নদিয়া: তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে সাড়ে চার হাজার রেফ্রিজারেটর বানিয়ে ফেললেন দুই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। জল ধরবে প্রায় ২৫ লিটার। ঠান্ডা হবে মাত্র ১০ মিনিটে। গরমকালে ঠান্ডা জলের চাহিদা থাকে সবসময়ই। গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদে বাইরে বেরিয়ে জল পিপাসা পেলে ব্যাগে রাখা বোতলের জল খেয়ে তৃপ্তি হয় না। তার কারণ গরমের চোটে সেই জল হয়ে যায় উষ্ণ! আর সেই কারণেই বাজার চলতি ফ্রিজের ঠান্ডা জল কিনে খেতে হয়। তবে এই সমস্যা শুধু পথচলতি মানুষের কিংবা বাসে ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের হয়, তেমনটা কিন্তু নয়। ঠিক তেমনই গরমে নিজেদের দোকানে কাজ করতে বেজায় কষ্ট হচ্ছিল নদিয়ার পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাহুল এবং মিলন নামে দুই যুবকের।
সারাদিন ধরে কাজ করার জন্য এই গরমে একমাত্র ভরসা ঠান্ডা জল। তবে বাড়ি থেকে আনা জল সূর্যের তাপে গরম হয়ে যাচ্ছিল! এরপরই তাঁরা ঠিক করেন, কিছু একটা করতে হবে। তবে বাজারে ফ্রিজের যা দাম সেটি কিনে দোকানে আনার সামর্থ্য তাঁদের ছিল না। আর সেই কারণেই দোকানে পড়ে থাকা পুরনো একটি কম্প্রেসার দিয়ে নিজেদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে ২০ দিনে দুই বন্ধু মিলেই বানিয়ে ফেলল একটি ফ্রিজ।
বাজারে যে সমস্ত ফ্রিজ পাওয়া যায় ফ্রিজের ভেতরে যাবতীয় যা সরঞ্জাম থাকে, সবই রয়েছে তাঁদের বানানোই ফ্রিজের মধ্যে। তবে এই মিনি ফ্রিজের উচ্চতা ২৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। প্রায় ২৫ লিটারের মতো জল রাখা যাবে এই ফ্রিজে। ১০ মিনিটের মধ্যে জল ঠান্ডা করে বিদ্যুৎ সংযোগ অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে, সেই কারণে বিদ্যুৎ খরচাও যথেষ্টই কম বলে এমনটাই দাবি করছেন ফ্রিজ প্রস্তুতকারক, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাহুল মণ্ডল।
রাহুল আরও জানান, ”বাজারে যে সমস্ত ফ্রিজ রয়েছে, সেগুলোর দাম অনেক বেশি। শুধু তা-ই নয়, অনেকের ঘরে অত জায়গাও থাকে না ফ্রিজ না রাখার। এই ফ্রিজটি ছোট হওয়ায় ঘরের যে কোনও একটি কোণায় রাখা যাবে। এবং এই ফ্রিজটি হালকা হওয়ার কারণে যেখানে খুশি সরানোও যাবে। এই ফ্রিজটি আমরা প্রথম তৈরি করলাম, এরপরে ইচ্ছা আছে আরও উন্নততর ফ্রিজ বানানোর।”
Mainak Debnath