বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে যাঁর নাম প্রায়ই শোনা যায়, তিনি হলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের কমবেশি সকলের কাছেই তিনি পরিচিত। মাত্র কিছু দিন পরই লোকসভা নির্বাচন। আর এ বার লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী হলেন দিলীপ ঘোষ। যথারীতি প্রার্থী তালিকায় দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিনি জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন। প্রচার চালাচ্ছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায়।
বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। কখনও মন্দিরে পুজো দিয়ে, আবার কখনও প্রচার চলাকালীন খেলার ময়দানেও নামতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। খেলার মাঠে তিনি কখনও হাতে তুলে নিয়েছেন ক্রিকেট, আবার কখনও পায়ে বল নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মাঠ। প্রচারের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মেজাজে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। অনেকসময় তাঁকে রসিকতা করতেও দেখা গিয়েছে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে। প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ প্রচার চলাকালীনও বজায় রেখেছেন তাঁর শরীরচর্চা। প্রায় প্রত্যেকদিনই তিনি প্রাতঃভ্রমণ করেন। সেরকমই আজ শুক্রবারেও তিনি প্রাতঃভ্রমণ করেন বর্ধমান শহরের কানাই নাটশাল এলাকার ডিভিসি মাঠে।
আরও পড়ুন : কর্মীদের প্রসাদ খাওয়ালেন, মন্দিরে বসেই খেলেন খিচুড়ি! আসানসোলে প্রচার আলুওয়ালিয়ার
প্রাতঃভ্রমণ করার সময় অনেকের সঙ্গে কথা বলতে এবং হাত জোড় করে নমস্কার করতেও দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। প্রাতঃভ্রমণ শেষ করার পরে বড়নীলপুর বাজারে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি চা চক্রে যোগ দেন।তবে শুক্রবার বড়নীলপুর বাজারে ফলের দাম শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে ওঠেন দিলীপ ঘোষ। একটি স্থানীয় ফলের দোকানে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ফলের দাম জিজ্ঞেস করতে থাকেন। আর ফল বিক্রেতার ফলের দাম শুনেই যেন অবাক হয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। রসিকতার সঙ্গে তিনি বলেন, “সব বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলছে রে ভাই , এই সুযোগে নিয়ে নিচ্ছে দাম বেশি।”
পরবর্তীতে বড়নীলপুর বাজার থেকে দিলীপ ঘোষ বড়নীলপুর শ্রীগুরু আশ্রমে যান পুজো দিতে। সেখানে হাতে পুজোর ডালি নিয়ে পুজো দেন দিলীপ ঘোষ। এবং এর পর তিনি সেখান থেকে রওনা দেন পরবর্তী কর্মসূচির জন্য।