স্বাদে চিনির মতোই মিষ্টি, লিচুর মতো দেখতে অথচ আকারে ছোট এই ফলটির ঔষধি গুণ অতুলনীয়; রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদানও

স্বাদে চিনির মতোই মিষ্টি, লিচুর মতো দেখতে অথচ আকারে ছোট এই ফলটির ঔষধি গুণ অতুলনীয়

ঋতু রাজ, মুজফ্ফরপুর: আমের মরশুম তো প্রায় শেষ হয়েই এল। লিচুর দেখাও হয়তো আর বেশিদিন মিলবে না। তবে এবার ফলের বাজারে দেখা মিলবে আঁশ ফলের। যা দেখতে অনেকটা লিচুর মতোই। আর স্বাদেও একই রকম মিষ্টি। তবে লিচুর থেকে আকারে খানিকটা ছোট হয় এই ফলটি। অবশ্য আঁশ ফলকে কাঠ লিচু নামেও ডাকা হয়। আবার লিচু এবং কাঠ লিচুর গাছ ও পাতার মধ্যেও রয়েছে সাদৃশ্য। অনেকেই এই ফল খেতে ভালবাসলেও এর ঔষধি গুণের কথা জানেন না! এমনকী, ওষুধ তৈরি করতেও ব্যবহৃত হয় আঁশ ফল।

আরও পড়ুন- গরমে ঘেমেনেয়ে অস্থির, এক ছাদেই শুয়ে রয়েছে গোটা পাড়া ! ভাইরাল ভিডিও দেখে নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন নেটিজেনরা

এদিকে পড়শি রাজ্য বিহারের মুজফফরপুরের আম এবং শাহি লিচু স্বাদের জন্য প্রসিদ্ধ। তবে এই দুই ফল বাজার থেকে উধাও হতে না হতেই এসে পড়েছে আঁশ ফল বা কাঠ লিচু। মুজফফরপুরে ইতিমধ্যেই আঁশ ফল (Longan Fruit) পাকতে শুরু করে দিয়েছে। ফলে শীঘ্রই আঁশ ফলের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন সেখানকার মানুষ। আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্যই মুশাহারির জাতীয় লিচু গবেষণা কেন্দ্রে একটি আঁশ ফলের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে বড় মাত্রায় এই ফলের চাষ করা হচ্ছে সেখানে।

এই প্রজাতির লিচুর মধ্যে থাকে অ্যান্টি-ক্যানসার ধর্মী উপাদান। যা থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে বেশ জনপ্রিয়। সেখানেও বড় মাত্রায় এই ফলের চাষ করা হয়ে থাকে। জাতীয় লিচু গবেষণা কেন্দ্র মুজফফরপুরে এই কাঠ লিচুর চাষ সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছে। লিচুর মরশুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ফল ধরতে শুরু করে। তবে আঁশ ফল বা কাঠ লিচু দেখতে লিচুর মতো লাল নয়। আর লিচুর মতো ডিম্বাকারও নয়, বরং খানিকটা গোলাকার হয় এই আঁশ ফল।

আরও পড়ুন– ‘ওঁদের জুটি অটুট থাকুক…’, সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ে নিয়ে আবেগপ্রবণ শত্রুঘ্ন সিনহা; কিন্তু কোথায় গেলেন অভিনেত্রীর দুই দাদা?

ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদানের পাশাপাশি এর মধ্যে দেহের ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে। আর মজার বিষয় হল, লিচুর ক্ষেতেই এই আঁশ ফল চাষ করে ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন কৃষকরা। আর এই ফল চাষের আদর্শ সময় হল জুলাই থেকে অগাস্ট মাস। জাতীয় লিচু গবেষণা কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে সফল ভাবেই এই বছর চাষ করা হয়েছে আঁশ ফল। কৃষকদেরও উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল। আঁশ ফল গাছে ফুল ধরে এপ্রিল মাসে। এরপর ফল হয় এবং তা পাকে জুলাই নাগাদ।

জাতীয় লিচু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. সুনীল কুমার লোকাল ১৮-এর কাছে বলেন যে, লিচু শ্রেণীরই ফল হল আঁশ ফল। মুজফফরপুরের লিচু গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলের চাষ করা হয়েছে। এবার গাছগুলিতে ভাল ফল ধরেছে। আঁশ ফল বা কাঠ লিচু আকারে ছোট হয়। আর ধীরে ধীরে তা আকারে বাড়ে। স্বাদেও খুবই মিষ্টি। যার জেরে এই ফল প্রাকৃতিক মিষ্টির কাজও করে দেয়। এমনকী, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রস্তুত করতেও ব্যবহার করা হয় আঁশ ফল।