Tag Archives: Diego Maradona

মারাদোনার থেকে এগিয়ে মেসি! আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী কোচের বড় সার্টিফিকেট লিওকে

#রোজারিও: লিওনেল মেসি দীর্ঘদিন পর ছুটি কাটিয়ে ক্লাব ফুটবল খেলতে প্যারিসে ফিরে এসেছেন। কিন্তু এখনও তর্ক চলছে কে সেরা, মেসি না মারাদোনা? এই প্রশ্নের উত্তর যেন শেষ হওয়ার নয়। কোচ লিওনেল স্কালোনির হাতে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দায়িত্ব যখন তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন দিয়েগো মারাদোনা বলেছিলেন, ওর তো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেরই ক্ষমতা নেই।

জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ওকে চাই না। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরে এই স্কালোনি এবং পাবলো আইমার মিলে ফোন করেছিলেন মেসিকে। ফোনে স্কালোনি ‘এলএম১০’-কে বলেছিলেন হ্যালো, লিও আমার সঙ্গে রয়েছে আইমার। পাবলো আইমাকে আইডল মানতেন মেসি। আর স্কালোনির সহকারী ছিলেন আইমার।

তার পরের ঘটনা ইতিহাস। স্কালোনির নেতৃত্বে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। তার পরে বিশ্বকাপেও নীল-সাদার জয়জয়কার। এক সাক্ষাৎকারে স্কালোনি বলেছেন, আমার মতে, ফুটবল ইতিহাসে সেরা মেসিই। মারাদোনা গ্রেট, তবে লিও আমার কাছে স্পেশ্যাল। উল্লেখ্য, স্কালোনির অধীনে ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে গোল করেছেন ৩২ বার।

কয়েকদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে স্কলোনি জানিয়েছিলেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে চান পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০২৬ মেসি খেলুন। ফিটনেসর সমস্যা হবে না তিনি জানেন। কিন্তু মানসিকতাটা ওই জায়গায় রাখতে চান। তবে পরের বিশ্বকাপ মেসি খেলবেন কিনা সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

`মেসি মনে রেখ, দিয়েগো মারাদোনা কিন্তু ফাইনালটা দেখবেন’ ! আবেগে ভাসলেন বাতিস্তুতা

#দোহা: নিজের ফুটবল জীবনের মধ্য গগনে যখন ছিলেন, তখন তার মত ধ্বংসাত্মক স্ট্রাইকার গোটা ফুটবল দুনিয়াতেই কম ছিল। তার থেকে সামান্য হলে এগিয়েছিলেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো। দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সিতে বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে গোল করেছেন গ্যাবরিয়েল বাতিস্তুতা।

ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে শিরোপা জয় থেকে আর একধাপ দূরে লিওনেল মেসি ও তার দল। রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮:৩০ টায় ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল। চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেন মেসি। গোলের রেকর্ডে প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেছেন, আবার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙেছেন।

আরও পড়ুন – ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন, সময় বড়জোর ছ মাস ! ফাইনালের আগে মেসিকে খোলা চিঠি প্রথম শিক্ষিকার

কাতার বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখে সেই বাতিস্তুতার মনে হচ্ছে যেন ২০ বছর বয়সী এক তরুণ মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিন বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করা প্রাক্তন আর্জেন্টিনা তারকা বাতিস্তুতা আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার রেকর্ড মেসি ভেঙেছে, এতে আমি মোটেই কষ্ট পাইনি। এটা মেসির প্রাপ্য।

যদি কোনো একজনের এই রেকর্ড হওয়া উচিত, সেটা মেসিই। মেসি এলিয়েন নয়, ও একজন মানুষ যে বিশ্বসেরা। যখন সেই মানুষটা আপনার রেকর্ড ভাঙবে, সেটা আপনাকে কষ্ট নয়, আনন্দ দেবে। চলতি বিশ্বকাপে ৫টি গোল এবং ৩টি অ্যাসিস্ট করা মেসিকে নিয়ে বাতিস্তুতা আরও বলেন, আমি ভেবেছিলাম, ও আরও শান্ত থাকবে।

