মহিলা আঁকছেন মহিলা শিল্পী

Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে সংসার চলছে…’, কী ভাবে? বললেন মহিলা পটচিত্রশিল্পী

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার লোকসভা কেন্দ্রের ছাতনা ব্লকের শুশুনিয়া পাহাড় সংলগ্ন গ্রাম ভরতপুর। এই ভরতপুরে বাস পটচিত্র শিল্পীদের। পটচিত্রের সঙ্গে তাদের জড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। পটচিত্র অঙ্কনে তাঁরা সিদ্ধ হস্ত হলেও এই গ্রামের জীবন জীবিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভিন্ন।

লোকসভা ভোটের আগে গ্রামের ১৯ টি পরিবার নিজেদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে সরব হলেন। বেশি শোনা গেল মহিলাদের আওয়াজ। এই মহিলাদের মধ্যে ছিলেন পটচিত্র শিল্পীরাও। মহিলাদের বক্তব্যের মধ্যে সব রকম আলোচনা উঠে এসেছে।

ভরতপুরের বাসিন্দা মহিলা পটশিল্পী গোলাপী চিত্রকর বলেন, “ভোটের আগে বা পরে পটচিত্রের ট্রেনিং চাই। আমরা আরও ভাল করে কাজ শিখতে চাই। অনেক মানুষ আসেন, তাদের আমাদের কাজ পছন্দ হলে আমরা কাঁচা মালের অভাবে বানিয়ে দিতে পারি না।” তবে সরকারি ভাতা সঠিক সময়ে পাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন মহিলারা। উঠে এসেছে লক্ষীর ভাণ্ডারের কথাও। মহিলা পট চিত্রশিল্পী সুনীতা চিত্রকর জানান, সঠিক সময়ে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন তাঁরা। আগে ৫০০ করে পেলেও, এই মাসে পেয়েছেন ১০০০ টাকা।

পাঁচ বছরের হিসেব নিকেশে উঠে এসেছে পানীয় জলের কথা। তপ্ত গরম বাঁকুড়ায়, এই গরমে গ্রামের ভেতরে টাইম কল লাগাবার কথা জানিয়েছেন গোলাপী চিত্রকর। তিনি বলেন, “মডেল গ্রামে টাইম কল আছে, কিন্তু গ্রামে নেই। গ্রামে টাইমকল হলে আমাদের দুর্ভোগ কমে। গ্রামের ১৫ থেকে ১৬ জন পুরুষ জন শিল্পী পাচ্ছেন লোকপ্রসার ভাতা নামক একটি বিশেষ শিল্প প্রসার ভাতা। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা। তবে এই ভাতা শুধুমাত্র পুরুষেরাই পান বলে জানিয়েছেন ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চিত্রকর বলেন , “শিল্প প্রসার ভাতা পাচ্ছি। তবে গ্রামে একটাই নলকূপ। লাইন দিয়ে জল ভর্তি করতে জীবন বেড়িয়ে যায়।”

লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই চাওয়া পাওয়া হিসেব-নিকেশ, এবং অদৃশ্য দাঁড়িপাল্লা নিয়ে পাঁচ বছরের হিসেব করা হবে। শহরাঞ্চলের মানুষের চাহিদা এবং প্রত্যন্ত গ্রামগুলির চাহিদা সম্পূর্ণ অন্যরকম। সেই কারণেই তুলে ধরা হল পাহাড়ের কোলে প্রত্যন্ত ভরতপুর গ্রামের কথা।