Lok Sabha Election 2024: ‘কত ধানে কত চাল ও বুঝতে পারবে’, ভেটাগুড়িতে গাড়ি ভাঙা নিয়ে নিশীথকে চ্যালেঞ্জ উদয়নের

শিলিগুড়ি: তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে৷ পাশাপাশি অশান্তি নিয়েও তোপ তাগলেন৷ কোচবিহারে ভেটাগুড়িতে শেষ দিনের প্রচারে অশান্তি ছড়ায়৷ তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে৷ আর তাই নিয়েই এ বার পুলিশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন উদয়ন গুহ৷ রাজ্যপালের কাছে আবেদন করলেন পুলিশ সুপার ও আইসিকে ডেকে পাঠানোর৷

উদয়ন ঘটনা নিয়ে এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিশীথের বাঁচার রাস্তা নেই। তাই আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ও জানে না, একটা উদয়ন গুহ নয়। হাজার হাজার উদয়ন গুহ আছে। আজকে একটু আগে ভেটাগুড়িতে আমাদের গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। পুলিশ রাজ্যের ও কেন্দ্রের উভয়েই দাঁড়িয়ে আছে। যাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আছে তারা কর্মক্ষমতা নেই। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাও আমাদের গাড়ি ভেঙে দিল। নিশীথ পারলে আমাকে গৃহবন্দি করুক। তারপর যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে সেটা দেখবে। আমি আক্রান্ত হয়েছি। আর আমাকেই আটকানোর পরিকল্পনা। তবে কত ধানে কত চাল ও বুঝতে পারবে।’

উদয়নের হুঙ্কার,‘যেখানে বিজেপি গুন্ডামি করছে সেখানে আগে যান রাজ্যপাল। সেই সব জায়গা ঘুরে আসুন। আপনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। আইনে কী আছে দেখুন? আমি যে কেন্দ্রের ভোটার নই সেখানে আমি যেতে পারি না। রাজ্যপালের কি ঘোরার অধিকার আছে? দিনহাটা ঘুরুন। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দেখুন আমার ভূমিকা। আমি জনসভায় কম বক্তব্য রেখেছি। আমি এবার ঘরে ঘরে গেছি। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কাউকে চোখ রাঙাইনি। ধমক দিইনি। আর কোচবিহারে অশান্তি থামবে কী করে? নিশীথ প্রামাণিক যেখানে প্রার্থী। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দিনহাটা উপনির্বাচনে তো অশান্ত কিছু হয়নি। ও প্রার্থী হলেই অশান্তি।’

রাজ্যপালের উদ্দেশ্য উদয়নের বার্তা, ‘আমাদের প্রচার গাড়ি ভেঙে দিয়েছে ভেটাগুড়িতে। কী ব্যবস্থা এবার নেবেন রাজ্যপাল? নিরপেক্ষ হলে আগে এসপিকে ডাকুন, আইসিকে ডাকুন। কাকে গ্রেফতার করেছে? না করলে কেন করেনি? সেটা জানতে চান। আর এরা অশান্তি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি চলে যায়। আর পুলিশ প্রটোকল দেখিয়ে গ্রেফতার করে না। রাজ্যপাল বলুক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে কারা কারা আছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ সেটা দেখে, তল্লাশি করে গ্রেফতার করতে বলুন। আপনি কতটা নিরপেক্ষ সেটা তখন বোঝা যাবে।’