দক্ষিণবঙ্গ, বীরভূম, ব্যবসা-বাণিজ্য Earn Money Dragon Fruit Farming: পথ দেখাচ্ছে মাড়গ্রাম, আর নয় চেনা ফলের চাষ, ড্রাগন ফল চাষেই চাষিদের রমরমা Gallery August 5, 2024 Bangla Digital Desk : প্রথাগত চাষবাস ছেড়ে এখন অনেক কৃষক ঝুঁকছেন বিকল্প চাষের দিকে।ধান,পাট চাষ বন্ধ করে শুরু করেছেন ড্রাগন ফ্রুটের চাষ।আর এই চাষ করে বছর দুয়েকের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন কৃষকরা। কৃষকরা অন্যান্য চাষিদেরও বার্তা দিচ্ছেন কিছুটা জমিতে বিকল্প চাষ করতে। এবার কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী গড়ে তুলতে জৈব পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ করে দিশা দেখাচ্ছে বীরভূমের মাড়গ্রাম ডক্টর মহম্মদ কুদরত ই খুদা গ্রামীণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশ কেন্দ্র।জেলার বড় গ্রাম হিসাবেই পরিচিত মাড়গ্রাম। জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের অধিক।গ্রামের অধিকাংশ মানুষই জীবিকা নির্বাহ করে কৃষিকাজের মধ্যে দিয়ে। এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে চাষে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার পৌঁছে দিতে শুরু হয় মাড়গ্রামে শুরু হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশ কেন্দ্র। ১৯৯০ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল সৈয়দ নুরুল হাসান বিজ্ঞানী মহম্মদ কুদরত ই খুদার মাড়গ্রামের পুরানো বাড়িতেই বিজ্ঞানী ডক্টর মহম্মদ কুদরত ই খুদার গ্রামীণ বিকাশ প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাড়গ্রাম ইনতলা পাড়ায় কৃষি সম্প্রসারণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কীভাবে জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন চাষ করা হয় তার একটি জায়গা তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই প্রায় আড়াই কাঠা জায়গা জুড়ে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ করে কৃষকদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী গড়ে তুলতে দিশা দেখাচ্ছে মাড়গ্রামের এই বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিকাশ কেন্দ্র। মাড়গ্রাম ডক্টর মহম্মদ কুদর ই খোদা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিকাশ কেন্দ্রের সম্পাদক মনিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন “মাড়গ্রামের ইনতলা পাড়া রাস্তার ধারে প্রায় আড়াই কাঠা জমিতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে।গাছ গুলিকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য শক্ত পিলার, বাঁশ বা গাছের ডাল পুঁতে তার পাশে গাছ গুলি লাগাতে হবে।একটি গাছের সঙ্গে ওপর একটি গাছের দুরুত্ব থাকবে ৩ ফুটের। চাষে প্রয়োজন পরিমান মত জল। আর রোদ যুক্ত এলাকায় দরকার, যেন ছায়া না হয়। এখানে আমরা সার হিসাবে ব্যবহার করেছি কেঁচো সার, হাঁস মুরগির মল, গোবর, ধানের তুষ ইত্যাদি। অনেক কম বিনিয়োগ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। যার ফলে কৃষক ভালো আয় করতে পারে এই ফল থেকে।কৃষকেরা ধান, গম, সরষে ছাড়াও উপার্জনের বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে এই চাষ বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় করছেন। অনেক কম বিনিয়োগ করে ভালো লাভ পাওয়া যাচ্ছে। এই ফল শরীরের জন্য আন্টি ওক্সিডেন্ট এর কাজ করে অর্থাৎ শরীরে ক্ষয় প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে তাই ফলের গুণগত মানের জন্য স্বাভাবিকভাবেই বাজারে চাহিদা অনেকটাই। Input- Souvik Roy