কিন্তু মেসি তো ২০ বছরের তরুণের মতো খেলছে। মেসি বিশ্বকাপ জেতার জন্য মরিয়া। বিশ্বকাপ জিততেই ও কাতারে এসেছে। মেসি দলের মধ্যেই এর মনোভাব ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফুটবলে এটাই দরকার। দলের মধ্যে বিশ্বকাপ জেতার মতো একটা ইতিবাচক শক্তি আছে। বিশ্বকাপ জেতার সব সামর্থ্যই আমাদের আছে।

বাতিগোল ছাড়াও কাতারে উপস্থিত আছেন ক্রিস্পো, সরিন, ক্যাম্বিয়াসদের প্রাক্তন আর্জেন্টাইন তারকারা। এরা নিজেদের ফুটবল জীবনে যেটা পারেনি সেটা মেসি করে দেখান এই প্রার্থনা সকলের। বাতিগোল নিশ্চিত দিয়েগো মারাদোনা যেখানেই থাকুন ফাইনালটা অবশ্যই দেখবেন। সেটা মনে রেখেই মেসিদের খেলতে বললেন প্রাক্তন কিংবদন্তি।

পেলেকে সম্মান জানাচ্ছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনায় বঞ্চিত মারাদোনা! রেগে লাল কন্যা

#দোহা: দিয়েগো মারাদোনার মেয়ে জিয়ানিনা সম্প্রতি আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার আসল কারণ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচে এখনও পর্যন্ত একবারও প্রয়াত মারাদোনার স্মৃতির উদ্দেশ্যে কোনও সম্মান প্রদর্শন করেনি আর্জেন্টাইন ফুটবল দল। কিন্তু ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর বিরাট ব্যানার খুলে পেলেকে সুস্থ হওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছে।

পুরো ব্রাজিল সমর্থকরাও মাঠে পেলের জার্সি, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে আসছেন। গেট ওয়েল সুন জানাচ্ছেন। একই জিনিস কেন তার বাবার প্রতি করা হচ্ছে না এটাই প্রশ্ন মারাদোনা কন্যার। জিয়ানিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন যে মানুষটা আর্জেন্টিনার পরিচয় বিশ্বে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেছিল, যার জন্য সারা বিশ্বে আজও অসংখ্য মানুষ এই দলটাকে সমর্থন করেন, সেই মারাদোনার প্রতি আরও সম্মানজনক ব্যবহার আশা করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন – `ভয় ধরানোর মতো দল এই ব্রাজিল’! মাঠে নামার আগেই ভয়ে কাঁপছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ

এই ব্যাপারে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন এবং জাতীয় দলের থেকে আর্জেন্টিনার কর্তাদের এবং ফুটবলারদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত মনে করেন তিনি। এরপর আর্জেন্টিনার ফুটবল কর্তাদের বোধোদয় হয় কিনা সেটাই দেখার। নেদারল্যান্ডস ম্যাচ কঠিন পরীক্ষা তাদের। যদি সেই ম্যাচ জিততে পারেন মেসি, ডি মারিয়ারা – তাহলে দিয়েগোর উদ্দেশ্যে কোনও অভিনব সম্মান প্রদর্শন হয় কিনা মাঠে সেদিকে নজর থাকবে।

দিয়েগোর পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য ভক্তগণ তার মেয়ের এই পোস্টের পর নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আসলে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেও লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন যদি এবার বিশ্বকাপ জয় করতে পারে আর্জেন্টিনা তাহলে সেটা কিংবদন্তি মারাদোনাকেই উৎসর্গ করবেন তারা। মারাদোনার মেয়ে মনে করেন তার বাবা যেখানেই থাকুন, সেখান থেকেই দেখছেন বিশ্বকাপ এবং লিওনেল মেসিদের পারফরমেন্স।

অসুস্থ শরীর নিয়েও আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে বিভিন্ন মাঠে পৌঁছে যেতেন তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে তাকে দেখা গিয়েছিল গ্যালারিতে। বছর দুয়েক হয়ে গেল তিনি নেই। ফুটবল বিশ্বের কাছে এটা বিরাট ক্ষতি। অবশ্য কোপা আমেরিকা ফাইনালে ২৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর্জেন্টিনা সম্মান জানিয়ে ছিল দিয়েগোকে।

