যাত্রীবাহী বিমানের রঙ 'সাদা' হয় কেন? নেপথ্যে কোন বিজ্ঞান? জানলে আশ্চর্য হবেন...!

Airplanes Facts: যাত্রীবাহী বিমানের রঙ ‘সাদা’ হয় কেন? নেপথ্যে কোন বিজ্ঞান? জানলে আশ্চর্য হবেন…!

উড়োজাহাজ বা প্লেনের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো প্লেনে চড়েছে, কেউ চড়েনি।
উড়োজাহাজ বা বিমানের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো প্লেনে চড়েছে, কেউ চড়েনি। কিন্তু বিমান কেমন দেখতে হয় সকলেই জানেন।  একটা প্রশ্ন কি জাগেনি বার বার? বলুন তো… 
কিন্তু সত্যিকারের প্লেন না দেখলেও প্লেনের ছবি দেখেনি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আচ্ছা, যখন প্লেন দেখি, একটা বিষয় প্রায়ই মনে হয়, প্রায় সব প্লেনই সাদা রঙের হয়। এটা কি কোনো নিয়ম? মজার কথা হলো রং সাদাই হতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কিন্তু নেই। তাহলে কেন প্লেনের রং সাদা হয়?
যাত্রীবাহী প্রায় সব প্লেনই সাদা রঙের হয়। এটা কি কোনও নিয়ম? মজার কথা হল, বিমানের রং সাদাই হতে হবে- এমন কোনও বাধ্যবাধকতা কিন্তু নেই। তাহলে কেন প্লেনের রং সাদা হয়? জানেন?  
যে কোনও কোম্পানির যাত্রীবাহী বিমানে চড়লেই দেখা যায় যে, সেই বিমানের রং সাদা। কেবল বিমানের গায়ে কোম্পানির লোগো আর লেজের কাছে খানিকটা রং থাকে। তবে সব যাত্রীবাহী বিমানের রং সাদা হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ।
যে কোনও কোম্পানির যাত্রীবাহী বিমানে চড়লেই দেখা যায় যে, সেই বিমানের রং সাদা। কেবল বিমানের গায়ে কোম্পানির লোগো আর লেজের কাছে খানিকটা রং থাকে। তবে সব যাত্রীবাহী বিমানের রং সাদা হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ।
তাপমাত্রার ভারসাম্যসাদা রং সূর্যের রশ্মি শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে দেয়। তাই গরম কালে সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরতে বলা হয়। কারণ সাদা রং তাপ কম শোষণ করে। অনেক বেশি সহনশীল হয়। তাই বিমান যত ক্ষণই প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন, কখনওই ভিতরটা গরম হয়ে যাবে না। তাই সূর্যের চড়া রোদ সরাসরি বিমানে পড়লেও যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি, কেবিন গরম না হয়ে যায়, সে কারণেই যাত্রীবাহী বিমানে সাদা রং করা হয়।
তাপমাত্রার ভারসাম্য সাদা রং সূর্যের রশ্মি শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে দেয়। তাই গরম কালে সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরতে বলা হয়। কারণ সাদা রং তাপ কম শোষণ করে। অনেক বেশি সহনশীল হয়। তাই বিমান যত ক্ষণই প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন, কখনওই ভিতরটা গরম হয়ে যাবে না। তাই সূর্যের চড়া রোদ সরাসরি বিমানে পড়লেও যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি, কেবিন গরম না হয়ে যায়, সে কারণেই যাত্রীবাহী বিমানে সাদা রং করা হয়।
সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করেবিমানের গায়ে সরাসরি সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি পড়ে। যত বেশি উচ্চতা দিয়ে ওঠে, ততই অতিবেগনি রশ্মির দাপট সহ্য করতে হয়। সাদা রং যেহেতু সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে দিতে পারে, সে কারণেই সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিগুলি থেকে বিমানকে বাঁচানোর জন্যই সাদা রং করা হয়। সাদা রং সূর্যরশ্মির ৯৯ শতাংশ প্রতিফলিত করে দিতে পারে।
সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে বিমানের গায়ে সরাসরি সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি পড়ে। যত বেশি উচ্চতা দিয়ে ওঠে, ততই অতিবেগনি রশ্মির দাপট সহ্য করতে হয়। সাদা রং যেহেতু সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে দিতে পারে, সে কারণেই সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিগুলি থেকে বিমানকে বাঁচানোর জন্যই সাদা রং করা হয়। সাদা রং সূর্যরশ্মির ৯৯ শতাংশ প্রতিফলিত করে দিতে পারে।
ক্ষত চিহ্নিত করা যায়যাত্রীবাহী বিমানের গায়ে বা ডানায় ফাটল ধরলে, অথবা বিমানের গায়ে আঁচড়ের দাগ পড়লে তা সহজে চিহ্নিত করার জন্য এই সাদা রং -র দরুন। গাঢ় রং হলে আঁচড়ের দাগ চট করে বোঝা যেত না। সাদা রং হলে সহজেই বোঝা যায় যে আঁচড় লেগে বা ঘষা লেগে কোন ক্ষতি হয়েছে কি না!
