বীরভূম: প্রত্যেক দিনই শোনা যায়, কেউ না কেউ নিজের এলাকায় টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছেন তবে অন্য জায়গায় টিকিট কেটে নিজের বাড়ি এসে কোটিপতি হওয়ার ঘটনা খুব একটা বেশি শোনা যায় না। আর এমনই এক ঘটনা ঘটল বীরভূমের মারগ্রামের শ্রীকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা সাইদুল শেখের জীবনে।
সাইদুল শেখ পেশায় দিনমজুর। কিন্তু পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে সংসারের চাপ সামলাতে তিনি বারাকপুরের একজন ঠিকাদারের অধীনে শ্রমিক হিসেবে রেলের কাজ করতে যান। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ব্যারাকপুরে থেকেই উপার্জন করেন সৈয়দুল।
আরও পড়ুন: ফের উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের অভিযোগ, জনতার ক্ষোভের আগুনে জ্বলল দোকান, গাড়ি
তবে কাজের শেষে মাঝেমধ্যেই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। লটারি টিকিট কাটা যে নেশা তা ঠিক হলফ করে বলা যাবে না, তবে কখনও একটি করে লটারি টিকিট কাটতেন। কখনও ৬০০, কখনও ১২০০-এর বেশি কোনওদিনই প্রাইজ পাননি সইদুল। মঙ্গলবারেও ঠিক তেমনই কাজ শেষ হওয়ার পর ব্যারাকপুরেই কেটেছিলেন একটি টিকিট।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ডিম দেয় এই পাখি! খেতে যেমন সুস্বাদু, গুণেও ভরপুর
তবে কাজের চাপে মঙ্গলবার সেই টিকিট তিনি মেলাতে ভুলে গিয়েছিলেন।তারপরের দিন অর্থাৎ বুধবার বীরভূমের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।আর এখানে এসে টিকিটটি মেলাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। কারণ এই টিকিটেই তিনি জিতেছেন পুরো এক কোটি টাকা। টাকা জেতার কথা জানতে পেরেই কী করবেন ভেবে না পেয়ে সোজা পৌঁছে যান মাড়গ্রাম থানায়। সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি।
সাইদুল জানান, “আমি নিজের একটি পাকা বাড়ি তৈরির জন্য কাজ শুরু করেছিলাম কিন্তু অর্থাভাবের কারণে সেই বাড়ির কাজ শেষ হবে কি না চিন্তায় ছিলাম ভগবান আমার সহায় হয়েছে। এছাড়াও কিছুটা জমি কিনব আর বোনের বিয়ে দেব।” প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন অভাব অনটনের মধ্যে জীবন কাটত সৈয়দুলের। লটারিতে এই ১ কোটি টাকা মেলাতে অনেকটাই সুবিধা হবে পরিবারের।