তাদের ফুটবল দলের টুইটার একাউন্ট গেলেই বিশ্বকাপ হাতে মারাদোনার ছবি দেখা যায়। এবার কাতারে লিওনেল মেসিরা বিশ্বকাপ জিততে পারলে মারাদোনার প্রতি কি সম্মান দেখানো হয় সেটা সময় বলবে। তবে আর্জেন্টিনার সাধারণ সমর্থকরা কিন্তু আজও মাঠে যাচ্ছেন সেই দিয়েগো মারাদোনার ছবি নিয়ে। তাদের হৃদয়ের মাঝখানে আজও লেখা রয়েছে ফুটবল রাজপুত্রের নাম। লিওনেল মেসির কাছে এটাই শেষ সুযোগ তার পূর্বসূরি দিয়েগোকে স্পর্শ করার।

গোল করেই জার্সি খুলে ফেললেন! অভিনব কায়দায় মারাদোনাকে স্যালুট মেসির

গুরু-শিষ্য, এমন ভাবেই তাঁদের চেনে গোটা বিশ্ব। আর সেই চেনাটা যে খুব একটা ভুল নয় তা প্রমাণ করলেন লিওনেল মেসি। ওসাসুনার বিরুদ্ধে বার্সা ম্যাচে তিন কাঠিতে ফুল ফুটল ঘনঘন, ফুল ফোটালেন মেসি। গুরুপ্রণামী হিসেবে যা দিলেন তার চেয়ে বেশি কিছুই বোধহয় মারাদোনাকে দেওয়ার নেই।

এদিন ওসাসুনার ম্যাচে যেন গোলের সংকল্প নিয়েই নেমেছিলেন মেসি। গোটা ম্যাচ জুড়ে বল সাজিয়ে গেলেন ঠিক যেমনটা করতেন ১০ নং জার্সি গায়ে খেলা কিংবদন্তি। খেললেন উঠে-নেমে, সারা মাঠ জুড়ে। প্রথম গোলটা আসে মার্টিন ব্রাথওয়েটের পা থেকে ২৯মিনিটের মাথয়। ৪২ মিনিট নাগাদ ডি বস্কসের বাইরে থেকে জালে হল ঢোকান আঁতোয়ান গ্রিজম্যান।৫৭ মিনিটের মাথায় গোল আসে কুতিনিওর পা থেকে। দাপটের সঙ্গে খেললেও গোল পাচ্ছিলেন না মেসি। অবশেষে আসে মহেন্দ্রক্ষণ।

৭৩ মিনিটের মাথায় পা বল পেয়ে বক্সে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে মেসি যে শটটা নেন, তাঁকে নয়নাভিরাম বললেও কম বলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে জার্সি খুলে ফেলেন মেসি। দু হাত তুলে গোল উৎসর্গ করেন ফুটবলের রাজপুত্রকে। যেন বললেন, এই ১০ নম্বরের সবচেয়ে বড় হকদার তুমি ছিলে আছো, থাকবে, প্রিয় মারাদোনা। ১০ নম্বর জার্সি খোলাটা নিছকই জার্সি খোলা নয়, রয়েছে অন্য গল্পও। তলায় যে ইয়ামাহার ইনারটি পরেছিলেন মেসি, হুবহু সেই জার্সি গায়ে একসময়ে খেলেছেন  মারাদোনা নিউওয়েলস ওল্ড বয়ের হয়ে। মেসি যেন বুঝিয়ে দিলেন, মারাদোনার পথই তাঁর পাথেয়।

মাঠে নিয়ম ভাঙার জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখান। কিন্তু ফুটবল মাঠে ততক্ষণে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন। তৈরি হয়েছে এক অতিলৌকিক কবিতা। ওপারে যখন মারাদোনা, হলুদ কার্ড বড় ফিকে।

মারাদোনা প্রেমে এগিয়ে কে? বাংলা না কেরল? সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ জারি!

