প্রবেশিকা পরীক্ষায় শীর্ষে মাওবাদী নেতা! অর্ণবের পিএইচডিতে ‘বাধা’ উপাচার্যের? জট কাটাতে উদ‍্যোগী কুণাল

Arnab Dam: প্রবেশিকা পরীক্ষায় শীর্ষে মাওবাদী নেতা! অর্ণবের পিএইচডিতে ‘বাধা’ উপাচার্যের? জট কাটাতে উদ‍্যোগী কুণাল

কলকাতা: জেলে বসেই পিএইচডি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেব মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পিএইচডির অ্যাডমিশন টেস্টে প্রথম হন সংশোধনাগারে বন্দি প্রাক্তন মাওবাদী নেতা। কিন্তু এরপরেই তাঁর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। সেই জট কাটাতে এবার উদ‍্যোগী রাজ‍্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এমনটাই জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

অর্ণব দামের পড়াশোনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানালেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অর্ণবকে বর্ধমান জেলে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া নিয়েও হয়েছে আলোচনা। এক্স হ্যান্ডেলে উপাচার্যের ভূমিকার সমালোচনায় কুণাল। এদিন তিনি বলেন, ‘‘মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমের পড়াশোনায় যেন বাধা না আসে।’’

আরও পড়ুন: স্বামীকে হাতেনাতে বান্ধবীর সঙ্গে ধরেন! বিয়ের ১ বছরের মধ‍্যেই সব শেষ! ৩৯-এও সিঙ্গেল নায়িকাকে চিনতে পারছেন?

একদা মাওবাদী বন্দি বলে পরিচিত অর্ণব। তিনি কারাবন্দি মাওবাদী মামলা সংক্রান্ত অভিযোগে৷ কারাবাসেই উচ্চশিক্ষায় এগিয়েছেন তিনি। মেধার জোরে তিনি পিএইচডি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ‍্যালয়ে। হুগলি জেলার জেলে আছেন অর্ণব। পড়াশোনার জন‍্য তিনি অনশনের কথাও বলেছেন বলে জানালেন তৃণমূল নেতা।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ইতিহাস বিভাগের প্রধানের সঙ্গে আমি কথা বলেছি৷ তিনি অত্যন্ত আন্তরিক৷ যা যা সাহায্য করার তিনি করবেন বলেছেন। উপাচার্য এদিকে অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলেছেন৷ ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী কারামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷ জেলার আশিষ বণিকের সঙ্গে কথা বলেছি। কারামন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। প্রয়োজনে বর্ধমান জেলার জেলে থাকবেন৷ কিন্তু রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্য অকারণে এটা করছেন৷’’

আরও পড়ুন: YouTube-এ ভিডিও বানিয়েই রোজগার হবে লাখ লাখ টাকা! কত সাবস্ক্রাইবার চাই? এই কাজ করলে তবেই আসবে টাকা, এখনই শিখে নিন

উপাচার্যকে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা চাই সংকীর্ণমনা উপাচার্য নেতিবাচক ভূমিকা না দেখিয়ে, পড়াশোনা করতে দিক৷ আমি তাকে জেলে সহবন্দি হিসাবে দেখেছি কাছ থেকে৷ ওরা জেদ, পড়াশোনা আমি সামনে থেকে দেখেছি৷ তাঁকে পড়াশোনা করতে না দিলে অন্যায় কাজ হবে৷ অধ্যাপকরা সহযোগিতা করছেন৷ বন্দি আসবে যাবে কীভাবে সেটা বলছেন উপাচার্য। যেভাবে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ভাবেই যাবেন। আজ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সংগঠনের নেতারা এই বিষয়ে সরব হয়েছেন৷ অর্ণবকে সহযোগিতা করা উচিত।’’