PBKS vs GT : লিয়াম লিভিংস্টোনের ধামাকায় গুজরাতের বিরুদ্ধে লড়াকু রান পঞ্জাব কিংসের

পঞ্জাব কিংস –  ১৮৯/৯

মুম্বই: টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাত টাইটান্স দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। দ্বিতীয় ওভারেই নিজে বল করতে চলে এলেন। ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে তুলে নিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। জনি বেয়ারস্টো (৮) ফিরে গেলেন লকি ফার্গুসনের বলে। লিভিংস্টোন ২০ রানের মাথায় রশিদ খানের বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় হার্দিকের পা দড়ি স্পর্শ করেছিল।

শিখর ধাওয়ান (৩৫) আউট হয়ে গেলেন রশিদ খানের বলে। আইপিএলে আবির্ভাবেই সাড়া ফেলেছে গুজরাত টাইটান্স। পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে মনোবল তুঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়াদের। জয়ের হ্যাটট্রিকের হাতছানি তাঁদের সামনে। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার ব্র্যাবোর্নে পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হচ্ছে গুজরাত। তবে মায়াঙ্ক আগরওয়ালরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। তিনটি খেলে জিতেছে দু’টিতে। তৃতীয় জয়ের খোঁজে তাল ঠুকছে অনিল কুম্বলের ছেলেরা।

দুর্দান্ত পেস অ্যাটাক। পাশাপাশি রয়েছে স্পিনের বৈচিত্র। গুজরাতের সাফল্যের ইউএসপি লুকিয়ে মূলত বোলিং বিভাগে। মহম্মদ সামি, লকি ফার্গুসন, বরুণ অ্যারনের পাশাপাশি রয়েছেন বিজয় শঙ্করের মতো পেসার। পুরো কোটা বল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্যাপ্টেন হার্দিকও। স্পিনার রশিদ খান অবশ্যই গুজরাতের সেরা অস্ত্র। কারণ, রান আটকে রাখার পাশাপাশি উইকেটও নিতে পারেন তিনি।

দ্বিতীয় স্পিনারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অলরাউন্ডার রাহুল তেওয়াটিয়া। তুলনায় গুজরাতের ব্যাটিং কিছুটা দুর্বল। ম্যাথু ওয়েড, বিজয় শঙ্কর কিংবা ডেভিড মিলারের খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে শুভমান গিলকে। এদিক থেকে পঞ্জাবের ব্যাটিং লাইন-আপ কিছুটা হলেও এগিয়ে। এরপর লিভিংস্টোন নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন।

কিন্তু তরুণ দর্শন নালকাণ্ডে পরপর দুই বলে জিতেশ শর্মা এবং ওডিন স্মিথকে ফিরিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত লিভিংস্টোন (৬৪) রশিদ খানের বলে আউট হলেন মিলারের হাতে ধরা পড়ে। এরপর শাহরুখ খান (১৫) ফিরে গেলেন রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। শেষদিকে রাহুল চাহার এবং আর্শদীপ মিলে পঞ্জাবের রান অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন। হার্দিক পান্ডিয়াদের জিততে হলে রীতিমতো লড়াই করতে হবে।