লাভপুর: লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা আগামী মঙ্গলবার। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট চলাকালীন সংবাদপত্রে প্রচারকের নাম না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, টাকার উৎস লোকাতেই বিজ্ঞাপনে প্রচারকের নাম লিখছে না বিজেপি।
লাভপুরে নির্বাচনী প্রচার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘এখন রোজ কাগজে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আর ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। বিজ্ঞাপনে প্রচারকদের নাম নেই। এটা বেআইনি। আমরা কমিশনকে বলব। আমরা বিজ্ঞাপন করতে চাইলে আপনারা করতে দিতেন না। এটা বিজ্ঞাপন হতে পারে? বলছে তৃণমূল দুর্নীতির আঁতুরঘর। মোদিবাবু কত টাকার ফরেন ডিল করেছেন। ডিফেন্স ডিল করেছেন। একটা দেশের কাছে প্রতিরক্ষা বিক্রি করেছেন। দেশের নাম বলছি না। এখন আর কাশীপুর গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি অর্ডার পায় না। পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? সত্যি কথা বলার সাহস নেই। বুকের পাটা নেই।’
আরও পড়ুন: গরমে শেষপাতে রোজ টক দই খাচ্ছেন? শরীরে এর ফলে কী হয় জানেন? চমকে যাবেন জানলে
মমতার চ্যালেঞ্জ, ‘মোদির দল ক্ষমতা বা হিম্মত থাকলে পিসি-ভাইপো বলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়ে বলবে। তোরা ডাকাত, কয়লা মাফিয়া। তোরা কয়লা, গরু থেকে টাকা খাস। ওটা আমাদের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা টাকা খায়। মিথ্যা কথা বলার জন্য জিভ মোটা হয়ে যায়। আমি অনেক বছর এমপি ছিলাম। আমি সাংসদ থেকে পেনশন পেতে পারি। আমি সব ছেড়ে দিয়েছি। আমি বই লিখে যা টাকা পাই তা দিয়ে চলে আমার। আপনি তো কয়লা খনি থেকে দেশ সব বেচে দিচ্ছেন। আপনার বন্ধুদের কাছে। জিজ্ঞেস করবেন তাদের থেকে আমরা ইলেক্টোরাল বন্ড টাকা নিয়েছি কিনা? আমাকে চোর বলছেন? জিভ ছিঁড়ে পড়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
ফের লোকসভা নির্বাচনের সময় আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে মমতার দাবি, ‘যে কেউ আদালতে মামলা করতে পারে। আর আদালতে বিজেপির কেউ না কেউ বসে আছে। প্রমাণ হল না তার আগে চোর বলে দিল। কেস প্রমাণিত না হলে আইনের চোখে অপরাধী নয়। কেষ্টকে ধরে রেখেছে ভোটের জন্য। ভোট হয়ে গেলে ছেড়ে দেবে। ক’দিন আগে চাঁদুর বাড়িতে গিয়েছিল। চাঁদুকে ডেকে বসিয়ে রেখেছিল। ওকে বলেছিল সন্ধ্যায় পলিটিক্যাল ফোন আসবে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বার্তা। আমার থেকে ভাল বিজেপিকে কেউ চেনে না। এটা বাংলার ভোট নয়, আমাকে চোর বলল আর আমি চোর হয়ে গেলাম। এটা মোদির ভোট, তাঁকে জবাব দিতে হবে তিনি চোর না ডাকাত।’
আবীর ঘোষাল