শিক্ষা Best Boarding Schools in India: সন্তানদের পড়াশোনার চিন্তা? রইল দেশের সেরা ১০ বোর্ডিং স্কুলের ঠিকানা, মানুষের মতো মানুষ হবে! Gallery May 8, 2024 Bangla Digital Desk সন্তানদের পড়াশোনার জন্য সব বাবা-মায়েরই চিন্তা। বাবা-মা দু’জনেই চাকরিজীবী হলে অনেক সময়ই তাঁরা সন্তানকে বোর্ডিং স্কুলে রাখতে চান। বোর্ডিং স্কুলের পড়াশোনা, নিয়মকানুন, জীবন গঠন শৈলী অন্য সব স্কুল থেকেই আলাদা হয়। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় বোর্ডিং স্কুলগুলি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। দেশের সেরা ১০ বোর্ডিং স্কুলের ঠিকানা রইল। দেশের সেরা দশ বোর্ডিং স্কুলের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় দেরাদুনের দুন স্কুল। দেশের তাবড় প্রতিষ্ঠিত মানুষেরা এই স্কুল থেকে পাশ করেছেন। ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি আন্তর্জাতিক স্নাতক (IB) এর সঙ্গে অনুমোদিত, যা শিক্ষার্থীদের অনন্য আন্তজার্তিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করে থাকে। ভারতের সবচেয়ে ভাল বোর্ডিং স্কুলগুলির মধ্যে একটি হল বেঙ্গালুরুর জৈন ইন্টারন্য়াশনাল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। সারা পৃথিবী থেকে এই স্কুলে পড়তে আসে পড়ুয়ারা। সময়ের সঙ্গে যুগপোযোগী এবং সুষ্ঠু ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা এই স্কুল। পুণের মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ ১৬-১৯ বছরের পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়া হয়। যেখানে আন্তজার্তিক গ্রুপের সঙ্গে থাকার এবং পঠনপাঠনের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। দেরাদুনের টুলা’স ইন্টারন্য়াশনাল স্কুল ২০১২ সালে রিশব এডুকেশন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে। এটি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা। স্কুলটি গুরুকূল ধারণা মেনে চলে অর্থাৎ পড়ুয়া এবং শিক্ষকেরা একসঙ্গে থাকেন। তাই শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি পড়ুয়ারা জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়। বিবিধ সংস্কৃতিতে বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রদান করেন মুসৌরির উডস্টক স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের স্পষ্টবাদী এবং নৈতিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে। লরেন্স স্কুল ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো স্কুলগুলির মধ্যে একটি। ১৮৪৭ সালে শিমলাতে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন স্যার হেনরি লরেন্স এবং তাঁর স্ত্রী হোনোরিয়া। স্কুলটি পাইন, দেবদারু গাছে ঘেরা। সিবিএসই অনুমোদিত কোএডুকেশন স্কুলটিতে সারা ভারত থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। গোয়ালিয়র ফোর্টে অবস্থিত সিন্ধিয়া স্কুল। যেখানে একদিকে অসাধারণ গোয়ালিয়র ফোর্ট এবং অন্যদিকে রয়েছে পাহাড়। ১০০ একর ক্যাম্পাসের স্কুলটিতে শুধুমাত্র ছেলেরা পড়াশোনা করে। দেরাদুন ওয়েলহাম গার্লস স্কুল হল মেয়েদের প্রাইভেট বোর্ডিং স্কুল। ১৯৫৭ সালে স্কুলটি স্থানীয়দের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধীরে ধীরে উত্তর ভারতের অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। নৈনিতালে ঐতিহ্যবাহী শেরউড ক্যাম্পাস অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দয্য দিয়ে ঘেরা স্কুলটি শিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান। চিতোরের ঋষি ভ্যালি স্কুল খুবই জনপ্রিয়। স্কুলটিকে অন্যতম আবাসিক স্কুল হিসাবে গণ্য় করা হয় যা পড়ুয়াদের শুধুমাত্র শিক্ষাই দেয় না, একইসঙ্গে ব্যক্তিত্ব গঠনেও সাহায্য করে।
শিক্ষা Best Government Schools in India: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন? Gallery May 5, 2024 Bangla Digital Desk দেশজুড়ে সুখ্যাতি। বিখ্যাত এই স্কুল ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলায় অবস্থিত নেতারহাট আবাসিক স্কুল (Netarhat Residential School)। দেশ স্বাধীনতা লাভের পর এই আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও আজও সারাদেশে সগৌরবে পুরনো ঐতিহ্য বহন করে চলেছে এই আবাসিক স্কুলটি। যা আইএএস ও আইপিএস তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত। নেতারহাট আবাসিক বিদ্যালয় দেশের একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং নামকরা বিদ্যালয়। এখানে ঝাড়খণ্ড এবং আশেপাশের রাজ্যের অভিভাবকরা স্বপ্ন দেখেন যে তাঁদের সন্তানরা ভর্তি হবে। যাতে তাঁদের ভবিষ্যৎ তৈরি হয়ে যায়। কারণ এই স্কুল থেকে অনেক আইএএস, আইপিএস, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের আবির্ভাব হয়েছে। তেমন স্কুলে নিজের সন্তানকে পড়াতে সব বাবা-মায়েরই স্বপ্ন। নেতারহাট স্কুল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত। আজ এই বিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা দেশের অনেক বড় পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদও প্রথম দিকে নেতারহাট স্কুলের সাফল্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি নৈনিতালে অনুরূপভাবে আরেকটি স্কুল প্রতিষ্ঠার