Tag Archives: dragon fruit
Earn Money Dragon Fruit Farming: পথ দেখাচ্ছে মাড়গ্রাম, আর নয় চেনা ফলের চাষ, ড্রাগন ফল চাষেই চাষিদের রমরমা
Dragon Fruits Cultivation: এই রঙের ড্রাগন ফ্রুট চাষে এখন মালামাল হওয়ার মেগা সুযোগ, কীভাবে হয় ফলন, রইল সুলুকসন্ধান
Dragon Fruit Cultivation: সোশ্যাল মিডিয়া দেখে স্কুলের ছাদে ফলের বাগান, তারপর যা হল!
পূর্ব বর্ধমান: এখন ড্রাগন ফ্রুট সকলের কাছেই বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। অনেকেই বর্তমানে এই ড্রাগন ফ্রুটের চাষও শুরু করেছেন। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় দেখা গেল এক ভিন্ন ছবি। সোশ্যাল মিডিয়া দেখে বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করছেন শিক্ষকরা। হ্যাঁ এমনই এক ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের একটি বিদ্যালয়ে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-১ ব্লকের শ্যামসুন্দর অঞ্চলে অবস্থিত মাদানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ কেন? কী কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: আম আঁটির বাজার! আম খেয়ে আঁটি ফেলে না দিয়ে বিক্রি করুন
এই বিষয়ে মাদানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রথমত এই ফল এখানে প্রায় নতুন বলা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া দেখে প্রথম এই বিষয়ে জানতে পারি। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক পীযুষবাবুর উদ্যোগে এই চাষ শুরু হয়। পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে এই ফল তাদের খাওয়ানো হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য বাজারে এই ফল বিক্রির চিন্তাভাবনাও রয়েছে।
জানা গিয়েছে গত দু’বছর ধরে বিদ্যালয়ে চলছে এই ড্রাগন ফলের চাষ। বিদ্যালয় ভবনের ছাদের ওপরে রয়েছে ১০০ টিরও বেশি ড্রাগন ফলের গাছ। ২০২৩ সাল থেকে এই ড্রাগন ফলের গাছ থেকে মিলছে ফল। বর্তমানে এইসকল গাছ থেকে প্রাপ্ত ফল বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও খাওয়ানো হয়। জানা গিয়েছে, আগামী দিনে পড়ুয়াদের এই ফল খাওয়ানোর পাশাপাশি, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বাজারজাত করার কথাও ভাবছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পূর্ব বর্ধমানের এই বিদ্যালয়ের এহেন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Success Story: মাল্টি-ন্যাশনালের চাকরি ছেড়ে ফল চাষ, স্ত্রীর বুদ্ধিতে কামাল!
পূর্ব বর্ধমান: চাকরি ছেড়ে স্ত্রীর বুদ্ধিতে শুরু করেন ফল চাষ। বর্তমানে সেই ফল চাষ করেই লাভবান হচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের এক যুবক। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতের মাধাইপুরের বাসিন্দা অমিতাভ ঘোষ। একসময় তিনি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তবে এখন ফল চাষ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অমিতাভবাবু। তাঁর বাগানে রয়েছে মাল্টা, ড্রাগন ফ্রুট এবং কমলালেবুর গাছ। সবথেকে বেশি রয়েছে মাল্টা এবং ড্রাগন ফ্রুট। বাড়ির পাশেই বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে তিনি এইসকল ফলের চাষ শুরু করেছেন।
এই প্রসঙ্গে আমিতাভ ঘোষ বলেন, চাকরি করার সময় থেকেই নিজের কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল। পরবর্তীতে স্ত্রীর বুদ্ধিতে এই ফলগুলোর চাষ শুরু করেছেন। তাঁর মতে, প্রথাগত চাষ থেকে বেরিয়ে এসে যদি এই ধরনের চাষ করা যায় তাহলে ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, এই চাষ থেকে তার যা উপার্জন হয় তা একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত।
আরও পড়ুন: এবার আওয়াজ তুলল যুবসমাজ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সামনে এল তাদের দাবি
তবে আমিতাভবাবু একা নয়, এই ফল চাষের কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তার স্ত্রী কৃষ্ণা নন্দী ঘোষ। কৃষ্ণাদেবী একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি করেন। পাশাপাশি তিনি যেটুকু সময় পান সেই সময় স্বামীর এই কাজে সাহায্য করেন। এককথায় স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলেই ফলের বাগানের পরিচর্যা করে থাকেন। প্রথমে ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ফল চাষ শুরু করেছিলেন অমিতাভবাবু।
এই চাষের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে অমিতাভবাবু জানান, ১ বিঘা জমিতে যদি মাল্টা চাষ করা হয় তাহলে প্রায় ৭০ টা মাল্টা গাছের চারা লাগবে। এক এক পিস চারা গাছের দাম পড়বে প্রায় ২৫০ টাকা। এছাড়াও লাগবে গাছ বসানোর জন্য শ্রমিক এবং প্রয়োজনীয় সার। পরবর্তিতে ফলন হলে এই মাল্টা বাজারে পিস হিসাবে বিক্রি করা হয়। বাজারে এক এক পিস মাল্টার দাম প্রায় ৭ টাকা। তবে বিভিন্ন জায়গায় কেজি হিসেবেও মাল্টা বিক্রি হয়ে থাকে। অন্যদিকে আমিতাভবাবুর কাছে জানা গিয়েছে, ১ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করলে জমিতে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টা পিলার বসাতে হয়। এক একটি পিলারে চারটে করে গাছ ধরে। আর এই ড্রাগন ফ্রুট গাছের দাম পড়ে নূন্যতম ৫০ টাকা। তবে ভাল প্রজাতির ড্রাগন ফ্রুটের দাম আরেকটু বেশি হয়।
বাজারে ১ পাল্লা ড্রাগন ফ্রুটের দাম প্রায় ১১০০ টাকা। তবে শুধু মাল্টা এবং ড্রাগন ফ্রুট নয়, আমিতাভবাবুর বাগানে কমলালেবু, কাঁঠাল সহ বেশ কিছু আম গাছও রয়েছে। এই চাষের জন্য সকাল থেকে দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয়। তবে পরিশ্রম হলেও চাকরি করার থেকে ফল চাষ করে তিনি অনেক আনন্দে রয়েছেন। তাঁর কথায়, ফল চাষ থেকে যে টাকা উপার্জন হয় তা একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অনেক। স্ত্রীর বুদ্ধিতে ফল চাষ শুরু করে আজ অনেকটা সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন পূর্বস্থলীর মধাইপুরের আমিতাভ ঘোষ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী