উত্তর দিনাজপুর, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: মাত্র এক টাকা খরচ করে লাভ হবে দশ টাকা ! কোথায় ? Gallery April 9, 2024 Bangla Digital Desk ওল খেলে গলা চুলকায়! তাই অনেকে ওল খান না। কিন্তু এই নতুন জাতের এই কাভুর ওল খেতে মাখনের মতোই সুস্বাদু, গলাও চুলকায় না। অত্যন্ত পুষ্টিকর ও এই কাভুর ওল কিভাবে চাষ করবেন জানেন কি? সঠিক পদ্ধতিতে এই কাভুর ওল চাষ করতে পারলে ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কোন সময়ও কিভাবে এই কাভুর ওল চাষ করবেন? কি বলছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি শুনুন, সবজি হিসেবে ওল চাষ কিছুটা লটারির মত। এক টাকা খরচ করলেই এই ওল চাষে দশ টাকা লাভ হবে।সঠিক প্রযুক্তিতে চাষ করলে যতটা লাগাবেন, তার দশ গুণ তো বটেই, ১৩-১৪ গুণ ফলন পাওয়া যায় এই কাভুর ওল চাষ করে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া ওল গাছ খুব পছন্দ করে। সেই জন্য খরিফ মরসুমে এর চাষ হয়। সাধারণ ভাবে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ওল রোয়া হয়। কিন্তু ভাল সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফাল্গুন-চৈত্র মাসেও লাগানো যায়। বরং এই সময়ে লাগালেই ভাল। কারণ আগে-ভাগে ফসল ওঠে বলে বাজারে দাম পাওয়া যায়। জমি তৈরি:সারাদিন রোদ পায় আর জল দাঁড়ায় না এমন জমি ওল চাষের জন্য আদর্শ। চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুরে এবং সমতল করতে হবে। এরপর আগাছা ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বীজ বপনবীজ হিসাবে ব্যবহারের জন্য ক’দিন রোদে ওল গরম করে নিলে অঙ্কুরোগ্দম ভাল হয়। কেজিখানেকের মতো গোটা বীজকন্দ পেলে ভাল। না হলে ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজির মতো অংশ সমেত টুকরো টুকরো করে কেটে বসাতে হয়। বসানোর আগে অবশ্য শোধন করা দরকার।বীজ লাগানোর দেড় মাস পর ইউরিয়া , হিউমিক অ্যাসিড দানা চাপান দিতে হবে। ওল ফসলে রোগপোকার আক্রমণ বেশি হয় না। তবে অনেক সময় গোড়া পচা রোগ ধরে গাছ ঢলে যায়। বর্ষার সময় ধ্বসা বা পচার উপদ্রব মনে হলে সবার আগে জমির জলনিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর দিন। পাঁচ-ছ’মাসে পাতা হলুদ হয়ে আসলে ওল তোলা যাবে। পুজোর সময় তুললে ভাল দাম পাবেন। তবে, প্রয়োজন মতো ক’মাস জমিতে রেখেও তুলতে পারেন ওল। উন্নত জাতে বিঘা প্রতি ৭-৮ কুইন্ট্যাল ওল লাগিয়ে ১৫০-১৭০ কুইন্ট্যাল ফলন পাওয়া যায়। সাধে বলে, ওল চাষ অনেকটা লটারির মতো।