উত্তরকন্যায় বৈঠকে মমতা

Mamata Banerjee: ‘পুজো বলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না’, উত্তরে সরকারি কর্মীদের বড় দায়িত্ব মমতার

শিলিগুড়ি: দু’দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করলেন মমতা। পুজোর আগে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গজোলডোবায় বিদ্যুৎ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিল না। বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়ে মারা যান ৪ জন। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল। খুবই দুঃখজনক ঘটনা একটা পরিবার এর ৪ জন মারা গিয়েছেন। আজ আমরা যেগুলো বন্যায় প্লাবিত হতে পারে ও হয়েছে তাঁদের সবার সঙ্গে মিটিং করলাম। সবাইকে অনুরোধ করব তার টানবেন না। বিদ্যুৎ দফতরকে বলেছি একটা অ্যাড করতে। বিধান মার্কেটে কাল ৬টা দোকান পুড়ে গিয়েছে। গৌতম দেবকে বলেছি নতুন করে তৈরি করে দিতে। পুজোর সময় পুড়ে গিয়েছে, সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আর যেইগুলো অল্প ক্ষতি হবে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: সকালে ঘুম ভাঙতেই একের পর এক হাঁচি হয়? কেন হচ্ছে এমন সমস্যা? না জানলে বড় বিপদ হতে পারে!

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে মমতার বক্তব্য, ‘সব জেলাশাসকদের বলব, যাঁরা জনপ্রতিনিধি আছেন সবাইকে অ্যালার্ট করা হল। ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে, কোশী নদীর জল গাজোল, ইটাহার, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, সুতি, ভগবানগলা, মুর্শিদাবাদেও কথা বলা হয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বন্যা ত্রাণ দেওয়া দরকার, যা যা ফসল নষ্ট হয়েছে, শস্যবিমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩১-এ অক্টোবর পর্যন্ত। গ্রামীণ রাস্তা যাঁরা বিধায়ক-সাংসদ আছেন এবার তাঁরা করবেন, যেগুলো তাঁরা করবেন তাঁরা সেটা জানাবেন।’

আরও পড়ুন: অনবরত গা চুলকাচ্ছে! কোন ভিটামিনের অভাবে গা-হাত-পা চুলকায় জানেন? বড় ক্ষতির আগে জানুন

ফের একবার এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট টাকা দেয় না। ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। তাহলে আরও জল ধরে রাখতে পারত। পুজো বলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। পাশে থাকতে হবে। আমি পাশকুড়া থেকে ফিরছিলাম দেখলাম জল নেই। ১৫ মিনিটের মধ্যে জল হয়ে গেল। আমি নিজেও কিছু ড্রাই ফ্রুট পাঠাচ্ছি, govt ছাড়াও। আমাদের পুলিশের লোকরা ভাল কাজ করছে। গঙ্গার পার্শবর্তী অঞ্চলগুলো আছে, তাদের বলব কয়েকটা দিন রিলিফ সেন্টারে থাকুন। নৌকা করে ত্রাণ দিয়ে বেরোন লাইফ জ্যাকেট ছাড়া ত্রাণ দেবেন না। সব ডিপার্টমেন্টকে যার যার দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

উত্তরবঙ্গে এসে কী কী সাবধানতা নেওয়া দরকার তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহালয়া পর্যন্ত ২ জন করে এই জেলাগুলোতে সিনিয়র অফিসার পোস্টিং থাকবে। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলা সব সময় বঞ্চিত। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়