হুগলি: লোকাল ট্রেনে গান গেয়ে উপার্জনের পথ খুঁজতে দেখা যায় অনেক মানুষকে। কিন্তু এই গায়ক পয়সার জন্য গান করেন না বরং তাঁর গান শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য। জুলাই ৩১, সঙ্গীতজগতে এক নক্ষত্রপতন হয়েছিল। তাঁর নাম মহম্মদ রফি। যাঁকে নিজের জীবনের গুরু হিসেবে মানেন আরেক গায়ক।
গুরুর প্রয়াণ দিবসে তাঁর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য ট্রেনে রফির গান গেয়ে মানুষদের শোনাচ্ছেন তাঁর পরম ভক্ত পরমেশ্বর টুডু। পরনে শার্ট-প্যান্ট, তার উপর বাদামি কালারের ব্লেজার আর কণ্ঠে ওস্তাদ রফি সাহেবের গান। নাম তাঁর পরমেশ্বর টুডু হলেও ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা তাঁকে রফি সাহেব বলেই ডাকে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পর বাংলাদেশ, ভবিষ্যৎ অথৈই জলে! ডাক্তার হতে পারবে তো অর্ক?
কারণ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছরই তাঁর কণ্ঠে থাকে রফি সাহেবের গান। বুধবার ৩১ জুলাই মহম্মদ রফির মৃত্যুদিন। রফি চলে গেছেন চার দশক আগে, তবুও তাঁর গান আজও পরমেশ্বরের মতো রফির ভক্তদের জন্য বেঁচে রয়েছে মনে। সারা বছর ট্রেনে বাসে এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আপামর ভক্তদের রফি সাহেবের গান শুনিয়ে বেড়ান এই অন্ধভক্ত।
আরও পড়ুন: অলকা ৩৫ বছর স্বামীর থেকে আলাদা, কখনও শানু-কখনও উদিত! গায়িকার প্রেমজীবন চরম গোপনে রাখা
তবে গান শুনিয়ে তার জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেন না তিনি। পরমেশ্বর নিজেই বলেন তিনি রফির অন্ধ ভক্ত, তাঁর বয়স যখন ১০-১১ তখন থেকে মহম্মদ রফির গান তাঁর প্রিয়। বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়ে তাঁর। আজকের দিনে ট্রেনে এবং রাস্তাতে দেখা যায় তাঁকে মহম্মদ রফির গান গাইতে গাইতে মানুষকে মনোরঞ্জন করতে।
রাহী হালদার