সীমানা এলাকা

West Medinipur News: বাড়ি বাংলায়, চাষের জমি ওড়িশায়, জানুন বাংলার শেষ গ্রামের নানা অজানা কথা

পশ্চিম মেদিনীপুর: নেই কাঁটাতার, নেই কোনও দীর্ঘ ব্যারিকেড। না এটা কোনও আন্তর্দেশীয় সীমান্ত নয়, এটি একটি আন্তরাজ্য সীমান্ত। তবে বাংলা সীমানা এলাকা শেষ এই গ্রামগুলিতে এলে আপনি একটু অবাকই হবেন। এই সমস্ত গ্রামগুলিতে দুই রাজ্যের সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা মিলেমিশে একাকার হয়েছে। শুধু তাই নয় এক রাজ্যে বসতি তো অন্য রাজ্যে চাষের জমি। কি শুনে অবাক হচ্ছেন? আসলে বেশ কয়েকশো বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে বাংলা সীমানা এলাকার এই কয়েকটি গ্রামে।

কেউ থাকেন পশ্চিমবঙ্গে, কেউ ওড়িশা। কিন্তু কারোর চাষের জমি রয়েছে বাংলায়, কারোর আবার ওড়িশা। রাজ্যের বেড়াজাল ভুলে প্রতি বছর সময়ের সময়ে চাষের জন্য এ রাজ্য থেকেই ও রাজ্যে যেতে হয়। মাঝে অদৃশ্য আন্ত রাজ্য বিভাজন। পশ্চিমবঙ্গের ওড়িশা সংলগ্ন সীমানায় রয়েছে বাংলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে সোনাকোনিয়ার বাইপাটনা, সোলপাট্টা সহ একাধিক গ্রাম। বাংলার বেশ কয়েকটি ব্লকের উপর দিয়ে সুবর্ণরেখা নদী প্রবাহিত হয়ে বাইপাটনা এলাকায় এসে ডানদিকে বাঁক নিয়ে ঢুকেছে লক্ষণনাথে।

আরও পড়ুনDigha Direct Train: পর্যটকদের স্বর্গ! এবার সোজাসুজি কলকাতা থেকে দিঘার ট্রেন, টিকিট কাটার হিড়িক

প্রসঙ্গত, এই বাইপাটনা, সোলপাট্টা, মাটিবিরুয়া সহ একাধিক গ্রাম অবস্থিত বাংলার একদম শেষ প্রান্তে। অর্থাৎ বাংলার শেষ গ্রাম এইগুলো। তবে কালক্রমে এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের চাষযোগ্য জমি রয়েছে বাড়ি থেকে সামান্য কিছুটা দূরে, যা বর্তমানে এখন ওড়িশা রাজ্যের অধীন। স্বাভাবিকভাবে চাষের সময় তাদের যেতে হয় ওড়িশাতে। চাষের পাশাপাশি খাজনা দিতেও যেতে হয় ওড়িশা রাজ্যে।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, একসময় পশ্চিমবঙ্গের দাঁতন থানা এলাকা ছিল ওড়িশা শাসকের অধীন। স্বাভাবিকভাবে এই গ্রামও ছিল ওড়িশার অধীনে। বাংলা ওড়িশা ভাগ হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবে বেশ কিছু জনের জমি থেকে যায় ওড়িশাতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওড়িশায় জমি কেনাবেচার কারণে বেশকিছুজনের চাষযোগ্য জমি থেকে যায় সে রাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার যেমন শেষ প্রান্তে এই গ্রাম, তেমনি ভাষা সম্প্রীতির বৈচিত্র্যের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার কাহিনী আপনাকে অবাক করবে।

রঞ্জন চন্দ