শিক্ষক সুরজিৎ মাইতি 

Special Automatic Bell: স্কুলে পিরিয়ড শেষের ঘণ্টা বাজানোর ঝামেলা শেষ, জীবন বিজ্ঞান শিক্ষকের অবাক আবিষ্কার

পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি বিদ্যালয়ের জীব বিদ্যার শিক্ষক। ছোট থেকেই ক্ষীণ দৃষ্টি। তবে জীবনের সব বাধা প্রতিবন্ধকতাকে ছাড়িয়ে আজ তিনি সমাজের কাছে প্রতিষ্ঠিত। সেই সুরজিৎ মাইতি এবার নিজের বিষয়ের বাইরে গিয়ে স্কুলের জন্য তৈরি করলেন এক বিশেষ ধরনের অটোমেটিক বেল।

সবং ব্লকের ভেমুয়া অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের জীববিদ্যার শিক্ষক সুরজিৎ মাইতি খেয়াল করেন, স্কুলের ঘণ্টা বাজানোর কাজ যারা করেন তাঁদেরকে অধিকাংশ সময় অন্যান্য অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই তাঁদের পক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজানো সহজসাধ্য হয়ে ওঠে না। ফলে হামেশাই সময়ের আগে-পরে হয়ে যায় ঘণ্টা বাজানো। এই সমস্যা দূর করতেই তিনি এই বিশেষ ধরনের অটোমেটিক বেল তৈরি করেন। এতে একেবারে নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজবে, হবে অ্যানাউন্সমেন্ট।

আর‌ও পড়ুন: ডিভিসি’র ছাড়া জলে ডুবে চাষের জমি, মাথায় হাত কৃষকদের

সুরজিৎ’বাবুর তৈরি এই অটোমেটিক বেল তাঁর নিজের স্কুলের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন স্কুল’ও ব্যবহার করছে। ব্যবহার না হওয়া মোবাইল ফোন, বিদ্যালয় সাউন্ড সিস্টেম এবং আপৎকালীন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার না হওয়া ইউপিএসকে কাজে লাগিয়ে তিনি তৈরি করেছেন এই অটোমেটিক সিস্টেম। এতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর শুধু ঘণ্টাই বাজবে না, সঙ্গে হবে অ্যানাউন্সমেন্ট। শিক্ষকের এই অভিনব ভাবনায় খুশি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রঞ্জন চন্দ