটি হৃদস্পন্দনের সঙ্গে ৭১ গ্রাম রক্ত পাম্প করে এই পেশী। আমাদের হার্ট প্রতিদিন অন্তত ২,৫০০ গ্যালন (৯,৪৫০ লিটার) রক্ত পাম্প করে। হৃৎপিণ্ড একজন ব্যক্তির জীবনে ৩ বিলিয়নেরও বেশি বার স্পন্দিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে।ম্যাসেটার আরও একটি শক্তিশালী পেশী। এটি চোয়ালের পেশী। সমস্ত চোয়ালের পেশী একসঙ্গে ৫৫ পাউন্ড (২৫ কেজি) বা মোলার উপর ২০০ পাউন্ড (৯০.৭ কেজি) শক্তি দিয়ে দাঁত বন্ধ করতে কাজ করতে পারে এই পেশী।জরায়ু নীচের অঞ্চলে অবস্থিত। এর পেশীগুলিকেও খুব শক্তিশালী বলে মনে করা হয়, কারণ তারা জন্মের সময় শিশুকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঙ্কুচিত এবং প্রসারিত হয়।‘সোলিয়াস’ হল সেই পেশী যার মাধ্যমে আমরা হাঁটি এবং দৌড়ই। এই পেশী আমাদের লাফানো এবং নাচের দক্ষতায় সমস্ত শক্তি সরবরাহ করে। এর ক্ষমতা অসাধারণ। এটি একটি খুব শক্তিশালী পেশী হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ এটি শরীরকে সোজা রাখতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করে।জিহ্বার পেশী অবমূল্যায়ন করবেন না। এটি সর্বদা পেশীগুলির একটি গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। এটি দিয়ে আমরা শুধু খাবার খাই না, কথা বলার জন্যও ব্যবহার করি এই পেশী। জিহ্বায় লিঙ্গুয়াল টনসিল থাকে যা জীবাণু ফিল্টার করে। এমনকি যখন একজন ব্যক্তি ঘুমায়, জিহ্বা লালাকে গলার নিচে ঠেলে দিতে থাকে। তাই এই পেশী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে।