সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অপ্রয়োজনীয়! সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামা

নয়াদিল্লি: বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে এবার নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার বিরোধিতা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনাকে যেন ফৌজদারী অপরাধের তালিকায় ফেলা না হয়। কারণ হিসাবে তিনটি যুক্তি পেশ করেছে কেন্দ্র।

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামায় জানিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ এক্ষেত্রে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা আগে থেকেই মজুত রয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্র সরকার আরও জানিয়েছে যে, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণা করার এক্তিয়ার নেই সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে বর্তমানে ধর্ষণ-বিরোধী যে আইন আছে, সেটাই যথেষ্ট বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই আইনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। কেন্দ্র হলফনামায় জানিয়েছে, এই বিষয়টা আইনি বিষয়ের থেকেও বেশি সামাজিক। সমাজে এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে। তাই বৈবাহিক ধর্ষণকে যদি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতেও হয়, সুপ্রিম কোর্টের সেটা করা ঠিক নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: দাম বেড়েছে মদের, এবার পুজোয় কতদিন বন্ধ মদের দোকান? শুনে কিন্তু চমকে যাবেন

বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় বিরোধিতা করে আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতের মতো দেশে বিয়েকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা হয়। পারস্পরিক বাধ্যবাধকতা জড়িয়ে থাকে এর সঙ্গে। সাতপাকে ঘুরে যে অঙ্গীকার করেন স্বামী-স্ত্রী, তা কোনও ভাবেই লঙ্ঘন করা যায় না। বৈবাহিক সম্পর্কে মহিলাদের সম্মতির বিধিবদ্ধ ভাবে সংরক্ষিত। কিন্তু শাস্তিমূলক বিধানের আওতায় আনার প্রশ্ন একেবারে আলাদা।

কেন্দ্র আরও জানায়, বৈবাহিক সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে যৌন সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রত্যাশা থাকে। তাই বলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে জোর করতে পারেন না স্বামী। কিন্তু ধর্ষণ আইনে শাস্তি দেওয়া কিছুটা বাড়াবাড়ি এবং সামঞ্জস্যহীন। বিবাহিত মহিলাদের উপর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে আইন রয়েছে, যা যথেষ্ট সহায়ক বলে মত কেন্দ্রের।

হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, “সব রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।” কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, বিয়ে হলেই একজন মহিলার মতামতের গুরুত্ব খর্ব হয় না, তবে বিবাহিত হওয়ার পরও এই ধরনের অভিযোগ উঠলে অন্যরকম প্রভাব পড়ে।