পূর্ব বর্ধমান : পূর্ব বর্ধমান জেলার এই গ্রামের পরিস্থিতি জানলে অবাক হবেন। একরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমানের ভাতারের এই গ্রামে। কিছুটা হলেও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কালুত্বক গ্রামের। এই গ্রামের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রায় ৭০ জন বাসিন্দা। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গত বেশ কয়েকদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কালুত্বক গ্রামে মূলত বাচ্চা সহ অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছিল। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও জন্ডিস রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। গ্রামবাসীদের কথায় প্রায় ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসী চাঁদনীহারা বেগম জানিয়েছেন, “আমার বাচ্চার প্রথম পেটে লাগছিল। তারপর বমি করছিল এবং পর জ্বরও এসেছিল। তারপর ভাতার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম।
বাইরে থেকে রিপোর্ট করিয়ে জানতে পারলাম জন্ডিস হয়েছে। শুধু আমার ছেলের নয়, গ্রামে অনেকেরই এরকম সমস্যা হয়েছে।” বর্ধমান – নতুনহাট বাদশাহী সড়কের পাশেই অবস্থিত ভাতারের এই কালুত্বক গ্রাম। শতাধিক মানুষের বসবাস রয়েছে এই গ্রামটিতে।তবে কী কারণে এহেন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল বর্ধমানের এই গ্রামে ? এই প্রসঙ্গে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নাজিরউদ্দীন মল্লিক বলেন, “২০১৮ সালে বাদশাহী রোডের উপরে একটা পাথর বোঝায় লরি উল্টে গিয়েছিল। এবং নতুনপুকুর বলে একটা পুকুর রয়েছে, সেই পুকুরের মধ্য দিয়ে আমাদের পিএইচই এর মেন পাইপ আসে শা পাড়ার দিকে। সেই পাইপ ফেটে যাওয়ার পর রিপেয়ারিং করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যাচ্ছে সেই রিপেয়ারিং আবার লিক করছে। সেই লিকেজের মধ্যে দিয়ে নতুন পুকুরের যে নোংরা জল তা পিএইচই জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ওই পানীয় জল থেকে আমাদের শা পাড়ার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মেন কারণ হচ্ছে জল। “
আরও পড়ুন : চাহিদা নেই তাঁতের শাড়ির, পুজোর আগে মন খারাপ তাঁতিদের
প্রথম দিকে এই ভয়াবহ ঘটনার খবর স্বাস্থ্য দফতরের কাছে না থাকলেও। এই খবর শোনার পর তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মেডিক্যাল দলও পাঠানো হয়েছিল উক্ত এলাকায়। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ম্যালেরিয়া টেস্ট থেকে শুরু করে ওয়ারেসও দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে আক্রান্তদের জন্য।”
আরও পড়ুন : বর্ধমানে তৈরি কাঠের পুতুল এবার পাড়ি দেবে মুম্বাই
তবে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা পর্যবেক্ষণে গেলেও, গ্রামে পি,এইচ,ই প্রকল্পের কোনও আধিকারিক আসেননি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। বর্তমানে নির্দিষ্ট গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে এখনও অসুস্থ হয়ে রয়েছে প্রায় ৩০ জন !
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা স্বাভাবিক।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী