Adhir Chowdhury: ‘বলির পাঠা করা হচ্ছে ইউসুফ পাঠানকে,’ ভোটের দিনও মমতাকে তুমুল তোপ অধীরের! কেন এলেন না রাহুল? দিলেন উত্তর

দক্ষিণবঙ্গ: ভোটের আগের রাত থেকেই বহরমপুরে তৎপর অধীর চৌধুরী৷ রবিবার রাতে বহরমপুরের এক সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন অধীর। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। ঘটনাস্থলে বহরমপুর থানার পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের অধীর চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানান অধীর।

সোমবার সকালেও ভোটগ্রহণের আগে থেকেই ময়দানে নামতে দেখা যায় তাঁকে৷ ভোট নিয়ে তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার এলাকায় এখনও কোনও বড় গন্ডগোল হয়নি। ছোটখাটো কিছু গন্ডগোল হচ্ছে। বলির পাঠা করা হচ্ছে ইউসুফ পাঠানকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন আমি হেরে যাই। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিভাজনের রাজনীতি করছে।’’

আরও পড়ুন: ভোটের প্রথম বলি! রাতের অন্ধকারে বোমা মেরে কুপিয়ে খুন তৃণমূলকর্মী…গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বামফ্রন্ট, নেপথ্যে কে?

তিনি বলেন, ‘‘আমার লড়াই মমতা ও মোদির বিরুদ্ধে। আমার কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই নয়। যে অভিযোগগুলো আসছে সব জানানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তৃণমূল কংগ্রেস এখানে বিভাজনের রাজনীতি করছে। কয়েকটি জায়গায় এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।’’

অধীরের হয়ে ভোটপ্রচারে দেখা যায়নি কোনও হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতাকে৷ আসেননি রাহুল গান্ধিও৷ এদিন এ নিয়ে মুখ খোলেন অধীর৷ বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধি আসতে চেয়েছিলেন ১১ তারিখ। কিন্তু আমি ১০ তারিখ আসতে বলেছিলাম, কারণ আমার ১১ তারিখ অনেক কর্মসূচি ছিল।আমার সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্ব যোগাযোগ রাখছে৷’’

দেশজুড়ে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন । ১৯ শে এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তিন দফার ভোটদান প্রক্রিয়া। গণতন্ত্রের এই উৎসব এখনও পর্যন্ত কার্যত শান্তিপূর্ণ। সোমবার ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এরপর ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আরও তিন দফায়। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফা শুরু! মহুয়া অধীর দিলীপ…! আজ ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থী আর কে কে? তালিকার বড় ‘মুখ’ যাঁরা

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে প্রথম দফা থেকেই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূচি অনুসারে চলছে মোট সাত দফার ভোট। প্রথম, দ্বিতীয় ও কিছুটা তৃতীয় দফাতেও মূলত ভোট ছিল উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক। তৃতীয় দফায় ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণবঙ্গের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ।

চতুর্থ দফায় ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি জায়গায়- বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট গণনা হবে জুন মাসের ৪ তারিখে। চতুর্থ দফায় মোট ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আটটি আসন রয়েছে।

বিজেপি, কংগ্রেস তৃণমূল সিপিআইএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ মে ভাগ্য নির্ধারণ হবে এরাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর। সেই তালিকায় রয়েছেন- অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্ররা।