ক্ষত চিহ্নিত করা যায় যাত্রীবাহী বিমানের গায়ে বা ডানায় ফাটল ধরলে, অথবা বিমানের গায়ে আঁচড়ের দাগ পড়লে তা সহজে চিহ্নিত করার জন্য এই সাদা রং -র দরুন। গাঢ় রং হলে আঁচড়ের দাগ চট করে বোঝা যেত না। সাদা রং হলে সহজেই বোঝা যায় যে আঁচড় লেগে বা ঘষা লেগে কোন ক্ষতি হয়েছে কি না!
 সাদা রং স্থায়ীত্বকাল ঝড়ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি, বিদ্যুতের চমকানি— বিমানকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে উড়তে হয়। যদি অন্য গাঢ় রং হত, তা হলে অল্পদিনেই বিবর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু সাদা রং সহজে বিবর্ণ হয় না। বেশি দিন স্থায়ীও হয়।
সাদা রং স্থায়ীত্বকাল ঝড়ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি, বিদ্যুতের চমকানি— বিমানকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে উড়তে হয়। যদি অন্য গাঢ় রং হত, তা হলে অল্পদিনেই বিবর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু সাদা রং সহজে বিবর্ণ হয় না। বেশি দিন স্থায়ীও হয়।
খরচ কমঅত বড় বিমান রং করার খরচ তো কম নয়। তাই পকেট বাঁচাতেও সাদা রঙই বেছে নেয় বিমান সংস্থাগুলি। একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান রং করাতে কম করেও ২৪০ লিটার রং লাগবে, সেখানে এয়ারবাস এ৩৮০ রং করতে লাগবে ৩৬০০ লিটারের মতো রং। যে রঙই করা হোক না কেন, লিটার প্রতি হিসাবে তার খরচ পড়বে বিশাল। সাদা রং সেখানে সবচেয়ে সস্তা। তাই এই রঙই বেছে নেওয়া হয়।
খরচ কম অত বড় বিমান রং করার খরচ তো কম নয়। তাই পকেট বাঁচাতেও সাদা রঙই বেছে নেয় বিমান সংস্থাগুলি। একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান রং করাতে কম করেও ২৪০ লিটার রং লাগবে, সেখানে এয়ারবাস এ৩৮০ রং করতে লাগবে ৩৬০০ লিটারের মতো রং। যে রঙই করা হোক না কেন, লিটার প্রতি হিসাবে তার খরচ পড়বে বিশাল। সাদা রং সেখানে সবচেয়ে সস্তা। তাই এই রঙই বেছে নেওয়া হয়।
ওজন কমেসাদা রং করলে বিমানের ওজন বাড়ে না। অন্য গাঢ় রঙের কয়েকটি প্রলেপ দিতে হলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। আর বিমানের ওজন বাড়লে তেলের খরচও বাড়বে। তাই সাদা রং অনেক সাশ্রয়ী।
ওজন কমে সাদা রং করলে বিমানের ওজন বাড়ে না। অন্য গাঢ় রঙের কয়েকটি প্রলেপ দিতে হলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। আর বিমানের ওজন বাড়লে তেলের খরচও বাড়বে। তাই সাদা রং অনেক সাশ্রয়ী।