দক্ষিণবঙ্গ: আগামী ২০মে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ হুগলিতে। আর বুধবার সেখানেই নির্বাচনী প্রচার সারলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু তাই হুগলি থেকে বিজেপি-কে কড়া বার্তা দিতে গেল তাঁকে৷ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘‘এবার ওরা হারছে।’’
এদিন বরাবরের মতোই এনআরসি, সিএএ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সহ একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করার মাঝে মমতা বলেন, ‘‘এবার দিল্লি, ইউপি, বিহার, কর্ণাটক হারবে। এবার ওরা হারছে।’’ শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘২০০৪ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ী হেরে যাবে আমরা ভাবতে পারিনি। রাইজিং ইন্ডিয়ার স্লোগান দিয়েছিল। ভিতরে ভিতরে মানুষ অন্যদের ভোট দিয়েছিল। এবার সেই রকম,নোটবন্দি থেকে শুরু করে অনেক কিছু।’’
তিনি জোর গলায় এদিন বলে, ‘‘আজ সারা পৃথিবী বুঝতে পারছে ক্যায়া চিজ হ্যায়। চার ফেজে বুঝতে পারছে কি হয়েছে। আর তিন ফেজেও পারবে না। বিজেপি বলেছিল ৪০০ পার। আর অনেকে অঙ্ক কষে বলেছে এবার ২০০ পার হবে না।’’ শুধু তাই নয়, মমতার ঘোষণা, বিজেপি যদি এবারের ভোটে পরাজিত হয়, তাহলে ইন্ডিয়া জোটকে কেন্দ্রে সরকার গড়তে সমর্থন করবে তৃণমূল৷
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বের একটা বড় সময় ধরেই সারা দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিয়ে তৈরি হতে দেখা গিয়েছি ইন্ডিয়া জোট৷ যেখানে মূল হোতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল, নীতীশ কুমার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদবদের৷ বিজেপি বিরোধী মঞ্চে সনিয়া, রাহুল, খাড়্গেদের পাশেই ছিলেন মমতা, নীতীশরা৷
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ার প্রচারে সব নজর সন্তোষে, কে তিনি? যার সঙ্গে দেখা করলেন সুজাতা মণ্ডল
কিন্তু, পরবর্তীকালে আসন সমঝোতা প্রশ্নে সমস্যা দেখা দেয় দলগুলির মধ্যে৷ যেমন, বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে যে আসন সমঝোতা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন মমতা৷ অভিষেকও জানিয়ে দেন, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর জন্যেই পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়ার জোট হয়নি৷ অধীর চৌধুরীও বার বার একাধিক বিষয় নিয়ে তুলোধনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে৷
এমন পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তীকালে ইন্ডিয়া জোটকে সরকার গড়তে সমর্থন করার কথা মমতার ঘোষণা করা নিঃসন্দেহে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল৷