Tag Archives: Road Construction

Road Block: পুরনো শ্যাওলা ধরা ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কার! প্রতিবাদে বাঁশ বেঁধে পথ অবরোধ

উত্তর দিনাজপুর: পুরোনো শ্যাওলা পড়া ইট দিয়ে খারাপ রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। খারাপ উপকরণ দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা বাঁশ বেঁধে পথ অবরোধ করেন। ঘটনাটি কালিয়াগঞ্জের।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাঁশতলা থেকে শিমুলতলা পর্যন্ত রাস্তাটি একেবারে খারাপ হয়ে পড়ে। ছোট বড় গর্ত আর খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল রাস্তাটি। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা সারানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন গ্রামবাসীরা। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়েই স্থানীয় বিডিও অফিস, হাসপাতাল ও স্কুলে যাতায়াত করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। বর্ষাকাল এলেই শহরের এই ব্যস্ততম রাস্তায় জল জমে যায়, ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের। অবশেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় রাস্তা সংস্কারের জন্য পুরনো শ্যাওলা ধরা ইট ও রাবিশ দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ হচ্ছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ টানা বৃষ্টিতে ফের জল যন্ত্রণার ছবি, পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তায় নামলেন মেয়র

গ্রামবাসীরা রাস্তায় বাঁশ বেঁধে এদিন পথ অবরোধ করেন। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পিচ দিয়ে ভালভাবে রাস্তা তৈরি করার দাবি জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। এই ব্যাপারে পুরপ্রধান রামনিবাস সাহা বলেন, সামনেই পুজো। তাই এত তাড়াতাড়ি রাস্তা সম্পূর্ণ নতুন করে করা সম্ভব নয়। তাই রাস্তা দিয়ে যাতে চলাচল করা যায় সেই কারণে ইট ও রাবিশ দিয়ে সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু এমন খারাপ উপকরণ দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ মেনে নিতে রাজি নন বাসিন্দারা।

পিয়া গুপ্তা

Road Construction Clash: রাস্তা তৈরি নিয়ে বিবাদে জড়াল শাসকদলের দুই পক্ষ, সিঙ্গুরে চ্যালা কাঠ নিয়ে তাড়া করারর ভিডিও ভাইরাল

হুগলি: গ্রামের রাস্তা তৈরি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ। আর তাতেঈ মহিলাকে রাস্তায় ফেলে চলল বেদম মারধর। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গোটা ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলির সিঙ্গুরে।

রাস্তা তৈরি নিয়ে বিবাদের জেরে মারামারির এই ঘটনায় যিনি মার খেয়েছেন আর যারা মেরেছে সকলেই শাসক দলের পঞ্চায়েতের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ায় একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। গ্রামের সাঁতরা পরিবারের বাড়ির গা ঘেঁসে প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া ও ৪০০ ফুট লম্বা একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। তাতে বাধা দেয় ওই পরিবার।বাড়ির গা ঘেঁসে থাকা ড্রেনের উপর দিয়ে রাস্তা করায় আপত্তি জানায় তারা।

আর‌ও পড়ুন: আজও প্রদীপের টিমটিমে আলোই ভরসা! বিদ্যুতের অভাবে এই গ্রামে পড়াশোনা লাটে উঠেছে

পাল্টা পঞ্চায়েত অভিযোগ করে, তাদের জায়গা দখল করে আছে পরিবারটি। সোমবার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করতে গেলে ঝামেলা বাঁধে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বেরাবেরি পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমা সর্দার সহ স্থানীয় তৃণমূল সদস্যরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ’ও। তাঁদের সঙ্গে বচসা চলার সময় আনন্দ মোহন ঘোষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর কাটারি নিয়ে তাড়া করা হয়। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।পাশাপাশি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।সেখানে দেখা যাচ্ছে যুবতী সীমা সাঁতরাকে রাস্তায় ফেলে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারা হচ্ছে! মারধোর করা হয় ওই যুবতীর বাবা কাশীনাথ সাঁতরাকেও।

দুজনই আহত অবস্থায় শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন। প্রভাত সাঁতরার অভিযোগ, কোর্টে মামলা হয়েছিল।পুলিশ সময় দিয়েছিল রবিবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তারা সমস্যা মেটাবে বলে। তার আগেই জোর করে পঞ্চায়েত রাস্তা তৈরীর চেষ্টা করে। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় যদিও কোন‌ও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

রাহী হালদার

TMC MP Kirti Azad: রেগে গিয়ে রাস্তার পাথর তুলে ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে ঢোকালেন সাংসদ! কেন এমন ঘটল?

