বন্দুক হাতে পুলিশ কর্মি 

Hooghly News: মাহেশ রথে যতবার চলে বন্দুকের গুলি ততবার থামে রথের চাকা! কেন চলে এই গুলি? জেনে নিন 

হুগলি: মাহেশের ৬২৮ বছরের রথ যাত্রার আজ পুনর্যাত্রা উৎসব। মাসির বাড়ি ৮ দিন কাটিয়ে আজ নবম দিনে উল্টো রথে শ্রীধামে ফিরবেন জগন্নাথ দেব। ৬২৮ বছরে পড়ল শ্রীরামপুরে মাহেশের রথযাত্রা । পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা মাহেশের রথযাত্রা। এই রথযাত্রা উৎসবের এক বিশেষ রীতি হল তোপ ধ্বনী। যা বর্তমানে গান ফায়ারে রূপায়িত হয়েছে।

গান ফায়ার করার জন্য দুইজন পুলিশ আধিকারিক থাকেন রথের সামনে। শুধুমাত্র রীতি নয় এই গান ফায়ারের রয়েছে এক বিশেষ প্রয়োজনীয়তাও। গুলি চলার শব্দে গড়ায় রথের চাকা। আবারও গুলি চললে তা থামে। মূলত রথের ব্রেকিং সিস্টেম হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই তোপ ধ্বনী। সঙ্গে থাকে একটি বিউবেল বাঁশি।

এই বিষয়ে মাহেশ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী তিনি জানান, তোপ ধ্বনির এই রীতি বহু প্রাচীন। যবে থেকে মাহেশের রথযাত্রা শুরুয়াত তবে থেকেই । যেহেতু মাহেশের রথের চালানোর জন্য কৃত্রিম কোনরকম ব্যবস্থাপনা নেই পুরোটাই মানুষ দ্বারা পরিচালিত তাদের পরিচালনা করার জন্যই তোপো ধনী অত্যন্ত জরুরি। কারণ রথের দিক পরিবর্তন করা থামানোর জন্য আকাশে ফায়ার করা হয়। এই ফায়ারের আওয়াজ শুনে রথের পিছন দিকে যে সমস্ত লোকেরা রথের দড়ি ধরে রথের দিক নির্ণয় করেন দাড়ি ছেড়ে দেন এবং আস্তে আস্তে রথ দাঁড়িয়ে পড়ে। এভাবেই গান ফায়ার দিয়ে রথের গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকিংয়ের কাজ করা হয়। এবং এই রীতি বহু প্রাচীন, তার বাবা ঠাকুরদার অমল থেকে এই নীতি চলে আসছে যা আজও বিদ্যমান।

আরও পড়ুনঃ Rohit Sharma:এবার পুরোপুরি অবসরে রোহিত শর্মা? আর কত দিন খেলবেন? জানালেন হিটম্যান

এই বিষয়ে এই কাজে উপস্থিত থাকা এক পুলিশ কর্মী সুকুমার উপাধ্যায় তিনি জানান, প্রতিবারই তাদের ওপর দায়িত্ব পড়ে এই গান ফায়ার এর কাজ করার। তাদের কাছে ব্ল্যাঙ্ক কার্তুজ থাকে, সেই কার্তুজ ফায়ার করেই শুরু হয় রথের টান।

রাহী হালদার