বেড়েছে মহার্ঘ্যভাতা, প্রচারে জোর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

Lok Sabha Election 2024: ১০০০ থেকে বেড়ে ২০০০, নির্বাচনী প্রচারে সামাজিক ভাতা ,মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে জোর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলা: ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হচ্ছে কংগ্রেস সিপিএমমের অনেক মানুষ। মানুষের কল্যাণে ও মানুষের জন্য কাজ করাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। কংগ্রেস সিপিএম থেকে অনেক মানুষ এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হচ্ছে। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের কল্যাণে বিশ্বাস করে এবং মানুষের জন্য কাজ করে। প্রতিটি বুথের মধ্যে নজর দিতে হবে। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মানুষের মৌলিক অধিকার পৌঁছে দেওয়াকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আর সেই দিশায় কাজ করে যাচ্ছে রাজ্যের বর্তমান সরকার।

সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সুফল পৌঁছে দিতে এই সরকার সংকল্পবদ্ধ। আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের জয় একেবারে সুনিশ্চিত, প্রচারে নেমে আত্মবিশ্বাসী সুর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার গলায়। সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জে শচীন দেববর্মণ সাংস্কৃতিক কলাক্ষেত্রে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে এই সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন-   গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দলের পৃষ্ঠাপ্রমুখদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের আগে ৪২ হাজার পৃষ্ঠাপ্রমুখ ছিলেন। এখন সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার। মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবিক ক্ষেত্রে এটাই আসল হয়ে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এটা বিশ্বাস করেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগটাই হচ্ছে আসল। এদিক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। এজন্য অনেকে তাঁকে নিয়ে রিসার্চ করছেন। দিল্লিতে বসে বা বিভিন্ন প্রদেশে বসে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন সেটাই অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার আপনাদের সরকার। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এটা অন্যের সরকার নয়। এই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সামাজিক ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও আগে মাত্র ৭০০ টাকা দেওয়া হতো। সেই জায়গায় এই সরকার আসার পর ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। এরপর আবার সেটা বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরা উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মচারীদের জন্য এখন পর্যন্ত এই সরকার ২৫ শতাংশ ডিএ (মহার্ঘ্যভাতা) দিয়েছে। এজন্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। অথচ আগে এই মহার্ঘ্যভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। দিতে হবে, দিতে হবে বলে মাঠে নামতে হয়েছে। বার বার আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামাতে বাধ্য করা হয়েছে। এজন্য জুতোর শুকতলি পর্যন্ত ক্ষয় করাতে হয়েছে। ত্রিপুরা এখন সবদিক দিয়ে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে এই সরকার। ত্রিপুরা অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ অবদান রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি আমাদের রাজ্যকে হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। এজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে বিমান যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য।