পশ্চিম বর্ধমান: এক মাসের মধ্যেই বেহাল নতুন রাস্তা। পিচ উধাও, উঠে আসছে পাথর। ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। হাত দিয়ে খুঁড়ে ফেললেন রাস্তা, মুঠো করে তুলে নিলেন পাথর। সেই পাথর ঢুকিয়ে দিলেন জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে। বলেন, যান এই পাথর নিয়ে কী করবেন তা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে দেখান। গলসির মনোহর সুজাপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই দুঃসংবাদ! গুলি করা খুন করা হল প্রাক্তন ক্রিকেটারকে

রাস্তা বেহাল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদ। বেহাল রাস্তা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। জানিয়ে দেন, ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাবেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, অভিযোগ পেয়ে সাংসদ পৌঁছে গেলেও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আসতে পারলেন না কেন? এরপরই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের জিনসের পকেটে স্টোনচিপ ভরে দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার-সাংসদ। যা দেখে হাততালি দিয়ে উঠলেন রাস্তার চার পাশে ভিড় করা মানুষজন। কেউ কেউ সাংসদের মারকাটারি মেজাজ দেখে ছবিও তুলে রাখলেন মোবাইলে।

আরও পড়ুন: প্রসবের সময় মৃত্যু স্ত্রীর! সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… শিউরে উঠবেন

মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের গলসির মনোহর-সুজাপুরে গিয়েছিলেন কীর্তি। সেখানে একটি সদ্য নির্মীয়মাণ রাস্তা দেখে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকেন তিনি। তাঁকে বলেন, ”আপনার সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিয়ারকে বলবেন, এটা দেখতে। তিনি এই রাস্তা নিয়ে কী করবেন সেটা নিয়ে ভাবতে। এই রাস্তা কি তাঁর চোখে পড়েনি?”

সাংসদ জানান, তিনি সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে একের পর এক প্রশ্ন করেও কোনও সদুত্তর না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে যান। সাংসদ এ-ও বলেন, ”রাস্তা নিয়ে মানুষের অভিযোগ পেয়ে একজন সাংসদ আসতে পারেন। কিন্তু এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আসতে পারেন না?”

তৃণমূল সাংসদ বলেন, ”দিদির সরকার গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করছে। এতো ভাল ভাল প্রকল্প করছে, আর মানুষকে এই ভাবে অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে! সাধারন মানুষের টাকা এভাবে নয়ছয় করতে দেব না। এ নিয়ে জেলাশাসককে চিঠি লিখব। রাস্তার এই অবস্থা কেন, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলব”।

TMC BJP Tussle on Road construction credit: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! উন্নয়নের কৃতিত্ব নিয়ে বচসা তৃণমূল ও বিজেপির

মালদহ: রাস্তা তৈরির কাজের শিলান্যাসে তৃণমূল, বিজেপির দড়ি টানাটানি। পাঁচদিনের ব্যবধানে একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস পুরাতন মালদহে। গত সোমবার এক কিলোমিটার রাস্তার শিলান্যাস করেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য সহ দলীয় নেতৃত্ব। পাঁচ দিন পর আজ ওই একই রাস্তা তৈরির শিলান্যাস করলেন বিজেপির সাংসদ,  বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। রাস্তার কাজ কবে শেষ হবে ঠিক নেই। তার আগেই কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির এই টানাপড়েনে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এলাকায় এনিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপির সাংসদকে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান বিজেপির মালদহ উত্তরের সংসদ খগেন মুর্মু। রাস্তার কাজের দু’বার শিলান্যাস নিয়ে একে অন্যকে তোপ দেগেছে দু’পক্ষই।

বিবাদের সূত্রপাত পুরাতন মালদহের ভাবুক অঞ্চলের কুতুবপুর এলাকায় এক কিলোমিটার কংক্রিট ঢালাই রাস্তার কাজ ঘিরে। এই রাস্তার কাজের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। গত সোমবার এই রাস্তার কাজের শুভ সূচনা করেন তৃণমূল পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য নাইকি হাঁসদা। নারকেল ফাটিয়ে, ফিতা কেটে কাজের সূচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। নিজেদের হাতে এই শিলান্যাসের পেছনে তৃণমূলের যুক্তি, এই রাস্তার অনুমোদন হয়েছে জেলা পরিষদ সদস্যের উদ্যোগে। অর্থ বরাদ্দও রাজ্যের।

আরও পড়ুন- জার্মানি থেকে আসছে মেশিন! কলকাতায় কবে, কোন মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়া হবে?

