পাঁচদিনের ব্যবধানে একই রাস্তায় দু'বার শিলান্যাসের ঘটনায় শোরগোল মালদহে।

TMC BJP Tussle on Road construction credit: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! উন্নয়নের কৃতিত্ব নিয়ে বচসা তৃণমূল ও বিজেপির

মালদহ: রাস্তা তৈরির কাজের শিলান্যাসে তৃণমূল, বিজেপির দড়ি টানাটানি। পাঁচদিনের ব্যবধানে একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস পুরাতন মালদহে। গত সোমবার এক কিলোমিটার রাস্তার শিলান্যাস করেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য সহ দলীয় নেতৃত্ব। পাঁচ দিন পর আজ ওই একই রাস্তা তৈরির শিলান্যাস করলেন বিজেপির সাংসদ,  বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। রাস্তার কাজ কবে শেষ হবে ঠিক নেই। তার আগেই কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির এই টানাপড়েনে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এলাকায় এনিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপির সাংসদকে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান বিজেপির মালদহ উত্তরের সংসদ খগেন মুর্মু। রাস্তার কাজের দু’বার শিলান্যাস নিয়ে একে অন্যকে তোপ দেগেছে দু’পক্ষই।

বিবাদের সূত্রপাত পুরাতন মালদহের ভাবুক অঞ্চলের কুতুবপুর এলাকায় এক কিলোমিটার কংক্রিট ঢালাই রাস্তার কাজ ঘিরে। এই রাস্তার কাজের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। গত সোমবার এই রাস্তার কাজের শুভ সূচনা করেন তৃণমূল পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য নাইকি হাঁসদা। নারকেল ফাটিয়ে, ফিতা কেটে কাজের সূচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। নিজেদের হাতে এই শিলান্যাসের পেছনে তৃণমূলের যুক্তি, এই রাস্তার অনুমোদন হয়েছে জেলা পরিষদ সদস্যের উদ্যোগে। অর্থ বরাদ্দও রাজ্যের।

আরও পড়ুন- জার্মানি থেকে আসছে মেশিন! কলকাতায় কবে, কোন মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়া হবে?

অন্যদিকে, আজ ওই এলাকায় গিয়ে একই রাস্তার কাজের দ্বিতীয়বার শিলান্যাস করে পদ্মশিবির। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদহ বিধানসভার বিধায়ক গোপাল সাহা, মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সভাপতি রুম্পা রাজবংশী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি। বিজেপি শিবিরের পাল্টা দাবি, এই রাস্তার কাজ হাতে নিয়েছে বিজেপি পরিচালিত মালদহ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন। ফলে রাস্তার শিলান্যাসের অধিকার তাঁদেরই।

এ দিকে একই রাস্তায় পরপর দু’বার শিলান্যাস অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় কিছু মানুষ এনিয়ে সরব হন। বিজেপি সংসদের সঙ্গে বচসা হয় স্থানীয়দের কয়েকজনের। মেজাজ হারাতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদকে। পরে অবশ্য বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সংসদ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বারবার শিলান্যাস নয়, তাঁরা এলাকার রাস্তার উন্নয়ন চান। সাংসদ বলেন, কয়েকজন গ্রামবাসী অন্য একটি ছোট রাস্তার উন্নয়নের দাবিতে সরব হন। উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। পরে দাবি খতিয়ে দেখে ওই রাস্তার কাজ করে দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।