বিনোদন ছক ভেঙে সাহসী দৃশ্যে অভিনয়! বোল্ড ফটোশ্যুটে একসময় বলিউডকেও চমকে দিয়েছিলেন এই পাক অভিনেত্রী Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk পঞ্চাশের দশকে বলিউডে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করতেন তিনি। অনন্য সৌন্দর্যের অধিকারিণী ছিলেন। আর তাঁর অভিনয় দক্ষতার কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী বেগম পারার! অতুলনীয় ফ্যাশন সেন্সের জন্য সে যুগের কালজয়ী তকমাও লাভ করেছিলেন তিনি! Photo: Collected এখানেই শেষ নয়, পঞ্চাশের দশকে অভিনেত্রীদের সেভাবে সাহসী ফটোশ্যুট কিংবা সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যেত না। কিন্তু এখানেই আলাদা বেগম পারা! সেই সময় লাইফ ম্যাগাজিন-এর জন্য সাহসী ফটোশ্যুট করেছিলেন অভিনেত্রী। ছকভাঙা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বহু রক্ষণশীল ভারতীয়ের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলেছিলেন তিনি। Photo: Collected পাকিস্তানের ঝিলামে জন্ম হয়েছিল বেগম পারার। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল জুবেইদা উল হক। তাঁর এক দাদা ছিলেন। যিনি ১৯৩০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। মুম্বইয়ে পাড়ি দেন এবং সেখানে তিনি বাঙালি অভিনেত্রী প্রতিমা দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সময় দাদার সঙ্গে স্বপ্ননগরীতে এসেছিলেন বেগম পারাও। বৌদি প্রতিমার সঙ্গে হামেশাই শ্যুটিংয়ের সেটে যেতেন তিনি। এরপর থেকেই ছবির অফার পেতে শুরু করেন বেগম পারা। একটি পার্টিতে শশধর মুখোপাধ্যায় এবং দেবিকা রানির থেকে ছবির অফার পাওয়ার পরেই বদলে যায় তাঁর জীবন। শুরু হয় বেগম পারার ফিল্মি কেরিয়ারের সফর। Photo: Collected ১৯৫৫ সালে ‘চাঁদ’ ছবির হাত ধরেই হাতেখড়ি বেগম পারার। ছবি মুক্তি পেতেই হিট হয়। আর রাতারাতি খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান নবাগতা অভিনেত্রী। আসলে প্রথম ছবিতেই তাক লাগিয়েছিলেন। সেখানে সহ-অভিনেতা প্রেম আদিবের সঙ্গে একটি প্রেমের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল তাঁকে। যেটা আধুনিক সিনেমার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। সরল ভাবে দৃশ্যায়িত এই প্রেমের দৃশ্য সেই সময় সকলকে অবাক করেছিল। Photo: Collected প্রথম দিকে মাসিক ১৫০০ টাকা বেতন ছিল বেগম পারার। কিন্তু ধীরে ধীরে পঞ্চাশের দশকের সর্বোচ্চ আয় করা অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘নীল কমল’, ‘ঝর্ণা’ এবং ‘কর ভালা’-র মতো ছবি। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ছবি ‘সাওয়ারিয়া’-তে সোনম কাপুরের ঠাকুরমার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। Photo: Collected কেরিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে নাসির খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বেগম পারা। এই নাসির খান আসলে জনপ্রিয় অভিনেতা দিলীপ কুমারের ভাই। বেগম পারা এবং নাসিরের জীবনে আসে তাঁদের তিন সন্তান। এঁদের মধ্যে আয়ুব খান আবার বড় এবং ছোট পর্দার নামকরা অভিনেতা। Photo: Collected ১৯৫৮ সালে বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে দেন বেগম পারা। কিন্তু নিজের বোল্ড স্টাইলের জন্য সকলের মনে জায়গা করে রয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। আর নাসির খানের প্রয়াণের পরে প্রায় বছর দু’য়েক পাকিস্তানেই বসবাস করেছিলেন তিনি। এরপরেই ভারতে ফিরে আসেন। আর এখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়েছিলেন এক সময়ের দাপুটে সাহসী অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন বেগম পারা। Photo: Collected