অন্যদিকে, আজ ওই এলাকায় গিয়ে একই রাস্তার কাজের দ্বিতীয়বার শিলান্যাস করে পদ্মশিবির। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদহ বিধানসভার বিধায়ক গোপাল সাহা, মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সভাপতি রুম্পা রাজবংশী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি। বিজেপি শিবিরের পাল্টা দাবি, এই রাস্তার কাজ হাতে নিয়েছে বিজেপি পরিচালিত মালদহ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন। ফলে রাস্তার শিলান্যাসের অধিকার তাঁদেরই।

এ দিকে একই রাস্তায় পরপর দু’বার শিলান্যাস অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় কিছু মানুষ এনিয়ে সরব হন। বিজেপি সংসদের সঙ্গে বচসা হয় স্থানীয়দের কয়েকজনের। মেজাজ হারাতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদকে। পরে অবশ্য বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সংসদ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বারবার শিলান্যাস নয়, তাঁরা এলাকার রাস্তার উন্নয়ন চান। সাংসদ বলেন, কয়েকজন গ্রামবাসী অন্য একটি ছোট রাস্তার উন্নয়নের দাবিতে সরব হন। উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। পরে দাবি খতিয়ে দেখে ওই রাস্তার কাজ করে দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।

Villagers Protest: খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি, কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল স্থানীয় প্রশাসন। প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের লস্করপাড়া এলাকায়। খেলার মাঠ নষ্ট করে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদে পরে ব্লক অফিসে গিয়ে স্মারকলিপিও দেন গ্রামবাসীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় উত্তর দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাঠ রয়েছে। ওই মাঠে স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি গ্রামের ছেলেরাও খেলাধুলো করে। সম্প্রতি ওই মাঠের উপর দিয়েই একটি রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েত। এর জন্য কয়েক দিন ধরে মালপত্র ফেলা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শুরুর তোরজোড় হয়। এরপরই বহু গ্রামবাসী জড়ো হয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে বড় কাণ্ড, ১০ কোটি টাকা দিয়ে হচ্ছে এই কাজ!

গ্রামবাসীরা জানান, মাঠের উল্টো দিকে একটি মাত্র পরিবারের বাস। সেই পরিবারের কথা ভেবেই ওই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে বহু ছেলেমেয়ে খেলাধুলো থেকে বঞ্চিত হবে বলে দাবি তাঁদের। পঞ্চায়েত সূত্রে পাল্টা দাবি, স্কুল-সহ পুরো জায়গাটার মালিক ওই পরিবার। স্কুলের জায়গা তাঁরা দান করে দিয়েছেন। কিন্তু মাঠ সহ অন্যান্য জায়গা তাঁদের মালিকানাধীন আছে। সেই জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য ওই পরিবারের তরফে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতই রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকর পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই এলাকায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই পঞ্চায়েত সদস্য সালেয়া গাজি বলেন, রাস্তা তৈরির ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি মাঠ নষ্ট করে রাস্তা তৈরি সমর্থন করি না। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদে আমার সমর্থন রয়েছে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রায় একশো বছরের কাছাকাছি মাঠটি খেলাধুলোর জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ হঠাৎ সেখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এক শ্রেণির নেতার মদতে রাস্তা তৈরি করে ধীরে ধীরে ওই মাঠ দখল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা রাস্তা তৈরির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু খেলার মাঠ বাঁচিয়ে রাস্তা হোক।

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওই জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মত পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। স্কুলের পাশ দিয়েই মাঠের উপর রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। ওখানে রাস্তা হলে শুধু ওই পরিবার নয়, স্কুলের পড়ুয়া, অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়া, নলকূপে জল নিতে আসা গ্রামবাসীরা সকলে উপকৃত হতেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্লক দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সুমন সাহা

Girl Drowns Monsoon: গভীরতা না বুঝে গর্তে পা দিয়ে যা হল তরুণীর…! চরম বিপত্তি বর্ষায়

ইনদওর: বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু কাজগুলো আদৌ শেষ হয় কি না তার হদিশ মেলে না। উপরন্তু অসম্পূর্ণ কাজের জন্য খেশারত দিতে হয় এলাকাবাসীকে। সম্প্রতি বর্ষার মরসুমে এমনই এক অসতর্কতার কারণে বড় বিপদ ঘটতে চলেছিল। পুরসভার খনন করা গর্তে পড়ে গেলেন এক তরুণী। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে অমর নগর এলাকায় এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি যাতে সেদিনের ঘটনার কিছু অংশ দেখা যায়। ঠিক কী হয়েছিল? ভিডিওতে দেখা যায় রাস্তার মাঝামাঝি অনেকখানি অংশ খোঁড়া রয়েছে। তাতে বৃষ্টির জল জমে আছে। দেখে গভীরতা বোঝার উপায় নেই। সেখানেই পড়ে গেলেন সেই তরুণী। চলাচলের পথে তিনি গর্তের গভীরতা মাপতে যেতেই বিপত্তি। অনুমানের চেয়ে বেশি ছিল গভীরতা। পা গর্তে রাখতেই পিছলে পড়ে যান। ডুবে যেতে থাকেন জল কাদার গভীরে। ওঠার চেষ্টা করলেও তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় না। তাঁকে সেই অবস্থায় দেখতে পেয়ে ছুটে আসে একটি বাচ্চা ছেলে। সে একটি গাছের ডাল ছুড়ে দেয় তরুণীর দিকে। সেটি ধরেই কোনও মতে গরতের বাইরে আসতে পারেন তিনি।

