ভিনরাজ্যে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক, দেহ বাড়ি ফেরাতে রাস্তায় নেমে চাঁদা তুললেন প্রতিবেশীরা

কলকাতা : ভিনরাজ্যে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফেরাতে রাস্তায় নেমে চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করল প্রতিবেশীরা। মঙ্গলবার ইন্দোরে মৃত্যু হয় হরিহরপাড়া থানার ভবানীপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুন্তাজ সেখের।

মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসার জন্য আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় এগিয়ে আসে প্রতিবেশীরা। রাস্তার নেমে চাঁদা তুলে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। মুন্তাজকে শেষবারের মতো দেখার অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুন- বাংলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টি, বিকেলে ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী? কোন জেলায় কেমন আবহাওয়া?

গ্রামে কোনো কাজ না থাকায় অভাবের সংসারে দুটো রোজগারের আশায় আড়াই মাস আগে ইন্দোরে রাজমিস্ত্রীর কাজে যায় মুন্তাজ। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই পেটে যন্ত্রনা শুরু হয় মুন্তাজের।

সহকর্মীরা তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকেরা। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন মুন্তাজ।

তাঁর মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই পরিবারের। সেই কারণে মুন্তাজের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় প্রতিবেশীরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদা তুলে মুন্তাজের দেহ বাড়ি নিয়ে আসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন তাঁরা।

প্রতিবেশী রেহাদুল মোল্লা বলেন, মুন্তাজ আমাদের বাড়ির ছেলের মতোই। খুব ভাল ছেলে ছিল। ওর মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু মৃতদেহ নিয়ে আসার মতো আর্থিক সামর্থ্য ওর পরিবারের নেই।

আরও পড়ুন- হাতে আর ঘণ্টাখানেক! ধেয়ে আসছে বৃষ্টি, জোর বজ্রপাত! নিম্নচাপের জেরে ভাসবে ৪ জেলা

 প্রতিবেশী মহিদুল হক বলেন, এই পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার। পরিবারে রোজগেরে আর কেউ নেই। তাই আমরা চাই মুন্তাজের পরিবারকে সরকারি সমস্ত সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

মৃতের স্ত্রী আফসানা বিবি বলেন গ্রামে কোনো কাজ না পাওয়ায় ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিল। বলেছিল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু এইভাবে বাড়ি আসবে কল্পনাও করিনি।