বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে মন্ডপে

Flood Situation: দ্বিতীয়বার বানভাসি ভুতনি এলাকা, উৎসব নিয়ে চিন্তিত বাসিন্দারা 

মালদহ: আকাশে বাতাসে আগমনীর বার্তা। সাজো সাজো রব চারিদিকে। দুঃখ কষ্ট ভুলে এখনও উৎসবে সামিলের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছিল মালদহের ভুতনি। তবে জল কমতেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ভুতনির তিনটি পঞ্চায়েতের গ্রামগুলিতে। বানভাসিরা বাড়ি ফিরে শুরু করেছিলেন পুজোর প্রস্তুতি। কিন্তু নতুন করে দ্বিতীয় বার ভুতনিতে গঙ্গার জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফের নতুন করে বানভাসি তিনটি অঞ্চলের মানুষ।‌ শুরু হয়েছিল পুজোর প্রস্তুতি, মন্ডপ থেকে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়েছিল। কিন্তু বন্যার জল ঢুকে পড়ায় সমস্ত কিছু ভেস্তে যেতে বসেছে। দুর্গা মন্দির থেকে মন্ডপ গুলিতে জল ঢুকে পড়েছে। অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় মন্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতিমা তৈরিতে ও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুজোর আনন্দে সামিল হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্মৃতি প্রামানিক বলেন, দ্বিতীয়বার বন্যার জল ঢুকেছে আমাদের এলাকায়। কিভাবে পুজো হবে জানিনা। তবে জল থাকলেও কোনরকম ছোট করে পুজো করতে হবে আমাদের।

আরও পড়ুন: চোখে দেখা যায় না দুর্ভোগ, মুক্তির উপায় খুঁজছে এনএইচএআই

মালদহের মানিকচক ব্লকের ভুতনির তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ২৯ টি দুর্গা পুজো হয়। তারমধ্যে ২২ টি সার্বজনীন।সকলের মত ভুতনিবাসীও পুজো নিয়ে মেতে থাকে। কিন্তু এইবার কিভাবে পুজা হবে, কোথায় মন্ডপ তৈরি হবে এই নিয়ে চিন্তিত সকলে। ভুতনিতে মা দুর্গার স্থায়ী মন্দির মোট দশটি। বাকি পুজো হয় অস্থায়ী পুজো মন্ডপে তৈরি করে। কিন্তু বন্যার জল এখনও রয়েছে এলাকায়। নতুন করে আবার চারিদিক জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। পুজ উদ্যোক্তা রাজেশ মন্ডল বলেন, প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আমাদের। আমরা আশা করছি পুজোর আগে বন্যার জল কমে যাবে। আমাদের পুজো হবে।

আর কয়েকদিন পরেই দুর্গাপুজো ইতিমধ্যেই দুর্গা মন্ডপ এবং পুজো মন্ডপগুলিতে জল থৈথৈ করছে। রীতিমতো চিন্তিত ভুতনিবাসী। তাহলে কি এবার পুজোয় সামিল হতে পারবেন না তাঁরা। উৎসব থেকে বঞ্চিত হতে হবে। তবে উদ্যোগতারা আশাবাদী, পুজোর আগেই বন্যার জল কমবে। তাদের প্রস্তুতি নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হবে। পুজোয় উৎসবে সামিল হতে পারবেন তাঁরাও।

হরষিত সিংহ