স্কুলের ছবি

Best School: রাজ্যের মধ্যে সেরা স্কুলের শিরোপা পেতে চলেছে মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম

হুগলি: রাজ্যের মধ্যে সেরা স্কুলের শিরোপা পেতে চলেছে হুগলির মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে এই ঘোষণা জানানো হয়েছে স্কুলকে। আগামী পাঁচ তারিখ শিক্ষক দিবসের দিনে স্কুলের হাতে আসতে চলেছে এই বছরের সর্ব সেরা স্কুলের সম্মান। যা জানার পর থেকেই খুশির হাওয়া মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুলের শিক্ষক শিক্ষাকর্মীয় ছাত্রদের মধ্যে।

পুঁথিগত শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা, ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈপুণ্য ও সৃজনশীলতা কোনও কিছুতেই পিছিয়ে নেই মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) ও মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যালয়। ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয়বারের জন্য মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) রাজ্য সরকারের সেরা বিদ্যালয় সম্মানে ভূষিত হতে চলেছে। একইসঙ্গে মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যালয়ও প্রথমবারের জন্য এই সম্মান পেতে চলেছে।

আরও পড়ুন: বেড়াতে গিয়ে নিজেকে রাজা-মহারাজা মনে করতে চাইছেন, চলে আসুন এই ঠিকানায়

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম দিবস অর্থাৎ শিক্ষক দিবসের দিন সরকারিভাবে দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়ার কথা।

শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানান, বর্তমানে চরম ইংরেজি আনুগত্যের মধ্যে তাঁদের বিদ্যালয় পড়াশোনা থেকে শুরু করে সমগ্র অফিসিয়াল কর্মকান্ড বাংলা ভাষায় করে থাকে। প্রতি বছরই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্র-ছাত্রী উপহার দেয় তাদের স্কুল। তাঁর কথায়, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, সৃজনশীলতা সহ নানাবিধ সামাজিক শিক্ষাদানে সাফল্যের বিচারে বিদ্যালয় এই সম্মানে ভূষিত হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে এই সবজি থেকে মাত্র ৩৫ দিনেই হয়ে যাবেন মালামাল, তবে মাথায় রাখতে হবে জরুরি কিছু বিষয়

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সৌমাল্য পাল বলেন, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরিচালনা এবং মহারাজদের শিষ্টাচার নিষ্ঠাবোধের বিকাশের ভাবধারা স্বরূপ এই শিরোপা। অন্যদিকে, মাহেশ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব ঘোষ বলেন, বিদ্যালয় একটা জড় বস্তু। এখানকার সজীব উপাদান হল মহারাজ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। সকলের সাফল্যেই এই সম্মান জয়। এগিয়ে চলুক মাহেশ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম। সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলুক আশ্রমের সমস্ত বিভাগ, চায় জেলাবাসী।

রাহী হালদার