#কলকাতা: ভাত-মাছের পাশাপাশি ফুটবলপ্রেম বাঙালির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে যখন ক্রিকেট, হকি নিয়ে চর্চা চলে, এই রাজ্য তখন কোনও মনমাতানো ড্রিবলে বা কারও হ্যান্ড অফ গড গোলে মজে থাকে। তবে রাজপুত্র দিয়েগোর বিদায়ে সেই প্রেমে আজ যেন এক অদ্ভুত যন্ত্রণা দেখা দিয়েছে। ২৫ নভেম্বর ফুটবল বিশ্বকে একলা করে ছেড়ে চলে গিয়েছেন মারাদোনা। তবে তাঁর মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অভিনব প্রতিযোগিতায় নেমেছেন নেটিজেনরা। মারাদোনাকে কে বেশি ভালোবাসেন? এখন এ নিয়েই সম্মুখ সমরে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল। কিন্তু কেন? ঠিক কী হয়েছিল?

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদি, মারাদোনাকে শোকবার্তা জানিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন। আর সেই ক্রমেই মারাদোনাকে নিয়ে একটি Facebook পোস্ট করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শোকবার্তা প্রকাশের পাশাপাশি এই পোস্টে তিনি জানান, মারাদোনার দেশ আর্জেন্তিনার বাইরে বোধহয় তাঁর সব চেয়ে বেশি ফ্যান রয়েছে কেরলে। কেরলবাসীর হৃদয় ও মননের একটি বড় জায়গা জুড়ে রয়েছেন মারাদোনা।

আর এরপরই খানিকটা হতাশ ও বিস্মিত হয়েছেন বাঙালি ফ্যানেরা। কোন রাজ্যের মানুষ মারাদোনাকে বেশি ভালোবাসেন, তা নিয়েই ট্যুইটার ও ফেসবুকে চলছে কমেন্টের লড়াই। দুই রাজ্যের মানুষ নিজেদের মতো করে নানা স্মৃতি ও মারাদোনার প্রতি অসম্ভব ভালোবাসার কথা তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির ঘরে ঘরে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল মারাদোনা নামটি। ২০১৭ সালে মারাদোনা যখন কলকাতা আসেন, সেই উন্মাদনা আর উচ্ছ্বাসই ধরা পড়েছিল শহরবাসীর চোখে। চ্যারিটি ফুটবল ম্যাচে সেই চেনা ড্রিবল হোক কিংবা স্প্যানিশ গানের ছন্দ, সে বার ৫৭ বছরে বয়সী মারাদোনার প্রেমে মজেছিল সিটি অফ জয়। তবে তার আগেও ২০০৮ সালে কলকাতায় এসেছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। সেই সময়ে বাংলায় বামসরকারের শাসন ছিল। আর্জেন্তিনার মার্ক্সিস্ট আইকন চে গুয়েভারা হোক কিংবা কিউবার প্রধানমন্ত্রী ফিদেল কাস্ত্রো, কোথাও যেন বার বার স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শও। সে বার মোহনবাগান ক্লাবও ঘুরে গিয়েছিলেন মারাদোনা।

তবে শুধু বাংলা নয়। ২০১২ সালে এসে কেরলেও ঘুরে গিয়েছেন তিনি। কান্নুরে লক্ষ লক্ষ ফ্যানের সঙ্গে তাঁর ৫২তম জন্মদিন পালন করেন মারাদোনা। এখানে বেশ কয়েকটি ক্লাব ও বহু ফুটবলার রয়েছেন। ফুটবল নিয়ে এই রাজ্যের ছোট ছোট শহরগুলিতেও উন্মাদনা তুঙ্গে। তাই মারাদোনার প্রতি কেরলবাসীর প্রেমও সর্বজনবিদিত।

বাংলা না কেরালা, কে এগিয়ে, তা বলা মুশকিল। কোথায় ফ্যানের সংখ্যা বেশি, তা গুনে ওঠাও প্রায় অসম্ভব। তবে, আর্জেন্তিনা পেরিয়ে ফুটবলের রাজপুত্রের সাম্রাজ্য যে বহু দূরে ছড়িয়ে পড়েছে, এই সোশ্যাল মিডিয়া যুদ্ধ সেই বিষয়টিকেই স্পষ্ট করে তুলল নতুন করে।