বীরভূম: বেশ কয়েকদিন ধরে নিরাপত্তার দাবি তুলেছিল চিকিৎসক মহল।মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এরই মধ্যে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। নতুন করে প্রায় ২৫০টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হল। ফলে মেডিক্যাল কলেজ সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫০টি। একইভাবে ৭ কিমি দূরের চকমণ্ডলা হস্টেলে ক্যাম্পাস জুড়ে আরও ১১১টি সিসি ক্যামেরা বসানো হল।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দিনে নতুন ও পুরনো বিল্ডিং মিলিয়ে ৯৬টি সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। তবে তারপরেও মেডিক্যাল ও হস্টেল ক্যাম্পাস জুড়ে নিরাপত্তার দাবি উঠে। পুলিস ক্যাম্প, মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে সিসি ক্যামেরা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রবেশদ্বারে কোলাপসিবল গেট, ডিউটিরত মেল ও ফিমেল চিকিৎসকদের পৃথক রেস্টরুম সহ একাধিক দাবি ছিল চিকিৎসকদের।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেই পুলিস ক্যাম্প চালু হয়েছে। সেখানে দু’জন অফিসার সহ মোট ৩১ জন পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে সর্বক্ষণের জন্য রাখা হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মেডিক্যাল থেকে সিভিকদের সরানো হয়েছে। সেই জায়গায় সমসংখ্যক পুলিস কনস্টেবল দেওয়া হয়। একইভাবে চকমণ্ডলা হস্টেলেও চারজন কনস্টেবলকে সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন করা হয়। হাসপাতালের ১৩০ জন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীকে প্রশিক্ষণ দেন পুলিসকর্তারা।
আরও পড়ুন: এই ডিভাইস থাকলে মেয়েদের বিপদ হবে না আর! ‘আশ্চর্য আবিষ্কার’ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের!
সেই সঙ্গে জরুরি বিভাগ, মেল ও ফিমেল মেডিসিন, সার্জারি, প্রসূতি, ময়নাতদন্ত সহ সমস্ত ওয়ার্ডের প্রবেশদ্বারে বসানো হয় কলাপসিবল গেট।এবার গোটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, হস্টেল চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলতে নতুন করে আরও সিসি ক্যামেরা লাগানো হল। সব মিলিয়ে সাড়ে চারশোরও বেশি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের এমএসভিপি পলাশ দাস। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি দেখতে হাসপাতাল চত্বরে হঠাৎ এসে উপস্থিত হন বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়। তিনি পুরো বিষয়টি নিজে পর্যবেক্ষণ করে যান।
সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ফলে রোগীর মৃত্যুর জেরে অশান্তি, ভাঙচুর বা অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে এবার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারা যাবে।বড় এলসিডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সর্বক্ষণ নজরদারির মধ্যে থাকবে গোটা মেডিক্যাল ও হস্টেল ক্যাম্পাস। ওয়ার্ডে ডিউটিরত মেল ও ফিমেল চিকিৎসকদের পৃথক রেস্টরুম, টয়লেটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তা কঠোর করা হচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে।
সৌভিক রায়