নৃত্যের তালে বিজেপি প্রার্থী

BJP: প্রচারে বেরিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা, নীল ষষ্ঠীর দিনে শিব ভক্তদের সঙ্গে যা করলেন, হতবাক সকলেই

পাঁচখুরি: প্রচারে গিয়ে শিব ভক্তদের সঙ্গে নাচে পা মেলালেন বিজেপি প্রার্থী। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি এলাকায় গানের তালে পা মেলালেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর সব জায়গায় প্রচারে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ধর্মীয় আচার পালন এবং জনসংযোগে প্রার্থীরা। আন্দামান থেকে প্রচার শেষ করে ফিরে এসে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের খড়্গপুরে প্রচার করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।

শুক্রবার খড়গপুর শহরে প্রচার সারেন অগ্নিমিত্রা। পাশাপাশি এক কর্মীর বাইকে বসে খড়গপুর শহরে ঘোরেন তিনি। বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষের স্টাইলেই প্রচার করছেন অগ্নিমিত্রা। লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে। প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করেছেন।

আরও পড়ুনঃ এসির সঙ্গে পাখা চালালে ঠিক কী হয়? বিল বাড়ে নাকি কমে? নিয়ম জানলেই বাঁচবে পকেট

শুক্রবার সকালে একাধিক মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি, গাজন উপলক্ষে ব্রত রাখা সাধারণ ব্রতীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ ছাড়াও খড়গপুর গ্রামীণ এলাকায় একটি শিবের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। সকাল থেকেই খড়গপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকায় একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তিনি জনসংযোগ করেন। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডের বিভিন্ন অলিতে গলিতে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। এ ছাড়াও পথ চলতি মানুষদের কাছে শোনেন তাঁদের নানা অভাব অভিযোগের কথা।

চৈত্র মাসে নীল ষষ্ঠীতে মাতলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। উল্লেখ্য শুক্রবার নীল ষষ্ঠী। রাজ্যজুড়ে এই নীল ষষ্ঠী উপলক্ষে মাতোয়ারা শিব ভক্তরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নীল ষষ্ঠীতে মেতে উঠলেন অগ্নিমিত্রা পাল। মেদিনীপুর সদরের পাঁচখুরি সংলগ্ন বালিপদা শিবমন্দিরে গাজন উৎসব উপলক্ষে ভক্তদের সঙ্গে উৎসবে মাতলেন অগ্নিমিত্রা।ভক্তদের নাচের তালে পা মেলালেন প্রার্থীও।

এ ছাড়াও তিনি এক কর্মীর বাইকে বসে খড়গপুর শহরে ঘুরেন। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের দিন যত কাছে আসছে, প্রচারে মরিয়া সব রাজনৈতিক দল। সকাল থেকেই সময় নষ্ট করতে চান না তারা, বিজেপির পাশাপাশি দিনভর প্রচার চালাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা। তবে শেষ হাসি কে হাসে তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