পরামর্শও চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল এরকম আরেকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখা যায়। নেতারহাটের আবাসিক বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে বিখ্যাত। এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণকারী হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশে বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন পর্যন্ত এখান থেকে প্রায় তিন হাজার ছাত্র আইএএস-আইপিএস এবং অন্যান্য সিভিল সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মহান গণিতবিদ বশিষ্ঠ নারায়ণ এবং প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর ড. ত্রিনাথ মিশ্র এবং ড. রাকেশ আস্থানাও নেতারহাট স্কুলের ছাত্র ছিলেন৷ আইপিএস অঞ্জনি আঞ্জানের মতো অফিসারেরাও পড়তেন। এই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ ত্রিনাথ মিশ্র। তিনি বর্তমানে একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জেবি তুবিদও এই স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। আইএএস মনীশ রঞ্জন এবং প্রাক্তন প্রশাসনিক আধিকারিক সুখদেব ভগতও নেতারহাটে আবাসিক স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। নেতারহাটের বাংলো হাউস কাঠের শিল্পের একটি চমৎকার উদাহরণ। তবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এই স্কুলটি দেখতে প্রতি বছর এখানে ভিড় জমান শত শত পর্যটকও।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল আছে ভারতেই! বলুন তো, কোথায় সেই স্কুল? কী নাম? চমকে উঠবেন জেনে Gallery February 24, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীর অনেক নামীদামি স্কুল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল কোনটি সেটা হয়তো অনেকেরই অজানা। জানলে অবাক হয়ে যাবেন, আমাদের দেশ ভারতেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম স্কুলটি। উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম স্কুল সিটি মন্টেসরি স্কুল (সিএমএস)। লখনউ শহরে এর ২১টি ক্যাম্পাস রয়েছে। আর সব মিলিয়ে ছাত্র সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। আর শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী হল সাড়ে চার হাজার। সিটি মন্টেসরি স্কুল (সিএমএস) হল একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। ১৯৫৯ সালে ড. জগদীশ গান্ধি এবং ড. ভারতী গান্ধি মিলে মাত্র ৫ জন পড়ুয়া নিয়ে চালু করেছিলেন সিটি মন্টেসরি স্কুল (সিএমএস)। সিএমএস কাউন্সিল ফর ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশনের সঙ্গে অনুমোদিত। এই স্কুলের মোট চারটি বিভাগ রয়েছে – প্রি-প্রাইমারি, প্রাইমারি, জুনিয়র, সিনিয়র। আসলে একটি স্কুলের একক ভবনে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে পড়ানো সহজ কাজ নয়। তবে সিএমএস এটা করে রীতিমতো নজির গড়েছে। সেই সঙ্গে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল’ হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। সিএমএস-এ শিশুদের বিকাশ, নৈতিক চরিত্র গঠন, দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির উপর খুবই জোর দেওয়া হয়। এই স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, খেলাধুলা, বিতর্ক, এমইউএন, বিদেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিনিময়, জুনিয়র ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুদের সর্বাত্মক বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়। এই স্কুলের প্রি-প্রাইমারি বিভাগে শিশুরা মজাদার, নিরাপদ এবং আনন্দময় পরিবেশে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। ফলে তাদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি ভালবাসা, সামাজিক দক্ষতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং আত্মবিশ্বাসের বিকাশ ঘটে। আর শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ধারণাগুলিকে অন্বেষণ করতে, শিখতে এবং বুঝতে সহায়তা করে। আবার প্রাইমারি বিভাগে প্রাথমিক বয়সের শিশুদের ক্ষমতায়ন করা এবং মূল বিষয়গুলিতে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ দিয়ে থাকে। বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা কঠোর পরিশ্রমী হয়। ভাল আচরণ এবং আত্ম-শৃঙ্খলার গুণাবলীও তাদের মধ্যে বেড়ে ওঠে। জেনে অবাক হবেন যে, সিটি মন্টেসরি স্কুলে ১০০০ টিরও বেশি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। এই স্কুলে প্রায় ৩,৭০০ টি কম্পিউটার রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি, মডেল জিতেশ সিং-র মতো বিখ্যাত তারকারা সিটি মন্টেসরি স্কুল থেকে তাদের স্কুলিং করেছেন। সাল ২০০৫-এ গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নামও তুলে নিয়েছে এই স্কুলটি। এছাড়াও স্কুলটি ২০০২ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক শান্তি শিক্ষা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। সিটি মন্টেসরি স্কুল তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাই লামা কর্তৃক HOPE OF HUMANITY পুরস্কারেও ভূষিত হয়। মাত্র ৫ জন ছাত্র নিয়ে শুরু হওয়া একটি স্কুলের সাফল্যের গল্প সত্যিই বিস্ময়কর।