সাধারণ জ্ঞান এমন এক পরিসর যার মধ্যে আসেন এমন অনেক বিষয় যা নিয়ে আমরা সচরাচর ভেবেও দেখি না তেমন। অথচ এই প্রশ্নগুলি শুনলে আকাশ থেকে পড়তে হয় আমাদের। জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে ইতিহাস-ভূগোল-দেশ-দেশান্তর, সবই অন্তর্ভুক্ত থাকে এই সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে।আর নতুন নতুন এই জ্ঞান আমাদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে সাধারণ আড্ডায় নজরে এনে দেয় নানা সময়। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় ভূমিকা নেই আজকাল। আমরা নতুন নতুন জ্ঞানের সম্মুখীন হয়ে ভাবি, ‘আরে, এটা তো জানা ছিল না’!ঠিক যেমন আমাদের শরীরের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা একেবারেই জানি না। অনেক সময় তাদের সম্পর্কে মনে কৌতূহল জাগে কেন এমন এবং কেন এমন নয়।আপনার হাতের তালু দেখে আপনার মনে এমনই একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যেখানে মানুষের সারা শরীরেই অল্প বিস্তর লোম বা চুল দেখা যায়, তাহলে কেন তালুতে কোনও লোম নেই? মাথার চুলের মতো লম্বা চুল বা হাত পায়ের মতো ছোট চুল কোনোরকম চুলই থাকে না কেন হাতের বা পায়ের তালুতে?কেন তাই হাতের তালুতে ও পায়ের পাতায় চুল গজায় না? বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে বলা হয়েছে, শরীরে Wnt নামে একটি বিশেষ প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন শরীরে চুল গজানোর জন্য দায়ী। কিন্তু আরেকটি প্রোটিন এই প্রোটিনকে শরীরের অনেক অংশে পৌঁছতে বাধা দেয়।বিজ্ঞানীরা বলেন, চুল গজাতে বাধাদানকারী এই বিশেষ প্রতিরোধক প্রোটিনের নাম ডিককপফ 2 (DKK2)। এই প্রতিষেধক প্রোটিন Wnt কে পায়ের তলায় এবং তালুতে পৌঁছতে বাধা দেয়, যার কারণেই নাকি সেখানে চুল একেবারেই গজায় না।মানব শরীরে wnt প্রোটিনের ভূমিকা কী? বিজ্ঞান বলছে, এই প্রোটিনের কারণেই শুধু মানুষের নয়, অন্যান্য প্রাণীরও চুল গজায়। তবে এটি নির্ভর করে প্রাণীটির বিশেষ জীবনধারা, পরিবেশ এবং কার্যকলাপের উপর তার শরীরে কতটা লোম থাকবে।উদাহরণস্বরূপ, ঠান্ডা জায়গায় পাওয়া প্রাণীদের সাধারণত শরীরে বেশি চুল থাকে। বাইরের শৈত্য যাতে সহজে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে তাই এই ভাবে চুল বা লোম দিয়ে ঢাকা থাকে এই প্রাণীরা।চুল শুধু শরীরকে রোদ ও ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে না, সুন্দরও করে তোলে। তবে এমন অনেক সমস্যা রয়েছে যার কারণে শরীরের লোম পড়তে শুরু করে বা চুল পড়ার মতো সমস্যা বাড়তে থাকে।এ জন্য চুলের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জানলে অবাক হবেন যে চুল সংক্রান্ত সমস্যা মানুষের পাশাপাশি পশুদের মধ্যেও দেখা যায়।
