কলকাতা: বিগত প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের পুরোভাগে রয়েছে মার্লিন গ্রুপ। এবার সেই সংস্থার তরফ থেকেই সামনে এল বড়সড় ঘোষণা। আসলে সম্প্রতি নতুন কর্পোরেট ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি প্রকাশ্যে আনল মার্লিন গ্রুপ। অর্থাৎ একেবারে নয়া আঙ্গিকে সামনে এল ওই সংস্থা।
আসলে সংস্থার দ্রুত বিকাশ এবং গুণমান, উদ্ভাবন ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টির প্রতি সংস্থার অঙ্গীকারই এই রিব্র্যান্ডিংয়ের মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে। যার ফলে ক্রেতা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গুরুত্বের নিরিখে সবার উপরে স্থান করে নিতে পেরেছে মার্লিন গ্রুপ।
আরও পড়ুন- সোনা, রুপো…দামি জিনিস ছাড়ুন, ধনতেরসে কিনুন এই ৬ সস্তার জিনিস! সোজা ঘরে আসবেন লক্ষ্মী!
রিব্র্যান্ডিংয়ের এই উদ্যোগের জেরে ঢেলে সাজানো হয়েছে নানা কিছু। যার ফলে এসেছে সংস্থার একেবারে নতুন লোগো, নতুন ওয়েবসাইট এবং ডিজাইন সিস্টেমও। নতুন লোগো হয়ে উঠেছে উন্নতি, নির্ভরযোগ্যতা এবং পরিবর্তনের পরিচায়ক। সেই সঙ্গে এর মধ্যে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার বিষয়ে মার্লিনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনও ঘটেছে।
আরও পড়ুন- নতুন ইউটিউব চ্যানেল? কত সাবস্ক্রাইবার হলে আসবে টাকা? ৯৯ শতাংশই না জেনে ভুল করছেন
নতুন ব্র্যান্ড আইডেন্টিটির প্রসঙ্গে মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা বলেন যে, “ব্যতিক্রমী রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত সমাধান প্রদান এবং আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের জীবন উন্নত করার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন ঘটবে নতুন এই পরিচয়ের মধ্যে দিয়ে। মার্লিনে প্রতিটি ইট এবং ভিত্তি কিন্তু কাঠামো নির্মাণের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এটা মূলত মূল্যবোধ তৈরি করে, আত্মীয়তার অনুভূতি জাগায় এবং পরিবার তথা সম্প্রদায়গুলির বিকাশে সহায়তা করে। আর এটা এমন স্মৃতি তৈরি করে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। যেহেতু সারা দেশে তথা সারা বিশ্বে আমরা আমাদের উপস্থিতিকে প্রসারিত করতে পেরেছি, তাই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার ক্ষেত্রে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা বলেন যে, “১৯৯০ সাল নাগাদ কর্পোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের ধারণা চালু করেছিল মার্লিন গ্রুপ। আর সেই সময় রিয়েল এস্টেট সেক্টরে কর্পোরেটাইজেশন ছিল একেবারে নতুন ধারণা। ব্র্যান্ডেড রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রে আমরাই পথ প্রদর্শক। বিগত প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণের উচ্চমান, পরিষেবায় ধারাবাহিকতা এবং গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ব্যবসায় স্বচ্ছতা বজায় রেখে আমরা একটা সম্মানিত ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন যে, নতুন লুকের থেকেও অনেকটাই বেশি এই রিব্র্যান্ডিং। এটি শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনরায় সুনিশ্চিত করে। রিয়েল এস্টেট মার্কেটের প্রতিটা ক্ষেত্রেই সংযোগ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে আমাদের নয়া আইডেন্টিটি।”
সেই ১৯৮৪ সালে শুরু হয়েছিল মার্লিন গ্রুপের পথ চলা। এই সংস্থার পোর্টফোলিওতে রয়েছে একাধিক বিখ্যাত বিলাসবহুল রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স, কমার্শিয়াল স্পেস এবং টাউনশিপও। এই সংস্থার ল্যান্ডমার্ক প্রজেক্টগুলির মধ্যে অন্যতম হল অ্যাক্রোপলিস মল, ইবিজা দ্য ফার্ন রিসর্ট অ্যান্ড স্পা এবং প্রিন্সটন ক্লাব। কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে মার্লিন গ্রুপ পৌঁছে গিয়েছে ভারতের বড় বড় শহরগুলিতেও। এর মধ্যে অন্যতম হল আহমেদাবাদ, রায়পুর, পুণে, চেন্নাই। এখানেই শেষ নয়, মার্লিন গ্রুপ পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতেও। মার্লিন রাইজ-এ রয়েছে ফুটবল তারকা রোনাল্ডিনহো, ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, আন্তর্জাতিক সাঁতারু মাইকেল ফেলপস এবং বলিউড অভিনেতা টাইগার শ্রফ দ্বারা চালিত স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তৈরি করছে এই সংস্থা। যা আগামী বছরে লঞ্চ হওয়ার কথা।
এই প্রসঙ্গে মার্লিন গ্রুপের এমডি সাকেত মোহতা বলেন যে, “বঙ্গে প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আগামী পাঁচ বছরে কলকাতা ও দেশের প্রধান শহরগুলিতে বিলাসবহুল আবাসন এবং বাণিজ্যিক খাতে কিংবদন্তি প্রজেক্টগুলির ক্ষেত্রে উন্নতি আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা পুণেতেও নিজেদের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চলেছি। এখন সেখানে আমাদের তিনটি প্রজেক্ট চলছে। আরও চারটি সাইন করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর পাশাপাশি নভি মুম্বইয়েও আমাদের নতুন কয়েকটি প্রজেক্ট চলছে। গ্রাহকদের অনন্য আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে আমাদের এই স্পেস।”
সাকেত মোহতা আরও বলেন যে, “মার্লিনে প্রতিটি প্রজেক্টে স্থায়ী রিয়েল এস্টেট উন্নয়নের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি পরিবেশগত ভাবে দায়িত্বশীল সংস্থা হিসাবে আমাদের উদ্যোগ স্থায়ী নির্মাণ অনুশীলনকে প্রতিফলিত করে, যা একটি সবুজ বাস্তুতন্ত্রকে সমর্থন করে। পরিবেশ-বান্ধব এবং দায়িত্বশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা অধ্যবসায়ী ভাবে গ্রিন বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করি। আমরা এবং আমাদের গোটা রিয়েল এস্টেট সেক্টরের জন্য আগামী বছরগুলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই স্থায়িত্ব।”