Viral Pic of Dog in Ukraine: জাগবে না আর, তবু ইউক্রেনে যুদ্ধে মৃত মালিকের দেহের পাশে অপেক্ষায় পোষ্য সারমেয়!

Viral Pic of Dog in Ukraine: রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস। রাস্তায় মৃতদেহ আর গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ির দৃশ্য দেখতে দেখতে বিশ্বের চোখ সয়ে গেছে। মানুষের মৃত্যু সহজ, কিন্তু মৃত্যুকে মেনে নেওয়া ততটাই কঠিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশে এক সারমেয়র অপেক্ষা এই কথাই আবার প্রমাণ করছে। মালিক মরে পড়ে রইলেও মৃতের পাশে বসে ফের জ্যান্ত হয়ে ওঠার অপেক্ষাতে বসে রয়েছে এই পোষ্য। ইউরোপের এক সংবাদ মাধ্যম নেক্সটা টিভি জানিয়েছে, কিয়েভে রাশিয়ার আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ওই পোষ্যের মালিক। কিন্তু তাঁর পোষ্য তাঁকে ছেড়ে নড়ছে না।

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ায় কনডোমের বিক্রি বাড়ল ১৭০%! কেন এত চাহিদা জানালেন বিজ্ঞানীরা

ছবিতে দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে মরে পড়ে থাকা দেহের পাশেই বসে রয়েছে কুকুরটি। মৃতদেহের পাশেই পড়ে রয়েছে একটি নীল রঙের বাইসাইকেল। স্বাভাবিকভাবেই, যুদ্ধের এই অস্থির সময়ে এমন ছবি ফের প্রশ্ন তুলছে, যুদ্ধে আসলে কাদের লাভ, যুদ্ধে আসলে কাদেরই বা ক্ষতি? ছবির নীচে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “কুকুরটা তো পরিস্থিতি বুঝছে না। ও মালিকের জেগে ওঠার অপেক্ষা করছে। কী মর্মান্তিক! ভালোবাসা আর বিশ্বাসের সংজ্ঞা কী, তা ওকে দেখে বোঝা যাচ্ছে।”

অন্য এক নেটিজেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে কুকুরদের অবস্থার দিকটিও তুলে ধরেছেন। একটি ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন, কিয়েভের পশুকেন্দ্রগুলিতে জল আর খাবার না পেয়ে ৩৫৫ টি কুকুরের মৃত্যু ঘটেছে। রাশিয়ার এক নাগাড়ে আক্রমণের কারণে কুকুরদের জন্য খাবার মজুত করতেও পারেননি কেউ। এখন বেঁচে রয়েছে মাত্র ১৫০ টি সারমেয়।”

আরও পড়ুন- Viral Optical Illusion: বলুন তো, ছবির মানুষটি আপনার দিকে দৌড়ে আসছে নাকি আপনার থেকে দৌড়ে পালাচ্ছে?

ছবিটি দেখে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে হলিউডের সেই বিখ্যাত সিনেমা ‘হাচিকো’র কথা। সেখানেও মৃত মালিকের জন্য এভাবেই অপেক্ষা করেছিল পোষ্যটি। ১৯৩০ সালের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল সেই সিনেমাটি। মালিকের মৃত্যুর পরেও ৯ বছর অপেক্ষা করেছিল হাচিকো নামের জাপানি কুকুরটি।

টাইমস অব ইজরায়েলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের মারিওপোলের মেয়র ভাদিম বৈচেঙ্কো সম্প্রতি জানিয়েছেন রাশিয়ার বোমা বর্ষণে শহরের ৮০% ভবনই গুঁড়িয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ৪০% আর কোনওভাবেই সারানোও যাবে না। এখনও শহরে আটকে রয়েছেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ।