কলকাতা: আরজি কর ধর্ষণ খুন ও দুর্নীতি, দুই মামলাতেই তিনি জেলে। কিন্তু নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে সেই উঠে এল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম! আন্দোলনকারী চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ সোমবারের বৈঠকে অভিযোগের সুরে বলেন, ”শেষ তিন চার বছরে আমাদের প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকতে গেলে ৩-৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হত।” প্রসঙ্গত, সেই সময় আরজি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। কিঞ্জলের মুখে এই অভিযোগ শুনেই মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, ‘তোমরা জানাওনি কেন?’ জুনিয়র ডাক্তাররা সেই সময়ই সমস্বরেই বলেন, ‘নানা জায়গায় বলা হয়েছে, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমি হস্টেলের নামে একটা নতুন অ্যাকাউন্ট করতে পারি? মুখ্যসচিবকে বলব এই ব্যাপারগুলি মাথায় রাখতে হবে। আমি সিস্টেমকে বলেছি স্বছটা রাখতে। পরীক্ষার ব্যাপারটা মুখ্যসচিবকে বলব দেখতে। পরীক্ষা হবে স্বচ্ছতা মেনে। কেউ যাতে ঘাড় ঘোরাতে না পারে। আমি যদি কোনও সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে পরীক্ষা করাই তাহলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।”
আরও পড়ুন: ৩৯ দিন পর সেই নবান্নতেই বৈঠক, শুরুতেই চমকে দিলেন মমতা! দাবি ছাড়াই যা ‘মেনে’ নিলেন…
মমতার সংযোজন, ”সরকার বলে একটা পদার্থ আছে। সিস্টেম বলে একটা জিনিস আছে। নিজেরা একটা ইনকোয়ারি করে নিলেন। ওখানে আপনাদের বিরোধী কেউ থাকল, সেও তো তোমার নামে অভিযোগ করতে পারে। আপনারা একটা ওপেন ডেস্ক করুন, একটা মেয়ে যদি কমপ্লেইন করে, তার সঙ্গে কথা বলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। মাসে একটা বৈঠক হওয়া উচিত।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আরজি করের প্রিন্সিপাল এখানে আছেন। আপনার কলেজে এতজন স্টুডেন্টকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমাদের তো জানাননি। এটা কি তাহলে থ্রেট কালচার নয়? আপনি তো প্রিন্সিপাল। আপনাকে তো টেক কেয়ার করতে বলা হয়েছে। আপনি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিলেন। এবার থেকে এনকোয়ারি করা হোক। প্রিন্সিপালদের বলছি একটা হেল্প ডেস্ক খোলা হোক। একটা নম্বর করুন।”