কলকাতা: বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন, সমস্ত রোগী কল্যান সমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশ কর্মী নিয়োগ নিয়েও বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন, ‘‘১২০০ পুলিশ কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল
সেটা চালু হওয়ার একটা নির্দেশ সোমবার আসতে চলেছে।’’
মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা অনেক বেড়েছে জানালেন মমতা। ‘‘আগে ১১ টা মেডিক্যাল কলেজ ছিল। এখন ৪২ টি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ছিল। জেলা হাসপাতাল ছিল।’’
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে জেলে প্রাক্তন অভিজিত্! কে হচ্ছেন টালা থানার নতুন ওসি?
‘রাত্তিরের সাথী’ চালু করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের দেওয়া হল যাতে রেস্ট রুম,শৌচাগারে এর ব্যবস্থা করা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘‘১০০ কোটি টাকা যেটা দিয়েছি, সেটা দিয়ে প্রিন্সিপালদের দায়িত্ব দিয়েছি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রোগী কল্যান সমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়েছি। আজ থেকে প্রিন্সিপালের দায়িত্বে একজন জুনিয়র ডাক্তার, সুপার থাকবে।’’
ম্যালেরিয়াতে বিশেষ নজর রাখতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। সব স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এবিষয়ে বলাও হয়েছে। রাজ্যের ১৩ হাজার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। ডায়রিয়া,সর্দি কাশি,জ্বর হলে যে ওষুধ লাগে,সেগুলো সর্বত্র যাতে মজুত থাকে দেখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সর্বত্র বায়ো-মেট্রিক রাখতে হবে।যে সব নির্মাণ কর্মী আসে, তাদের রেকর্ড রাখতে হবে।বায়োমেট্রিক করতে হবে।’’
মোটের উপর মিটিং নিয়ে খুশি মমতা। তিনি জানালেন ‘‘ মিটিং ভাল হয়েছে। যেখানে সমস্যা রয়েছে সেখানে মুখ্য সচিব,স্বাস্থ্য সচিব বসে ঠিক করে নেবে’’। সামনেই পুজো। পুজোতে নিরাপত্তার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘১১২ ফুট কেউ প্রতিমা করবে, তাতে যদি কেউ পদপিষ্ট হয়ে যায়,তাহলে কী হবে? দায়বদ্ধতা যে ক্লাব করছে,তার তো থাকে।’’
রাজ্যের মুখ্যসচিব জানালেন, ‘‘সেমি কন্ডাকটর কারখানা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের একটা টিম বেঙ্গালুরুতে ওদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছে। আমরা জমি প্রস্তুত রেখেছি। লুলু গ্রুপ আসছে ওদের জন্য জমি রাখা আছে। বিজি বি এস ৫,৬ ফেব্রুয়ারি হবে। তার আগে জানুয়ারিতে একটা বৈঠক হবে এটা নিয়ে। আজ যে সাফল্য,সেটা বাংলার আগামী দিনের ব্যাপার। জানুয়ারিতে একটা রোড ম্যাপ অনুষ্ঠান করছি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি।’’ কর্মসংস্থান নিয়েও জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘‘প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। চর্ম শিল্পে পাঁচ লাখ চাকরি হয়েছে। আরও আড়াই লাখ চাকরি হবে।’’