গুরু-শিষ্য, এমন ভাবেই তাঁদের চেনে গোটা বিশ্ব। আর সেই চেনাটা যে খুব একটা ভুল নয় তা প্রমাণ করলেন লিওনেল মেসি। ওসাসুনার বিরুদ্ধে বার্সা ম্যাচে তিন কাঠিতে ফুল ফুটল ঘনঘন, ফুল ফোটালেন মেসি। গুরুপ্রণামী হিসেবে যা দিলেন তার চেয়ে বেশি কিছুই বোধহয় মারাদোনাকে দেওয়ার নেই।
এদিন ওসাসুনার ম্যাচে যেন গোলের সংকল্প নিয়েই নেমেছিলেন মেসি। গোটা ম্যাচ জুড়ে বল সাজিয়ে গেলেন ঠিক যেমনটা করতেন ১০ নং জার্সি গায়ে খেলা কিংবদন্তি। খেললেন উঠে-নেমে, সারা মাঠ জুড়ে। প্রথম গোলটা আসে মার্টিন ব্রাথওয়েটের পা থেকে ২৯মিনিটের মাথয়। ৪২ মিনিট নাগাদ ডি বস্কসের বাইরে থেকে জালে হল ঢোকান আঁতোয়ান গ্রিজম্যান।৫৭ মিনিটের মাথায় গোল আসে কুতিনিওর পা থেকে। দাপটের সঙ্গে খেললেও গোল পাচ্ছিলেন না মেসি। অবশেষে আসে মহেন্দ্রক্ষণ।
৭৩ মিনিটের মাথায় পা বল পেয়ে বক্সে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে মেসি যে শটটা নেন, তাঁকে নয়নাভিরাম বললেও কম বলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে জার্সি খুলে ফেলেন মেসি। দু হাত তুলে গোল উৎসর্গ করেন ফুটবলের রাজপুত্রকে। যেন বললেন, এই ১০ নম্বরের সবচেয়ে বড় হকদার তুমি ছিলে আছো, থাকবে, প্রিয় মারাদোনা। ১০ নম্বর জার্সি খোলাটা নিছকই জার্সি খোলা নয়, রয়েছে অন্য গল্পও। তলায় যে ইয়ামাহার ইনারটি পরেছিলেন মেসি, হুবহু সেই জার্সি গায়ে একসময়ে খেলেছেন মারাদোনা নিউওয়েলস ওল্ড বয়ের হয়ে। মেসি যেন বুঝিয়ে দিলেন, মারাদোনার পথই তাঁর পাথেয়।
It’s all about number ?.
The best player in the world and his tribute to #D10S ❤️?#DiegoEterno ♾ pic.twitter.com/JZhkZgX9jx
— Newell’s Old Boys (@CANOBoficial_en) November 29, 2020
মাঠে নিয়ম ভাঙার জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখান। কিন্তু ফুটবল মাঠে ততক্ষণে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন। তৈরি হয়েছে এক অতিলৌকিক কবিতা। ওপারে যখন মারাদোনা, হলুদ কার্ড বড় ফিকে।