ভিডিও দেখে নেটিজেনরা শিউরে ওঠেন। মন্তব্য করেন, ছোট ছেলেটি সময় মতো এসে না পড়লে সেই তরুণীর প্রাণ সংশয় হতে পারত। বর্ষার মধ্যে এভাবে রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে কেন, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গত বছর জুলাইতেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল এই রাস্তা খোঁড়ার কারণে। বর্ষায় জল জমে নর্মদা পাইপ লাইনের কাজে খনন করা গর্ত কার্যত অদৃশ্য হয়ে গেছিল। তাতেই পড়ে মৃত্যু হয় ৫ বছরের ছেলে বংশ পান্ডের। ইনদওরের বুকেই ঘটেছিল সেই ঘটনা। বছর ঘুরতেই বর্ষায় ফিরে এল সেই আতঙ্কের অধ্যায়।

Villagers Protest: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

হুগলি: কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নপাড়া এলাকায় খেলার মাঠের উপর দিয়ে তৈরি হচ্ছিল রাস্তা। এদিকে ওই গ্রামের মানুষের কাছে খেলার মাঠটি হল আবেগের জায়গা। সেখানকার ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ওই মাঠে খেলাধুলো করে। তাই মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসীরা। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের বাধায় বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা তৈরীর কাজ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নপাড়ার বাদামতলার মাঠ বহুদিনের পুরনো। সেই মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল প্রমোটিংয়ের উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য ছিল মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে গিয়ে পিছনের জমির কাছে পৌঁছে যাওয়া। যাতে ওই জমি পরবর্তীতে প্লটিং করে বিক্রি করা যায়। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম হয়ে উঠছিল গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে আছেন খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় গিয়েছিলেন শনিবার। রবিবার বিকেলে মাঠে খেলাধুলো চলাকালীন দেখা যায় মাঠের পশ্চিম দিক পরিষ্কার করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খবর পেয়েই প্রায় সকল গ্রামবাসী মাঠে এসে হাজির হন। যে ঠিকাদার রাস্তা তৈরির কাজ করছিলেন তাঁকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষমেশ বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা তৈরির কাজ।

আর‌ও পড়ুন: দিন চলে যায়, ১০০ বছরের পুরনো শিল্পের শিল্পীদের কথা ভাবে না কেউ

ঠিকাদার পীযুষ মজুমদার জানান, তাপস নামে কেউ একজন তাঁকে এই কাজের বরাত দিয়েছেন। যদিও তাপসের টাইটেল কী বা বাড়ি কোথায় সেসব কিছুই বলতে পারেননি তিনি। তাপসকে নাকি কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃমমূল সদস্য নন্দদুলাল নস্কর বলেছিলেন রাস্তা করে নিতে। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য সেই কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কোন‌ও বিষয় নেই। বেশ কিছুদিন ধরে কানাইপুর নপাড়া অঞ্চলে জমি কেনা-বেচা চলছে। অনেকেই তাঁর কাছে আসেন বাড়ি তৈরির অনুমতি নিতে। তিনি অনুমতি দিয়েও দেন। মাঠের জমি দখল নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে শুনে তিনি নিজে ন’পাড়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানান ওই পঞ্চায়েত সদস্য।

ওই গ্রামের বাসিন্দার পরিষ্কার জানিয়েছেন, বহুদিন ধরে ওই মাঠে এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে আসছে। সেই মাঠ কারোর ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার হতে দেবেন না। কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আচ্ছালাল যাদব বলেন, মাঠ দখল করে রাস্তা করা বা প্রমোটিং করা এটা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না। আমি গত পাঁচ বছর যখন প্রধান ছিলাম তখন আমার আতঙ্কে জমি মাফিয়ারা এলাকা ছেড়েছিল। এখন হয়ত সেই দিকে আর নজর দেওয়া হয় না, তাই এসব হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যারা দায়িত্বে আছেন তাঁদের উচিত এগুলো দেখা।

রাহী হালদার