প্রচারে অগ্নিমিত্রা পাল

BJP: তপ্ত দুপুরে পুড়ছে শহর! প্রচারে বেরিয়ে মন্দিরের সামনে কী করলেন অগ্নিমিত্রা? দেখে হাঁ সকলে

মেদিনীপুর: প্রচারে অভিনবত্ব বরাবরই আকর্ষণ করে সাধারণ ভোটারদের। কখনও লোকের বাড়িতে ঢুকে রান্না করা, কখনও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলা ভোটে প্রার্থী পদ ঘোষণা হলেই এমন কিছু ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকে। তবে প্রচারে এসে অন্য মুডে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ঢাক বাজালেন তিনি। মন্দিরের বারান্দায় বেশ কিছুক্ষণ ঢাক বাজান। তপ্ত দুপুরেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলে জনসংযোগ।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সব প্রার্থী। তবে প্রচারে বেশ কিছু নিয়ম মানছেন প্রার্থীরা। একদিকে যেমন প্রচারের সময় বদল অন্যদিকে খাবারেও বেশ কিছু বদল এনেছেন প্রার্থীরা। ফল, দই এর পাশাপাশি ভারী খাবার হিসেবে হাতে গোনা কয়েকটি রুটি এবং দইয়ে ভরসা রাখছেন বিজেপি প্রার্থী।

আরও পড়ুনঃ গুণে ঠাসা লিচু ২ মাসই মেলে, রসে টইটম্বুর এই ফল গরমে আরাম! কাদের জন্য ‘বিষ’ লিচু?

বিজেপি কর্মকর্তা নেতৃত্বদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচার উপায়। সামনেই লোকসভা নির্বাচন এর আগে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে প্রার্থীরা। তবে অন্যদিকে বেশ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। গরমকে উপেক্ষা করেও বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারছেন প্রার্থীরা। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া অন্যদিকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অগ্নিমিত্রা পাল। শনিবার একাধিক মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়ে কোতাইগড় বাজারে জনসংযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী।

স্থানীয় একটি শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে এক কর্মীর বাইকে বসে পাশের একটি মনসা মন্দিরে পুজো দিতে যান প্রার্থী। পুজোর পর তিনি ঢাকও বাজান। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। শোনেন তাদের নানা অভাব-অভিযোগের কথা। পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের থেকে ভোট প্রার্থনাও জানান তিনি। তবে এই গরমের সময়ে অবশ্য স্বাস্থ্য সচেতন অগ্নিমিত্রা। গরমে হালকা খাবার, দই, হাতেগোনা দুটি রুটি, ফলের রসকে তিনি বেশি পছন্দ করছেন।

প্রচন্ড গরমে সাধারণত দুপুর বারো’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত প্রচার রাখছেন না। এই গরমে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এ দিন দুপুরে এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন । মকরামপুর এলাকায় একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন। স্বাভাবিকভাবে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসে তা সময় বলবে।

রঞ্জন চন্দ