জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের বন্যপ্রাণেদের নিয়ে হামেশাই হৃদয়বিদারক সংবাদ শিরোনামে চোখে পড়ে। কখনও চিতা বাঘের লোকালয় হানায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তো আবার চিতা বাঘের আক্রমণে সাধারণ নিরীহ মানুষকে মৃত্যু বরণও করতে হয়। কখনও চিতা বাঘের অত্যাচার থেকে বাঁচতে খাঁচার ফাঁদ পেতে রাখা হয় চিতা বাঘ ধরার জন্য। কিন্তু এদিনের চিত্র খানিক অন্য।
এদিন দেখা যায় চা বাগানের নালার এক কোণে ’মা’ চিতার অপেক্ষায় বসে রয়েছে চিতাবাঘের দুই ফুটফুটে শাবক। কখন মা আসবে আর স্তন্যপান করাবে তারই অপেক্ষায় বসে রয়েছে তারা। তবে চিতাবাঘের ছোট্ট শাবককে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানে।
আরও পড়ুন: এই অভিনেতা একবার ‘হ্যাঁ’ বললেই অমিতাভের হাতছাড়া হত ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’! জানেন কে ছিলেন প্রথম পছন্দ?
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কাজ করার সময় শ্রমিকরা বাগানের ১৫ বি সেকশনের একটি নালায় ২টি চিতাবাঘের শাবক দেখতে পান। এদিকে খবর চাউর হতেই বাচ্চা চিতাবাঘ দেখতে বহু মানুষের ভিড় জমে এলাকায়। দেরি না করে তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের।
খবর পেয়েই খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছোন। চিতাবাঘের শাবকগুলিকে সেই জায়গাতেই রেখে এলাকা খালি করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরই বাগানের তরফে ওই এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সূর্য ডোবার পরেই মা এসে শাবকগুলিকে নিয়ে যাবে। তাই কেউ যাতে শাবকগুলিকে বিরক্ত না করে সে বিষয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পাশাপাশি এলাকাবাসীদেরও সাবধান ও সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা চিতা বাঘের শাবকগুলিকে কোনও ভাবে বিরক্ত না করে। উল্লেখ্য, এর আগেও আইভিল চা বাগানে বহুবার চিতাবাঘের শাবক দেখা গিয়েছে। বহু চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দীও করা হয়েছে।
সুরজিৎ দে